ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

মার্কিন দাবি ‘রাবিশ’ ॥ ক্রেমলিন

রাশিয়ার বিরুদ্ধে নির্বাচন ব্যাহতের অভিযোগ যুক্তরাষ্ট্রের

প্রকাশিত: ০৫:৫৩, ৯ অক্টোবর ২০১৬

রাশিয়ার বিরুদ্ধে নির্বাচন ব্যাহতের অভিযোগ যুক্তরাষ্ট্রের

রাশিয়ার সরকার মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ‘ব্যাহত’ করার চেষ্টা করছে বলে শুক্রবার আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা। তারা যথাসময়ে এর জবাব দেয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। তবে সেই সময়ের সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়নি। ন্যাটোর প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে এবং সিরিয়ার রক্তাক্ত গৃহযুদ্ধ অবসানে প্রচেষ্টা থমকে যাওয়ায় দুই দেশের মধ্যে দ¦ান্দ্বিক সম্পর্ক চলার সময় রাশিয়ার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ আনা হলো। সাইবার হামলা বেড়ে যাওয়ায় শুক্রবার হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ ও ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্সের পরিচালকের কার্যালয়ের যৌথ বিবৃতিতে এই প্রথমবারের মতো ওয়াশিংটন মস্কোর বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ আনল। মার্কিন প্রশাসনের একজন কর্মকর্তা বলেন, ওয়াশিংটন বিস্তারিত না জানিয়েই এসব সাইবার হামলার জবাব দেবে। এই কর্মকর্তা বলেন, আমরা সাইবারস্পেসেরসহ আমাদের স্বার্থরক্ষা করতে ব্যবস্থা নেব এবং আমাদের পছন্দমাফিক সময় ও স্থানে এই ব্যবস্থা নেব। মানুষ বুঝতেই পারবে না কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে অথবা কী ব্যবস্থা আমরা নেব। সরকারী বিবৃতিতে বলা হয়, মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা নিশ্চিত যে, যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক সংগঠনসহ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ই-মেইলে সাম্প্রতিক ক্ষতিসাধন রুশ সরকারের নির্দেশনাতেই হয়েছে। ক্রেমলিন এই অভিযোগকে ‘রাবিশ’ আখ্যায়িত করেছে। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ রাশিয়ার বার্তা সংস্থা ইন্টারফ্যাক্সকে বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনের ওয়েবসাইট প্রতিদিনই হাজার হাজার হ্যাকারের হামলার শিকার হয়। বহু হামলা যে যুক্তরাষ্ট্র থেকে করা হয়েছে তা চিহ্নিত হয়েছে। কিন্তু আমরা প্রতিবারই হোয়াইট হাউসকে দোষারোপ করিনি। মার্কিন বিবৃতিতে বলা হয়, হ্যাক-করা ই-মেইল উইকিলিকস, অন্যান্য ওয়েবসাইট ও অনলাইন পারসোনা ‘গুসিফার ২.০’তে প্রকাশিত হওয়ার সঙ্গে রুশ নির্দেশিত কর্মকা-ের পদ্ধতির সামঞ্জস্য রয়েছে। এতে আরও বলা হয়, মার্কিন নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করার উদ্দেশ্যেই এই মেইল চুরি ও প্রকাশের ঘটনা। রাষ্ট্রীয় নির্বাচনী ডাটাবেজে সাম্প্রতিক সাইবার হামলার জন্যও রাশিয়াকে দোষারোপ করা হয়। বিবৃতিতে বলা হয়, ইতোমধ্যে কিছু অঙ্গরাজ্যে নির্বাচনী ব্যবস্থা স্ক্যানিং করা হয়েছে বলে বোঝা গেছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এই কাজ রাশিয়ার একটি কোম্পানির সার্ভার থেকে পরিচালনা করা হয়েছে। ওয়াশিংটন কিভাবে এ ঘটনার জবাব দেবে তা প্রাথমিকভাবে স্পষ্ট নয়। কর্মকর্তারা ইতোপূর্বে বলেছিলেন, যে কোন গুরুত্বপূর্ণ মার্কিন প্রতিষ্ঠানে সাইবার হামলার জবাব দেয়া হবে। জবাব হিসেবে কূটনৈতিক অথবা অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হতে পারে। অথবা সাইবার হামলার পথও বেছে নেয়া হতে পারে। প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির ক্যালিফোর্নিয়ার সিনেটর ডায়ান ফিয়েনস্টেইন বলেন, আামাদের নির্বাচনী ব্যবস্থা হ্যাক করার চেষ্টা মেনে নেয়ার মতো নয়। -এএফপি
×