ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

রাজশাহীর সড়কে খানাখন্দ চরম দুর্ভোগ

প্রকাশিত: ০৪:৩৭, ৪ অক্টোবর ২০১৬

রাজশাহীর সড়কে খানাখন্দ চরম দুর্ভোগ

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ বর্ষার পর রাজশাহী নগরীসহ জেলার আন্তঃউপজেলার সকড়গুলোর এখন বেহলা দশা। দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে যানবাহন চলাচলে চরম বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে। নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ছাড়াও শহর থেকে জেলার তানোর, বাগমারা, তাহেরপুর ও গোদাগাড়ীর অভ্যন্তরীণ রুটে ভাঙ্গাচোরা সড়কে প্রায়ই আটকে যাচ্ছে যানবাহন। কোথাও কোথাও সড়কের গর্তে পড়ে গাড়ির এক্সেল ভেঙ্গে চাকা খুলে যাওয়ার ঘটনাও ঘটছে। ফাঁকা মাঠের মধ্যে গাড়ি নিয়ে বিপাকে পড়েছেন চালক ও যাত্রীরা। খানা-খন্দে ভরা সড়কে প্রায়ই গাড়িচালকদের হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। রাজশাহী-তানোর সড়কের সলিমপুর এলাকার বাসিন্দারা জানান, রাজশাহীর পবা উপজেলার বায়া থেকে তানোর পর্যন্ত রাজশাহী-তানোর ২৫ কিলোমিটার সড়কের বেশির ভাগ অংশ ভাঙাচোরা ও খানাখন্দে ভরা। এর মধ্যে পবার বাগধানী সেতু থেকে তানোরের চান্দুড়িয়া পর্যন্ত প্রায় পাঁচ কিলোমিটার সড়ক একেবারে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। গেল বর্ষার আগে থেকে সড়কটির এ অবস্থা। কিন্তু কর্তৃপক্ষ সড়কটি সংস্কারের উদ্যোগ নেয়নি। জরুরী মেরামত কাজও করেনি। একই অবস্থা নগরীর অভ্যন্তরীণ সড়ক ও জেলার বিভিন্ন উপজেলার প্রধান সড়কসমূহের। তানোর উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, তানোর ও নাচোল উপজেলার মাটিতে আঠালো ভাবটা কম। এজন্য মাটি কমপ্যাক্ট থাকে না। ফলে সড়ক যত ভাল করেই করা হোক, বেশিদিন টেকে না। সরেজমিন দেখা যায়, তানোরের হাড়দোর বিল এলাকায় রাস্তার উপরের কার্পেট উঠে গিয়ে নিচের মাটি বের হয়ে গেছে। বৃষ্টির পরে ভাঙা জায়গাগুলো কাদায় পরিণত হয়েছে। হরহামেশাই এ সড়কে গাড়ি আটকে থাকছে। রাজশাহী স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের (এলজিইডি) নির্বাহী প্রকৌশলী গোলাম মোস্তফা বলেন, তারা জরুরী সংস্কারকাজ কম করেন। এতে ভাল ফল পাওয়া যায় না। ওই রাস্তার খারাপ অংশটি সংস্কারের জন্য দরপত্র আহ্বান করার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। এদিকে বর্ষার পানি জমে রাজশাহী নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় সড়কে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। নগরীর শিরইল বাস টার্মিনাল, কাশিয়াডাঙ্গা, ভদ্রা, তালাইমারী এলাকায় বড় বড় গর্তের কারণে যানবাহন চলাচলে চরম বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে চালকদের। যাত্রীদেরও প্রতিনিয়ত দুর্ভোগের মধ্যে পড়তে হচ্ছে। পাবনা বিসিকে সড়ক নিজস্ব সংবাদদাতা, পাবনা থেকে জানান, বিসিক শিল্পনগরীতে এবড়ো-থেবড়ো রাস্তাঘাটের কারণে শিল্পমালিকদের প্রতিদিন অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ড্রেনেজ সিস্টেম অকার্যকর হওয়ায় একটু বৃষ্টিতেই পানি জমায় খানাখন্দে ভর্তি রাস্তায় ঝুঁকি নিয়ে মালবাহী ট্রাক যাতায়াত করতে হচ্ছে। রাস্তাঘাট ও ড্রেনেজ সিস্টেম নির্মাণে শিল্পমালিকরা দীর্ঘকাল দাবি জানালেও কোন প্রতিকার পাচ্ছে না। জানা গেছে, বিসিক শিল্পনগরী ১৯৬২ সালে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। ১২৫ একর জায়গার ওপর প্রতিষ্ঠিত এ শিল্পনগরীতে ১৭০টি ভারি, মাঝারি ও ক্ষুদ্রশিল্প রয়েছে। দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম এ শিল্পনগরীতে আট কিলোমিটার ড্রেন ও সাড়ে চার কিলোমিটার অভ্যন্তরীণ রাস্তা রয়েছে। শিল্পনগরীতে প্রবেশের প্রধান সড়কসহ অভ্যন্তরীণ সড়কগুলো ভেঙ্গে গর্ত সৃষ্টি হওয়ায় যান চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। একটু বৃষ্টিতেই রাস্তা পানি কাদায় ডুবে যায়।
×