ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

স্প্রেড নির্দেশনা মানছে না ২০ ব্যাংক

প্রকাশিত: ০৫:৩৭, ৩ অক্টোবর ২০১৬

স্প্রেড নির্দেশনা মানছে না ২০ ব্যাংক

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ আমানত ও ঋণের সুদ হারের ব্যবধান- স্প্রেডের নির্ধারিত সীমা লঙ্ঘন করেছে ২০ ব্যাংক। এই সীমা লঙ্ঘনে সবার উপরে রয়েছে ব্র্যাক, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ও ডাচ-বাংলা ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়মে কোন ব্যাংকের ঋণ ও আমানতের (স্প্রেড) সুদহারের ব্যবধান ৫ শতাংশের বেশি হতে পারবে না। অথচ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সর্বশেষ আগস্ট মাসের প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০ ব্যাংকের স্প্রেড দেখা গেছে নির্দেশিত সীমার বাইরে। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ব্র্যাক ব্যাংকের স্প্রেড ৯ দশমিক ৪৭ শতাংশ, ডাচ-বাংলা ব্যাংকের ৭ দশমিক ২৫ শতাংশ ও স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ডের ৮ দশমিক ৯৫ শতাংশ। প্রতিবেদন অনুযায়ী, বেসরকারী তফসিলী বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মধ্যে এবি ব্যাংকের ৫ দশমিক ০৩, আইএফআইসির ৫ দশমিক ৮৪, পূবালী ব্যাংকের ৫ দশমিক ০১, উত্তরা ব্যাংকের ৫ দশমিক ৭৪, ইস্টার্ন ব্যাংকের ৫ দশমিক ৩৮, ওয়ান ব্যাংকের ৫ দশমিক ৮৮, ট্রাস্ট ব্যাংকের ৫ দশমিক ৩৬, এনআরবি কমার্শিয়ালের ৫ দশমিক ০৮ শতাংশ স্প্রেড রয়েছে। এছাড়া সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার এ্যান্ড কমার্স ব্যাংকের (এসবিএসি) ৫ দশমিক ১৮, মেঘনা ব্যাংকের ৫ দশমিক ২২, মিডল্যান্ডের ৫ দশমিক ২২, ইউনিয়ন ব্যাংকের ৫ দশমিক ৯৩, এনআরবি ব্যাংকের ৫ দশমিক ৯১ শতাংশ স্প্রেড রয়েছে। বিদেশী ব্যাংকের মধ্যে স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার ৫ দশমিক ৯৭, সিটি ব্যাংক এনএর ৬ দশমিক ৩২, এইচএসবিসির ৬ দশমিক ০৬, উরি ব্যাংকের ৫ দশমিক ৬৪, কমার্শিয়াল ব্যাংক অব সিলনের স্প্রেড রয়েছে ৫ দশমিক ১২ শতাংশ। তবে রাষ্ট্রায়ত্ত ও বিশেষায়িত বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর স্প্রেড নির্ধারিত সীমার মধ্যে রয়েছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক শুভঙ্কর সাহা বলেন, স্প্রেড নির্ধারিত সীমার মধ্যে নামিয়ে আনতে আমরা বরাবরই তাগাদা দিয়ে আসছি। কারণ স্প্রেড যত কম হবে তা বিনিয়োগকারীদের জন্য তত ভাল। যেসব ব্যাংক কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী স্প্রেডের সীমা মানছেন না তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
×