ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১

শান্তি, সম্প্রীতি ও সমৃদ্ধি প্রতিষ্ঠায় যুব সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে ॥ মুস্তফা কামাল

প্রকাশিত: ০৬:০৩, ২ অক্টোবর ২০১৬

শান্তি, সম্প্রীতি ও সমৃদ্ধি প্রতিষ্ঠায় যুব সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে ॥ মুস্তফা কামাল

স্টাফ রিপোর্টার ॥ উন্নয়নের মূলধারায় যুব সম্প্রদায়কে সম্পৃক্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি বলেন, দেশে শান্তি, সম্প্রীতি ও সমৃদ্ধি প্রতিষ্ঠায়ও যুবসমাজকে এগিয়ে আসতে হবে। সরকার যুবসমাজের কর্মসংস্থান বাড়াতে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। কিন্তু সরকারের একার পক্ষে এটা সম্ভব নয়। দেশের কর্মসংস্থান বৃদ্ধিতে সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন বেসরকারী ও এনজিও প্রতিষ্ঠানকেও এগিয়ে আসতে হবে। যুবসমাজের কর্মসংস্থান সৃষ্টির সুযোগ তৈরি করতে হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। শনিবার সকালে রাজধানীর মহাখালীর ব্র্যাক ইন সেন্টারে আয়োজিত যুব সমাজের ভূমিকা ও গান্ধীদর্শন শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। বিশ্বে অহিংসবাদী আন্দোলনের অন্যতম প্রবক্তা মহাত্মাগান্ধীর ১৪৭তম জন্মজয়ন্তী ও বিশ্ব অহিংস দিবস উপলক্ষে গান্ধী আশ্রম ট্রাস্ট এ আলোচন সভার আয়োজন করে। তিনি বলেন, গান্ধী আশ্রম দেশেরে জন্য ভাল কাজ করছে। সরকার গান্ধী আশ্রমের কাজকে এগিয়ে নিতে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে। এ সময় তিনি নিজের শৈশবে অভাব অনটনের কথ উল্লেখ করে বলেন, সপ্তম থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত স্কুলের বেতন পরিশোধ করতে ব্যর্থ হওয়ায় নাম কাটা পড়েছিল। আমার জীবন অনেক কষ্টের মধ্যে অতিবাহিত হয়েছে। দারিদ্র্য জয় করেই আমি মন্ত্রী হয়েছি। সপ্তম থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত পড়ার সময় বেতন দিতে পারিনি। এসএসসি পরীক্ষার ফর্ম পূরণের সময় টাকা দিয়ে পাশের বাড়ির একজন সহায়তা করেছিলেন। আমি সংগ্রাম করেই এই পর্যন্ত এসেছি। মানুষ ইচ্ছা করলে সব কিছুই পারে। জীবনে অসম্ভব বলতে কিছু নেই- উল্লেখ করেন তিনি। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ভারতের রাষ্ট্রদূত হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা গান্ধী আশ্রমের কার্যক্রমকে প্রশংসা করে বলেন, সমাজ পরিবর্তনে গান্ধী দর্শনের কোন বিকল্প নেই। একই সঙ্গে তিনি গান্ধী আশ্রমের কাজকে এগিয়ে নেয়ার আহ্বান জানান। বলেন, আগামীকাল (আজ রবিবার) বিশ্ব অহিংস দিবস। ভারত সরকার এদিবসটিকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে। এদিবসটি প্রতিষ্ঠায় ভারত অনেক গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। তিনি আরও বলেন, দেশের সকল যুবা যদি নিজেকে গান্ধী দর্শনে আত্মনিয়োগ করে তবে শান্তি প্রতিষ্ঠা হবে। দেশে শান্তি, অহিংসা ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি প্রসারে গান্ধী দর্শন অবদান রাখবে। গান্ধী শুধু ভারত ও বাংলাদেশের নয় সমগ্র বিশ্বের উল্লেখ করেন। গান্ধী ট্রাস্টের সভাপতি ড. দেবপ্রিয় ভট্টচার্য অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তৃতায় বলেন, বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠায় আজ গান্ধী আদর্শ সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। পারস্পরিক হিংসা দ্বেষ ভুলে শান্তি ও সংহতি প্রতিষ্ঠায় গান্ধীর আদর্শের কোন বিকল্প নেই উল্লেখ করেন। সভায় অন্যান্যের মধ্যে অংশ নেন ইউএনডিপি বাংলাদেশ অফিসের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর নিক বেরেসফোর্ড, পঙ্কজ দেবনাথ এমপি, উষাতন তালুকদার এমপি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস, জাগো ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা করভী রাকশান্দ, টিচ ফর বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা মায়মুনা আহমেদ, দেশ গ্রুপের পরিচালক ভিদিয়া অমৃত খান প্রমূখ।
×