ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

মঞ্চ মাতালেন নেহা কক্কর

প্রকাশিত: ০৩:৫৬, ২ অক্টোবর ২০১৬

মঞ্চ মাতালেন নেহা কক্কর

গৌতম পাণ্ডে ॥ বলিউডের ‘বার বার দেখো’, ‘কালা চশমা’ আর ঢালিউডের ‘অগ্নি টু’ চলচ্চিত্রের গায়িকা নেহা কক্করের গাওয়া ‘ম্যাজিক মামনি’ গানটি এখন সবার মুখে মুখে। কয়েক মাস আগে ঢাকার বেইলী রোডের অফিসার্স ক্লাবের একটি ঘরোয়া অনুষ্ঠানে তিনি গান গাইতে এসেছিলেন। আবারও নাচে-গানে ঢাকার দর্শক মাতালেন এই শিল্পী। ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারে শুক্রবার সন্ধ্যায় ‘নেহা কক্কর লাইভ ইন ঢাকা’ শিরোনামের এই কনসার্টের আয়োজন করে ই-মেকার্স বাংলাদেশ। শিল্পী নেহা কক্কর শুক্রবার সকালেই বোম্বে থেকে উড়ে এসে হোটেলে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে ছুটে আসেন বসুন্ধরার আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারে। ছোট মিলনায়তনে অনুষ্ঠান হচ্ছে দেখে কনসার্টপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে কিছুটা আফসোসও করেছিলেন এই গায়িকা। তবে মঞ্চে উঠে বাঙালী তরুণ-তরুণীসহ নানা বয়সী দর্শক শ্রোতার বিপুল সাড়া পেয়ে ক্লান্তি ভুলে একের পর এক হিন্দী, পাঞ্জাবি ও বাংলা গান ও গানের সঙ্গে নেচে গেয়ে দর্শক মাতিয়ে রাখেন। একপর্যায়ে নাচে গানে তাল মেলানো দর্শকদের উদ্দেশ্যে নেহা কাক্কার বলতে বাধ্য হন। বাংলাদেশের গানের শ্রোতাদের তিনি কখনও ভুলবেন না। তিনি সঙ্গে আসা টিমের অন্য সদস্যেদের দর্শকদের অভূতপূর্ব সাড়া পাওয়া দৃশ্য ধারণ করার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের দর্শকদের কাছে আমি বাংলাদেশের গানপাগল দর্শকদের কথা বলব। রাতে কনসার্ট যখন জমে উঠেছে। কনভেনশন সেন্টারের উপরে ও নিচে কানায় কানায় পরিপূর্ণ দর্শক যখন নাচে গানে উন্মাতাল, তখনই নেহা কক্কর ঘোষণা দেন, এখানে তার একজন ভক্ত থাকার কথা। তার নাম রাইসা। নেহা মাইকে জোরে জোরে শব্দ করে জানতে চান রাইসা নামের কেউ আছে কিনা। তিনি ইংরেজীতেও আরএআইএসএ বানান করে বলেন। কিছুক্ষণ সাড়া-শব্দ না পেয়ে যখন গানে ফিরে যাবেন তখনই দূর থেকে ছুটে আসে রাইসা। রাইসাকে মঞ্চের দিকে দৌড়ে আসতে দেখে নেহা, ‘ইউ উড ফল, বি কেয়ারফুল সুইটি’ বলে ধীরে হেঁটে আসতে বলেন। মঞ্চের সামনে গিয়ে হাত বাড়ায়। কিন্তু মঞ্চে থেকে নেহা তাকে তুলতে না পেরে আয়োজকদের মঞ্চের পেছন দিয়ে তার ভক্তকে মঞ্চে নিয়ে আসার অনুরোধ জানান। এ সময় তিনি বলেন, রাইসার চেহারা তার কাছে পরিচিত। পরে নেহা রাইসাকে তার সঙ্গে ড্যান্স করবে কিনা গাইবে কিনা জিজ্ঞাসা করলে রাইসা খুশিতে লাফাতে থাকে। নেচে গেয়ে আনন্দ করার পর সেলফি তোলার আবদার করলে নেহা রাইসাকে জড়িয়ে ধরে সেলফি তোলার সুযোগ দেন। দর্শকের হৃদয় ছুঁয়ে গেছে সোয়া দুই ঘণ্টার মনমাতানো নাচ ও গান। অনেকদিন পর তরুণ-তরুণীসহ বিভিন্ন বয়সী গানের শ্রোতারা নেহা কাক্কারের সুরেলা কণ্ঠের জনপ্রিয় গানের সঙ্গে প্রাণ খুলে নেচেছেন, গেয়েছেন, নেহার আহ্বানে গানে কণ্ঠও মিলিয়েছেন। এছাড়া দেশের বাউল শিল্পী শফি মণ্ডল, জয়, মৌসুমী ও আনিকার গানেও দর্শক তৃপ্ত হন। রাত ৮-৫৪ মিনিটে মঞ্চে ওঠেন নেহা কাক্কার। একে একে গেয়ে চলেন- সেকেন্ড হ্যান্ড জাওয়ানি, আজ দিল হে পানি পানি, কাভ তাক জাওয়ানি ছোপাওগি রানি, গোলাপি আঁখি যে তেরি দেখি, সাত সমুদ্দর পার... তেরি পিছে পিছে আগায়ি, জিয়া যায়ে না যায়ে না তেরা বিনা রে, সানি সানি, কালে চশমা, কারমে মিউজিক বাজা ইত্যাদি গান।
×