ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ০২ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১

ক্লিনটনের সাবেক প্রেমিকাকে সামনের আসনে বসাবেন রিপাবলিকান প্রার্থী!

সমান সমান অবস্থান থেকে হিলারি-ট্রাম্প প্রথম বিতর্ক

প্রকাশিত: ০৪:০৩, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬

সমান সমান অবস্থান থেকে হিলারি-ট্রাম্প প্রথম বিতর্ক

জনমত জরিপে দেখা গেছে, হিলারি ক্লিনটন ও ডোনাল্ড ট্রাম্প এখন জনসমর্থনের দিক দিয়ে সমান সমান অবস্থানে রয়েছেন। ঠিক এমনই একটা অবস্থায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দীর্ঘ প্রচার অভিযান বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার সকাল সাতটায় (নিউইয়র্ক সময় সোমবার রাত নয়টা) ৯০ মিনিটের টিভি বিতর্কে গড়াচ্ছে। প্রায় নয় কোটি লোক ৮ নবেম্বরের নির্বাচনের ছয় সপ্তাহ আগে নিউইয়র্কের হফস্ট্রা ইউনিভার্সিটিতে আয়োজিত এই বিতর্ক অনুষ্ঠান টিভিতে দেখবে বলে ধারণা করা হচ্ছে, সংখ্যার দিক দিয়ে যা রেকর্ড হতে পারে। অনেক মার্কিন নাগরিক বুঝতে পারছেন না, এই বাগ্্যুদ্ধে কী আলোচনা হতে পারে। সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি (৬৮) ইস্যুভিত্তিক আলোচনায় বেশ পারদর্শী। অন্যদিকে ধনকুবের ও সাবেক টিভি রিয়েলিটি স্টার ট্রাম্প (৭০) আনপ্রেডিক্ট্যাবল হিসেবে খ্যাত। ইস্যুকে এড়িয়ে তিনি লাইমলাইটে আসতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। খবর এএফপি ও ইয়াহু নিউজের। ওয়াশিংটন পোস্ট ও এবিসি নিউজের জনমত প্রকাশিত হওয়ার একদিন পর এই বিতর্ক অনুষ্ঠিত হচ্ছে। জনমত জরিপে দেখা গেছে, গত মাসে থেকে ট্রাম্পের সঙ্গে হিলারির যে সামান্য ব্যবধান ছিল তাও এখন আর নেই। হিলারি ও ট্রাম্প দুজনের প্রতি ৪৬ শতাংশ রেজিস্টার্ড ভোটারের সমর্থন রয়েছে। সম্ভাব্য ভোটারদের সমর্থনও কার্যত সমান। এই মুহূর্তে হিলারি ও ট্রাম্পের প্রতি সম্ভাব্য ভোটারদের সমর্থন যথাক্রমে ৪৫ ও ৪৪ শতাংশ। অনেক বিশ্লেষক বলছেন, বিতর্কে জিতলেই সাধারণত প্রার্থীদের জয় আসবে এমনটি না। কিন্তু হারলে এটি নির্বাচনে তাদের হারাবে। একটি বাক্য অথবা সামান্য ভুল মারাত্মক ক্ষতি ডেকে আনতে পারে। এদিকে রিপাবলিকান প্রার্থী ট্রাম্প সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের সাবেক প্রেমিকা জেনিফার ফ্লাওয়ার্সকে সামনের আসনে বসে এই বিতর্কে উপস্থিত থাকার আমন্ত্রণ জানানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। আরকানসাস অঙ্গরাজ্যের গবর্নর থাকাকালে বিল ক্লিনটন জেনিফার ফ্লাওয়ার্সের সঙ্গে গোপন প্রণয়ে জড়িয়ে পড়েন। তবে প্রচার শিবিরের ম্যানেজার সিএনএনকে বলেছেন, আসলে ফ্লাওয়ার্সকে আমন্ত্রণ জানানোর কোন পরিকল্পনা নেই। বিতর্কের আয়োজক নির্দলীয় প্রেসিডেন্সিয়াল ডিবেট কমিশনের অন্যতম সভাপতি ফ্রাঙ্ক ফারেনকফসি ট্রাম্পের সিদ্ধান্তে দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, বিতর্ক থেকে নজর সরিয়ে নেয়ার যে কোন চেষ্টাই হবে ভুল। কমিশনের কাছ থেকে টিকেট সংগ্রহ করে নিজের পছন্দমতো ব্যক্তিকে সম্মুখ সারির আসনে বসানো হলে তা হবে দুঃখজনক। উল্লেখ্য, নয় শতাংশ ভোটার এখনও সিদ্ধান্ত নেয়নি যে, তারা কাকে ভোট দেবে। এবার যে ঘটনাগুলো ঘটেছে তা ইতোপূর্বে কখনও ঘটেনি। যেমন ট্রাম্প সবসময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করছেন। মাঝে মাঝেই তিনি ভুল করছেন। ভুল বিবৃতি দিচ্ছেন এবং মিথ্যাচার করছেন। তবে এগুলোতে তার সমস্যায় পড়তে হবে বলে মনে হচ্ছে না।
×