নিজস্ব সংবাদদাতা, নওগাঁ ॥ নওগাঁর রাণীনগরে রক্তদহ বিলসহ বিভিন্ন জলাশয়ে নিষিদ্ধ সুতি জাল দিয়ে ছেড়ে দেয়া মুক্ত পোনা মাছ অবাধে নিধন করছে একটি অসাধু মহল। কোন কিছুকে তোয়াক্কা না করে মৎস্য অফিসের নাকের ডগায় এই নিষিদ্ধ জাল দিয়ে মাছ ধরলেও নীরব ভূমিকা পালন করছে মৎস্য অফিসের কর্তাব্যক্তিরা।
সম্প্রতি স্থানীয় সংসদ সদস্য রক্তদহ বিল সংলগ্ন বিল আবরায় কয়েক মণ মাছের পোনা অবমুক্ত করেন। যাতে এই মাছ গুলো মুক্ত জলাশয়ে বড় হয়ে এলাকার বিভিন্ন খাল ও জলাশয়ে বংশ বিস্তার করবে। ফলে এই সব মুক্ত জলাশয়ে সারা বছর মাছ পাওয়া যাবে। এতে ওইসব মুক্ত জলাশয় থেকে মাছ ধরে এলাকার গরীব মৎস্যজীবীরা জীবিকা নির্বাহ করবে। এদিকে কিছু রাজনৈতিক ব্যক্তিদের সঙ্গে আঁতাত করে কতিপয় মৎস্যজীবী নিষিদ্ধ সুতি জাল দিয়ে পোনা ও রেনু পোনা মাছ নিধন করছে। সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলা সদরের বেলোবাড়ি-দাউদপুর, সিংড়াডাঙ্গা ও সাতানী (পূর্ব চকবলরাম) গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে রক্তদহ বিল থেকে আসা রতনদাঁরী খাল। সম্প্রতি উপজেলার এই খালগুলো সরকার পুনরায় খনন করেছে যাতে এই খাল গুলোতে সারা বছর পানি জমে থাকে এবং ছেড়ে দেয়া মাছগুলো মুক্ত ভাবে বড় হয়ে বংশ বিস্তার করতে পারে। আর এই খালগুলো থেকে সারা বছর এলাকার সাধারন মানুষ ও মৎস্যজীবীরা মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করতে পারবে। অথচ এই খালের পাঁচটি স্থানে সিংড়াডাঙ্গা গ্রামের রসুল প্রামাণিকের ছেলে ইসারুল বাসার (২৫) ও বায়েজিদ (২০) একই গ্রামের মৃত সামুদ আলীর ছেলে হাবিব (১৫), গোলাম মোস্তফার ছেলে রাকিবুল ইসলাম রনি ( ১৫) ও মৃত ওসমানের ছেলে বাবু (৪০) মৎস্য আইন ও উপজেলা মৎস্য অফিসকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বিভিন্ন মহলকে ম্যানেজ করে নিষিদ্ধ এই সুতি জাল দিয়ে প্রায় দুই মাস যাবত মাছ ধরে আসছে। এতে এই অঞ্চলে মা মাছ থেকে শুরু করে সকল প্রকারের মাছ ধরা পড়ছে এই মরণ ফাঁদ সুতি জালে। অর্থের লোভে পোনা মাছ থেকে শুরু করে মা মাছ পর্যন্ত ধরে বাজারে বিক্রিসহ চালান করছে দেশের বিভিন্ন বড় বড় বাজারে। এব্যাপারে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. মেহেদী হাসান সাংবাদিকদের জানান, সুতি জাল নিষিদ্ধ। এই জাল দিয়ে মাছ ধরা বে-আইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
