ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১

কোচ ছাঁটাইয়ের মিছিলে এবার চট্ট. আবাহনীর পাভলিক

প্রকাশিত: ০৭:১৭, ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৬

কোচ ছাঁটাইয়ের মিছিলে এবার চট্ট. আবাহনীর পাভলিক

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ কোচ ছাঁটাইয়ের যেন হিড়িক পড়েছে পেশাদার ফুটবল লীগে। প্রথমে শেখ রাসেলের মারুফুল হক। তারপর শেখ জামাল ধানম-ি থেকে শফিকুল ইসলাম মানিক। এ তালিকার সর্বশেষ সংযোজন চট্টগ্রাম আবাহনীর জোযেফ পাভলিক। বলা হয়ে থাকে ফুটবলে অধিনায়ক কেবল নামেই অধিনায়ক, আসলে তিনি খেটে খাওয়া শ্রমিক ছাড়া কিছুই নন। আসল অধিনায়ক যদি কাউকে বলতে হয়, তাহলে তিনি হচ্ছেন কোচ। তার দিক-নির্দেশনায়, পরিচালনায়-পরিকল্পনায় দলের জয় বা ড্র নির্ধারিত হয়। ফুটবল দলকে যদি একটা জাহাজের সঙ্গে তুলনা করা হয়, তাহলে নিঃসন্দেহে সে জাহাজের ক্যাপ্টেন হচ্ছেন কোচ। শিপ ক্যাপ্টেন এবং ফুটবল কোচের মধ্যে আরেকটি মিল আছে। জাহাজডুবি হলে দায়ী করা হয় ক্যাপ্টেনকে, তেমনি দলের ভরাডুবি ঘটলে বা সাফল্য না ফেলে বলিরপাঁঠা বানানো হয় এ কোচ মহাশয়কেই। এই যেমন বলিরপাঁঠা হলেন জোযেফ প্যাভিলিক। চট্টগ্রাম আবাহনী লিমিটেডের এই সেøাভাকিয়ান কোচকে বরখাস্ত করেছে ক্লাব কর্তৃপক্ষ। সম্প্রতি ফেডারেশন কাপের প্রথম রাউন্ড থেকেই চট্টগ্রাম আবাহনী বাদ পড়ায় তখন থেকেই চাপে ছিলেন প্যাভিলিক। চলমান বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগে সবচেয়ে ব্যয়বহুল (১২ কোটি টাকা) দল গড়ার পর সে অনুযায়ী ভাল খেলতে পারছিল না বন্দরনগরীর এই দলটি। ৭ খেলায় জিতেছে মাত্র তিনটিতে। ড্র করেছে ৩ ম্যাচে। আর হেরেছে ১ ম্যাচে। পয়েন্ট ১২। অবস্থান তৃতীয়। হারটি রহমতগঞ্জের কাছে। শেষ দুটি ম্যাচে জিততে পারেনি তারা। ফলে বিষয়টি মেনে নিতে পারেনি ক্লাব ম্যানেজমেন্ট। ধৈর্য হারান তারা। দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে দেন পাভলিককে। অথচ মাত্র চার মাস আগেই গত মেতে স্বাধীনতা কাপে চট্টগ্রাম আবাহনীকে শিরোপা জিতিয়েছিলেন পাভলিক। গত মার্চে শফিকুল ইসলাম মানিককে চট্টগ্রাম আবাহনী ছেড়ে শেখ জামাল ধানম-িতে চলে গেলে তার স্থলাভিষিক্ত হয়েছিলেন পাভলিক। কিন্তু সাত মাসের বেশি টিকতে পারলেন না তিনি। শুধু তিনি নন, ছাঁটাই করা হয়েছে সহকারী কোচ হাসান আল মামুনকেও। এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম আবাহনীর ম্যানেজার শাকিল মাহমুদ চৌধুরীর ভাষ্য, ‘দলের টানা ব্যর্থতার কারণেই ম্যানেজমেন্ট কমিটি পাভলিক এবং হাসান আল মামুনকে বরখাস্ত করেছে।’ এক মৌসুমের জন্য প্যাভলিকের সঙ্গে চুক্তি করেছিল ক্লাবটি। এখন তার অবর্তমানে নজরুল ইসলাম লেদু ভারপ্রাপ্ত কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। গত মার্চের শেষদিকে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) ভবনে সংবাদ সম্মেলন করে এই কোচকে পরিচয় করিয়ে দেন ক্লাবটির কর্মকর্তারা। প্যাভলিকের খেলোয়াড়ি জীবনের শুরু হয় ১৯৯৩ সালে সেøাভাকের দ্বিতীয় বিভাগের ক্লাব সেøাভান লিভাইসে। খেলতেন মিডফিল্ড পজিশনে। সর্বশেষ খেলেছেন ২০০৪ সালে অস্ট্রেলিয়ান ক্লাব মিস্টেলবিচে। ২০০৫ সালে কোচিং ক্যারিয়ার শুরু করেন সেøাভাকিয়ান বিখ্যাত ক্লাব এফসি নিটরা ক্লাবে। অনুর্ধ-১৩, ১৪, ১৫ দলের হেড কোচ হিসেবে এই ক্লাবে কোচিং করেছেন তিনি। এরপর বিভিন্ন সময়ে গ্রিক, সেøাভাক এবং লিবিয়ায় সহকারী কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এখন দেখার বিষয়, পাভলিক ছাড়া কতটা সফল হয় চট্টগ্রাম আবাহনী।
×