ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১

সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে চুক্তি সই

প্রকাশিত: ০৬:০৫, ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৬

সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে চুক্তি সই

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বহুল আলোচিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়েছে। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর বিশাল এ প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। জাপানী প্রতিষ্ঠান ‘নিপ্পন কয়ী’ কোম্পানির সঙ্গে এ চুক্তি স্বাক্ষর করেছে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। বুধবার সকালে কুর্মিটোলায় বেবিচকের প্রধান কার্যালয়ে এ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন বেবিচকের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এহসানুল গনি চৌধুরী এবং নিপ্পন কয়ী কোম্পানির ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল তশিকাজু কামবার। চ্ুিক্ত স্বাক্ষর শেষে এয়ার ভাইস মার্শাল এহসানুল গনি চৌধুরী সাংবাদিকদের জানান, বিমানবন্দরের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ আগামী ১৮ মাসের মধ্যে সম্পন্ন হবে। এ কাজে ব্যয় হবে ১২০ কোটি টাকা। এ প্রকল্পের অর্থায়ন করবে সিভিল এভিয়েশন অথরিটি অব বাংলাদেশ (ক্যাব)। এ প্রতিষ্ঠানটি সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে স্থান ও মহাপরিকল্পনা করবে। তিনি বলেন, সম্ভ্যবতা যাচাইয়ের পাশাপাশি জাপানী প্রতিষ্ঠানটি বিমানবন্দরের জন্য স্থান নির্ধারণের বিষয়ে পরামর্শ দেবে। একই সঙ্গে মহাপরিকল্পনা প্রস্তুত করবে। বিমানবন্দর কোন এলাকায় নির্মাণ করা হবে সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোন তথ্য না জানালেও দেশের দক্ষিণাঞ্চলকে প্রাধান্য দেয়ার বিষয়ে ইঙ্গিত দেন ক্যাব চেয়ারম্যান। তিনি আরও জানান, বঙ্গবন্ধু বিমানবন্দর নির্মাণ করতে অনেক সময় লাগবে। তার আগ পর্যন্ত পরিস্থিতি মোকাবিলায় বর্তমানের প্রধান বিমানবন্দর শাহজালালে নির্মাণ করা হবে থার্ড টার্মিনাল। আগামী তিন বছরের মধ্যে থার্ড টার্মিনাল নির্মাণ কাজ শেষ হয়ে গেলে তখন আন্তর্জাতিক পরিম-লে বাংলাদেশে হাব করার উজ্জ¦ল সম্ভাবনা দেখা দিবে। তখন বিশ্বমানের সেবা ও মান নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। বঙ্গবন্ধু বিমানবন্দরের মতো বিশাল প্রকল্পের কাজ করার জন্য নিপ্পন কোম্পাানি কতটা নির্ভরযোগ্য জনকণ্ঠের এমন এক প্রশ্নের জবাবে সিভিল এভিয়েশনের প্রধান প্রকৌশলী সুধেন্দু বিকাশ গোস্বামী সাংবাদিকরদের বলেন, আজকের এ ঐতিহাসিক চুক্তি স্বাক্ষরের আগে অনেক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হয়েছে। প্রথমত এ প্রকল্পের জন্য দরপত্র ডাকা হলে আন্তর্জাতিক বেশ কটি পরামর্শক কোম্পানি অংশ নেয়। এ সব কোম্পানির প্রস্তাব পর্যবেক্ষণ করে নিপ্পন কয়ী কোম্পানিকে যোগ্যতর বিবেচনা করেই অত্যন্ত স্বচ্ছতার মাধ্যমে বাছাই করা হয় এবং কার্যাদেশ দেয়া হয়। জাপানের শীর্ষস্থানীয় ও নির্ভরযোগ্য হিসেবে সুনাম রয়েছে নিপ্পনের। বিশ্বের অনেক নামীদামী বিমানবন্দর তৈরির অভিজ্ঞতা রয়েছে এ কোম্পানির। চুক্তির শর্তানুযায়ী ১৮ মাসের মধ্যে এ প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব কিনা এ প্রতিনিধির এমন প্রশ্নের জবাবে প্রকল্প ম্যানেজার ইউহারা বলেন, এটা বড় কাজ তাতে কোন সন্দেহ নেই। নিপ্পন কোম্পানি ১৮ মাসেই বঙ্গবন্ধু প্রকল্পের সমীক্ষা প্রতিবেদন তৈরি করার যোগ্যতা রাখে এবং সম্ভব। উল্লেখ্য, ২০১০ সালের ৯ মার্চ বঙ্গবন্ধুর নামে বিমানবন্দর নির্মাণের উদ্যোগ নেয় সরকার। কিন্তু মাঝখানে এ প্রকল্পের কাজ থমকে যায়। এ অবস্থায় স্বপ্নের পদ্মা সেতুর কাজে প্রত্যাশিত অগ্রগতিতে সরকার আবারও বঙ্গবন্ধু বিমানবন্দরের প্রকল্পটি চাঙ্গা করার উদ্যোগ নেয়। গত বছর প্রধানমন্ত্রীর জাপান সফরের সময় এ প্রকলল্পটি সত্যিকার অর্থেই আলোর মুখ দেখতে পায়। তারই ধারাবাহিকতায় বর্তমান সরকারের অগ্রাধিকার প্রকল্পের বিবেচনায় আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করে সিভিল এভিয়েশন।
×