ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

হর্টিকালচারে ধরেছে ভিয়েতনামের বারোমাসি আম

প্রকাশিত: ০৪:১৭, ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৬

হর্টিকালচারে ধরেছে ভিয়েতনামের বারোমাসি আম

নিজস্ব সংবাদদাতা, মাগুরা, ২১ সেপ্টেম্বর ॥ বারো মাসই ফল ধরবে এমন একটি বিশেষ জাতের আমের সফল চাষ হয়েছে মাগুরায়। মাগুরা হর্টিকালচার সেন্টারের বাগানে প্রথম বারের ফলন হয়েছে এই নতুন জাতের আমের। ভিয়েতনাম থেকে এই জাতের আমের চারা এসেছে কৃষি বিভাগ। পরীক্ষামূলভাবে মাগুরা হর্টিকালচার সেন্টারের বাগানে দু’বছর আগে এই চারা লাগানো হয়। মাগুরা হর্টিকালচার সেন্টারের উদ্যানতত্ত্ববিদরা জানান, ভিয়েতনামে এই জাতের আমের নাম চুঁ। ৩ বছর আগে ভিয়েতনামে প্রশিক্ষণে গিয়ে সেখানকার জার্ম প্লাজম কালেকশন সেন্টার থেকে মাগুরা হর্টিকালচারের কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম এই আমের ৩টি চারা নিয়ে আসেন। ওই বছরই এগুলো লাগিয়েছিলেন মাগুরা হর্টিকালচার সেন্টারের মাঠে। গতবছর চৈত্র-বৈশাখ প্রান্তিকে প্রথম ফলন আসে এই গাছে। পরবর্তীতে বর্তমান সময় পর্যন্ত ৩ বার মুকুল ও ফলন এসেছে সেখানে। গাছগুলোর বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, কিছু ডালে আম পরিপক্ব হতে না হতেই আরেকটি ডালে মুকুল এসে যায়। এভাবে ৪ মাস অন্তর এটিতে ফলন আসে। এ কারণে এটিকে বারোমাসি আম বলা হয়। পরিপক্ব আমগুলোর প্রতিটির ওজন ৪০০ থেকে ৫০০ গ্রাম। আমগুলো খেতে অনেক সুমিষ্ট। পাকলে গাঢ় হলুদ রঙ্গের হয়। গাছের উচ্চতা ৭ থেকে ৮ ফিট। এই জাতের আম সাধারণ জাতের তুলনায় প্রাকৃতিকভাবে দ্বিগুণ সংরক্ষণ ক্ষমতার অধিকারী। সাধারণ জাতের একটি পাকা আম গাছ থেকে তোলার পর বাড়িতে এক সপ্তাহ সংরক্ষণ করা যায়। এই জাতের আম সেক্ষেত্রে ১৫ দিন সংরক্ষিত থাকে। আগৈলঝাড়ায় প্রাইমারী স্কুলে ৯১ শিক্ষকের পদ শূন্য স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল ॥ ৩৬ প্রধান শিক্ষক ও ৫৫ সহকারী শিক্ষকের শূন্যতা নিয়ে দীর্ঘদিন খুঁড়িয়ে খুড়িয়ে চলছে আগৈলঝাড়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থা। শিক্ষক শূন্যতায় ওই সকল বিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকা-সহ কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পাঠদান চরমভাবে বিঘিœত হচ্ছে। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সিরাজুল হক তালুকদার জানান, উপজেলার ৬৫টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ১৯টি, সম্প্রতি জাতীয়করণ হওয়া ২৯টি রেজিস্ট্রি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ১৬টি ও পাইলট প্রকল্পের আওতায় বাগধা ইউনিয়নের সোমাইরপার বানী বিতান বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক সহ মোট ৩৬টি প্রধানশিক্ষকের পদ দীর্ঘদিন থেকে শূন্য রয়েছে। সূত্রমতে, উপজেলায় সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর ৩২০টি সহকারী শিক্ষক পদের মধ্যে ৩৯টি, প্রাক-প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৬৫টি পদের মধ্যে ১০টি, জাতীয়করণকৃত ১১৬টি পদের মধ্যে ২টি ও পনেরো শ’ পাইলট প্রকল্পের বিদ্যালয়ে ৪টিসহ সর্বমোট ৫৫ জন সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। অপরদিকে স্কুলগুলোতে নৈশপ্রহরী কাম পিওন পদে ১৮টি বিদ্যালয়ে প্রথম ধাপে প্রকল্পের আওতায় জনবল নিয়োগ সম্পন্ন করা হলেও ৪৭টি বিদ্যালয়ে ৪৭ জন নৈশপ্রহরী কাম পিওন শূন্য রয়েছে।
×