ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১

সাভারে লবণযুক্ত কাঁচা চামড়ার প্রক্রিয়াকরণ শুরু

প্রকাশিত: ০৪:২৬, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬

সাভারে লবণযুক্ত কাঁচা চামড়ার প্রক্রিয়াকরণ শুরু

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ প্রথমবারের মতো সাভারে লবণযুক্ত কাঁচা চামড়া প্রস্তুত শুরু হয়েছে। এবারের ঈদে সাভারের হেমায়েতপুরে চামড়া শিল্পনগরীতে ৭টি ট্যানারি প্রাথমিকভাবে কাজ শুরু করেছে। শনিবার সকালে শিল্পনগরীটি ঘুরে জানা গেছে, আজমীর ট্যানারিতে ৭ থেকে ৮ হাজার পিস কাঁচা চামড়া দিয়ে কাজ শুরু হয়েছে। এ্যাপেক্স, নবারুন, রিলায়েন্স, ভলুয়া ও রুমা ট্যানারিতেও চলছে চামড়া প্রক্রিয়াজাত। তবে এসব ট্যানারি থেকে যে হোয়াইট ব্লু বর্জ্য পাওয়া যাচ্ছে, তা দিয়ে সেন্ট্রাল ইফ্লুয়েন্ট ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট (সিইটিপি) সচল করা সম্ভব হচ্ছে না। সিইটিপি একটি বায়োলজিক্যাল ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট। তাই যে দুটি মডিউল চালু করা হয়েছে তাতে সাড়ে ১২ হাজার ঘনমিটার বর্জ্য দিতে না পারলে কাজই করবে না। আজমীর ট্যানারিতে গিয়ে দেখা গেছে, শ্রমিকরা লবণযুক্ত কাঁচা চামড়া বাছাই করছেন। আকার অনুযায়ী পৃথক ভাগে ফেলছেন কাঁচা চামড়া। আজমীর ট্যানারির মালিক হাজী শহিদ উল্যাহ বলেন, আমরা হোয়াইট ব্লুর কাজ এবার এখানেই করছি। তবে গ্যাস সংযোগ না পাওয়ায় ফিনিশিং এর কাজ করতে পারছি না। ফলে দুই জায়গাতেই দৌড়াতে হচ্ছে। এখান থেকে হোয়াইট ব্লুর কাজ শেষ করে হাজারীবাগে ফিনিশিংয়ের কাজ করতে হচ্ছে। এতে ব্যবসায় ক্ষতি হচ্ছে। শহিদ উল্যাহ বলেন, প্রতি বছর ঈদের সময় ১৫ হাজার পিস কাঁচা চামড়া কিনলেও এবার ৭-৮ হাজার পিস কাঁচা চামড়া কিনেছি। সাভার এবং হাজারীবাগ দুই জায়গায় দৌড়ানোতে এবার ঝুঁকি নিতে চাইনি বলেই কম কিনেছি। লবণযুক্ত কাঁচা চামড়া কেমিক্যাল দিয়ে মেশিনের মাধ্যমে প্রসেস করার পর লোম, চর্বি, টুকরা মাংস, হাড়, কান, শিং ফেলে দেয়ার পর সাদা যে অংশ থাকে তাকেই হোয়াইট ব্লু বলে। বিএইচবিএফসি’র নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফরোজা গুল নাহার সম্প্রতি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে আফরোজা গুল নাহারকে পদোন্নতি দিয়ে বিএইচবিএফসিতে পদায়ন করায় তিনি প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে যোগদান করেন। বিএইচবিএফসিতে যোগদানের পূর্বে তিনি জনতা ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে কর্মরত ছিলেন। আফরোজা গুল নাহার বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ থেকে কৃষি অর্থনীতিতে সম্মানসহ স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করেন। তিনি ১৯৮৩ সালে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে প্রবেশনারি অফিসার হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। -বিজ্ঞপ্তি
×