ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

তামিম চৌধুরীকে জীবিত ধরতে পুলিশ আড়াই ঘণ্টা অপেক্ষা করেছিল

প্রকাশিত: ০৮:৪৪, ৩১ আগস্ট ২০১৬

তামিম চৌধুরীকে জীবিত ধরতে পুলিশ আড়াই ঘণ্টা অপেক্ষা করেছিল

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নব্য জেএমবি ও বাংলাদেশে আইএসের কথিত প্রধান তামিম আহমেদ চৌধুরী ছিল সুইসাইডাল স্কোয়াডের সদস্য। তাকে ধরা খুবই বিপজ্জনক ছিল। তারপরও পুলিশ সকাল ছয়টা থেকে সাড়ে আটটা পর্যন্ত অপেক্ষা করেছিল তাদের জীবিত অবস্থায় ধরার জন্য। আত্মসমর্পণ করার প্রস্তাবও দেয়া হয়েছিল। কিন্তু তাতে সাড়া দেয়নি। এ জন্য তামিম চৌধুরীকে দুই সহযোগীসহ জীবিত অবস্থায় ধরা সম্ভব হয়নি। গুলশান ও শোলাকিয়ায় হামলাসহ অনেক ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিল তামিম আহমেদ চৌধুরী। মঙ্গলবার রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইনের শহীদ এসআই শিরু মিয়া মিলনায়তনে গুলশান ও শোলাকিয়ায় জঙ্গী হামলায় শহীদ পুলিশ সদস্যদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন পুলিশ মহাপরিদর্শক একেএম শহীদুল হক। তামিম আহমেদ চৌধুরীকে জীবিত না ধরার কারণে সমালোচনার বিষয়ে তিনি বলেন, তামিম চৌধুরী ছিল সুইসাইডাল স্কোয়াডের সদস্য। তাকে জীবিত ধরা খুবই বিপজ্জনক ছিল। তারপরও সকাল ছয়টা থেকে সাড়ে আটটা পর্যন্ত সময় দেয়া হয়েছিল। আত্মসমর্পণ করার প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল। আত্মসমর্পণ না করে উল্টো পুলিশকে লক্ষ্য করে গ্রেনেড হামলা চালায়। এরপরই অপারেশন চালানো হয়। অনুষ্ঠানে ডিএমপি কমিশনার মোঃ আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, মিথ্যা সমালোচনা করে পুলিশকে দমানো যাবে না। পুলিশ যে কোন পরিস্থিতিতে পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছে। গুলশান, শোলাকিয়া, কল্যাণপুর ও নারায়ণগঞ্জের ঘটনা তারই প্রমাণ। অনুষ্ঠানে গুলশান ও শোলাকিয়া হামলায় নিহত চার পুলিশ সদস্য ও আহত তিন পুলিশ সদস্যকে মোট ১ কোটি ২৮ লাখ টাকার অনুদান দেয়া হয় পুলিশ সদর দফতর, ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) ও পুলিশ সার্ভিস এ্যাসোসিয়েশনের তরফ থেকে। অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত আইজিপি মোখলেছুর রহমান ও শহীদ পরিবারের সদস্যবৃন্দ ছাড়াও পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
×