ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ০২ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১

সফল ৭ মহাকাশযান

প্রকাশিত: ০৬:৫৪, ১৯ আগস্ট ২০১৬

সফল ৭ মহাকাশযান

অপরচুনিটি ২০০৩ সালে মঙ্গলগ্রহে নাসার পাঠানো দুটি মহাকাশযানের একটি অপরচুনিটি। সে বছর ৭ জুলাই ফ্লোরিডার কেপ ক্যানাভেরাল এয়ারফোর্স স্টেশন থেকে অপরচুনিটি মঙ্গলগ্রহের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে। ২০০৪ সালের ২৫ জানুয়ারি এটি মঙ্গলে অবতরণ করে। অপরচুনিটি মঙ্গলগ্রহ সম্পর্কে বিভিন্ন নতুন তথ্য সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়েছে। অনেক আগে মঙ্গলের একটি অংশ ভেজা থাকার, অর্থাৎ গ্রহটিতে পানির অস্তিত্বের প্রমাণ পেয়েছে মহাকাশযানটি। অপরচুনিটি তার মিশনের সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরেও এখনও সচল রয়েছে এবং মঙ্গলে তার অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। এক্সোমার্স ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি এবং রোজকসমস স্টেট কর্পোরেশনের মহাকাশযান এক্সোমার্স। এই স্পেস রোভারটিকে ২০১৮ সালে মঙ্গলের উদ্দেশ্যে পাঠানোর পরিকল্পনা করা হয়েছিল, যে পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০১৯ সালে মহাকাশযানটির অমগলে অবতরণ করার কথা ছিল। কিন্তু এটির যাত্রার সময় পিছিয়ে ২০২০ সালের জুলাই মাসে এটিকে মঙ্গলগ্রহের উদ্দেশ্যে পাঠানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। এক্সোমার্সের মিশন হবে মঙ্গলগ্রহের ছবি তুলে পৃথিবীতে পাঠানো ও গ্রহটির নানা বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করা। জুনো বৃহস্পতি গ্রহে পাঠানো নাসার স্পেস জুনো। ২০১১ সালের ৫ আগস্ট কেইপ ক্যানাভেরাল এয়ারফোর্স স্টেশন থেকে মহাকাশযানটি বৃহস্পতির উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে। জুনো বৃহস্পতি গ্রহকে প্রদক্ষিণ করা দ্বিতীয় মহাকাশযান। বৃহস্পতি গ্রহের আবহাওয়া এবং জলবায়ু সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহের জন্য পাঠানো হয় জুনোকে। কিওরিওসিটি মঙ্গলগ্রহে নাসার পাঠানো চতুর্থ এবং সবচেয়ে উন্নত রোবোটযান কিওরিওসিটি রোভার। ২০১১ সালের নবেম্বর মাসে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার কেপ ক্যানাভেরাল থেকে এটি মঙ্গলের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে এবং নয় মাসের ভ্রমণ শেষে মঙ্গলে অবতরণ করে। এই মহাকাশযানটি তৈরি করতে খরচ হয়েছে প্রায় ২৬০ মার্কিন ডলার। কিওরিওসিটির মিশনের উদ্দেশ্য মঙ্গলগ্রহের আবহাওয়া ও প্রাণের অস্তিত্ব অনুসন্ধান করা। ইতোমধ্যে মঙ্গলে পানির অস্তিত্বের প্রমাণ পেয়েছে রোবোটযানটি। আকাতসুকি জাপান এরোস্পেস এক্সপ্লোরেশন এজেন্সির শুক্র গ্রহ প্রদক্ষিণকারী মহাকাশযান আকাতসুকি। একে প্ল্যানেট-সি বা ভেনাস ক্লাইমেট অরবিটারও বলা হয়ে থাকে। ২০১০ সালের ২০ মে মহাকাশযানটি পৃথিবী থেকে শুক্র গ্রহের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে। আকাতসুকির মূল উদ্দেশ্য শুক্র গ্রহের কক্ষপথ প্রদক্ষিণ করে ইনফ্রারেড ক্যামেরায় গ্রহের বায়ুমণ্ডল এবং মেঘের ছবি তোলা। ফিনিক্স মঙ্গলগ্রহে পাঠানো নাসার আরেকটি রোভার ফিনিক্স। ২০০৭ সালের ৪ আগস্ট পৃথিবী থেকে যাত্রা শুরু করে। ২০০৮ সালের ২৫ মে ফিনিক্স মঙ্গলগ্রহে অবতরণ করে। মঙ্গলে জীবাণুর সন্ধান এবং পানির অস্তিত্ব বিষয়ে তথ্য সংগ্রহের জন্য ফিনিক্সকে পাঠানো হয়। মহাকাশযানটিকে ৯০ দিনের মিশনে পাঠানো হলেও এটি আরও কিছুদিন মঙ্গলে মিশন চালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছিল। ফিনিক্সের কাছ থেকে সর্বশেষ সিগন্যাল পাওয়া গিয়েছিল ২০০৮ সালের ২ নবেম্বর এবং ১০ নবেম্বর ফিনিক্স মিশন কন্ট্রোল মহাকাশযানটির সঙ্গে সমস্ত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার সংবাদ জানায়। ইয়ুতু চায়না ন্যাশনাল স্পেস এ্যাডমিনিস্ট্রেশনের স্পেস রোভার ইয়ুতু। ২০১৩ সালের ১ ডিসেম্বর মহাকাশযানটি পৃথিবী থেকে চাঁদের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে। ১৪ ডিসেম্বর চাঁদে অবতরণ করে ইয়ুতু। রোভারটি চাঁদের মাটি পরীক্ষা করে এবং চাঁদের ভূমিপৃষ্ঠের গঠন সম্পর্কিত তথ্য পাঠায় পৃথিবীতে। ২০১৫ সালের অক্টোবর মাসের শেষদিকে দীর্ঘতম সময়ে চাঁদে অবস্থান করা রোভার হিসেবে রেকর্ড তৈরি করে ইয়ুতু। ২০১৬ সালের ৩ আগস্ট জানানো হয় ইয়ুতুর অপারেশনের সমাপ্তি ঘোষণা কয়ার হয়। ভাবনার সঙ্গে সঙ্গে রং করবে কলম আশপাশে থাকা যে কোন গাছ, পাতা, ফল এমনকি জামা থেকে পছন্দের রং স্ক্যান করে সংগ্রহ করবে কলম। ছবি আঁকতে বসে মনের মতো রং নিয়ে তাই আর চিন্তা নেই। ক্রঞ্জি পেন নামের বিশেষ প্রযুক্তির কলমটি যে কোন বস্তুকে স্পর্শ করলেই সেটির রং শনাক্ত করে। এরপর স্বয়ংক্রিয়ভাবে কালি তৈরি করতে পারে। স্মার্টফোন থেকেও রং পছন্দ করে ব্যবহার করা যাবে এ বিশেষ কলমটিতে। সূত্র : ডেইলি মেইল রোবট থেরাপিস্ট পেশীতে টান পড়াসহ আহত রোগীর শরীরে নির্দিষ্ট মাত্রায় ম্যাসাজ করতে পারে ‘ইম্মা’। ইম্মা নামটি এসেছে ‘এক্সপার্ট ম্যানিপুলেটিভ ম্যাসেজ অটোমোশন’ থেকে। ডাক্তারদের সহায়তায় কাজ করতে সক্ষম ম্যাসাজ থেরাপিস্ট রোবোটটির দেখা মিলবে সিঙ্গাপুরে। প্রাথমিক অবস্থায় ৫০ জন প্রফেশনাল এ্যাথলেটিক্সকে ম্যাসেজের মাধ্যমে চিকিৎসাও দেয়া হয়েছে। টেনিস এ্যালবো, ঘাড়ের ব্যথায় খুব বেশি কার্যকর ইম্মা। রোবটটি তৈরি করা হয়েছে ন্যানো টেকনোলজির মাধ্যমে। সূত্র : সায়েন্স ডেইলি
×