ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১

পাটের বস্তা ও ব্যাগ রফতানিতে আয় হয়েছে ৭৮ লাখ ডলার

পাট ও পাটজাত পণ্য রফতানিতে ৫৪৬ কোটি টাকা বৈদেশিক মুদ্রা আয়

প্রকাশিত: ০৩:৫২, ১৫ আগস্ট ২০১৬

পাট ও পাটজাত পণ্য রফতানিতে ৫৪৬ কোটি টাকা বৈদেশিক মুদ্রা আয়

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ ২০১৬-১৭ অর্থবছরের জুলাই মাসে কাঁচা পাট ও পাটজাত পণ্যের রফতানিতে বৈদেশিক মুদ্রা আয় হয়েছে ৬ কোটি ৯৭ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার বা প্রায় ৫৪৬ কোটি টাকা। এর মধ্যে কাঁচা পাট রফতানিতে আয় হয়েছে ২ কোটি ৫৫ লাখ মার্কিন ডলার; পাটের সুতা ও কু-লী রফতানিতে আয় হয়েছে ৩ কোটি ৩৩ লাখ মার্কিন ডলার এবং পাটের বস্তা ও ব্যাগ রফতানিতে আয় হয়েছে ৭৮ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার। বাংলাদেশ রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) আগস্ট মাসে প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে পাট ও পাটজাত দ্রব্য রফতানিতে আয় হয়েছিল ৯১ কোটি ৯৫ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার। চলতি অর্থবছরে এই খাতের রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৯৬ কোটি ৪০ লাখ মার্কিন ডলার। ২০১৬-১৭ অর্থবছরের জুলাই মাসে পাট ও পাটজাত পণ্যের রফতানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৮ কোটি ৭৯ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার। এর বিপরীতে আয় হয়েছে ৬ কোটি ৯৭ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২০ দশমিক ৬৮ শতাংশ কম। তবে সদ্য সমাপ্ত ২০১৫-১৬ অর্থবছরের প্রথম মাসের তুলনায় এ খাতের রফতানি আয় ২৫ দশমিক ৭১ শতাংশ বেড়েছে। গত অর্থবছরে পাট ও পাটজাত পণ্য রফতানিতে আয় হয়েছিল ৫ কোটি ৫৫ লাখ মার্কিন ডলার। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে কাঁচা পাট রফতানিতে আয় হয়েছিল ১৭ কোটি ৩১ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার; পাটের সুতা ও কু-লী রফতানিতে আয় হয়েছিল ৫৫ কোটি ৮৭ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার এবং পাটের বস্তা ও ব্যাগ রফতানিতে আয় হয়েছিল ১২ কোটি ২৫ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার। চলতি ২০১৬-১৭ অর্থবছরে কাঁচা পাট রফতানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৮ কোটি ২০ লাখ মার্কিন ডলার; পাটের সুতা ও কু-লী রফতানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫৯ কোটি মার্কিন ডলার এবং পাটের বস্তা ও ব্যাগ রফতানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১২ কোটি ৪০ লাখ মার্কিন ডলার। ইপিবির হালনাগাদ প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, চলতি অর্থবছরের জুলাই মাসে কাঁচা পাট রফতানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ১ কোটি ৬৬ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলার। এই সময়ে কাঁচা পাট রফতানিতে আয় হয়েছে ২ কোটি ৫৫ লাখ মার্কিন ডলার; যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৫৩ দশমিক ৫২ শতাংশ বেশি। একইসঙ্গে গত ২০১৫-১৬ অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৭৪ শতাংশ ৩০ শতাংশ বেশি বৈদেশিক মুদ্রা আয় হয়েছে এ খাতে। সদ্য সমাপ্ত অর্থবছরের জুলাই মাসে কাঁচা পাট রফতানিতে আয় হয়েছিল ১ কোটি ৪৬ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার। ২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রথম মাসে পাটের সুতো ও কু-লী রফতানিতে ৫ কোটি ৩৮ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও এ সময়ে আয় হয়েছে ৫ কোটি ৩৮ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩৮ দশমিক ১২ শতাংশ কম। তবে গত অর্থবছরের তুলনায় এ খাতে বৈদেশিক মুদ্রা আয় ১০ দশমিক ৯২ শতাংশ বেড়েছে। ২০১৫-১৬ অর্থবছরের প্রথম মাসে পাটের সুতো ও কু-লী রফতানিতে ৩ কোটি ৩০ হাজার মার্কিন ডলার আয় হয়েছিল। চলতি বছরের জুলাই মাসে পাটের বস্তা ও ব্যাগ রফতানিতে আয় হয়েছে ৭৮ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার; যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩০ দশমিক ৩৩ শতাংশ কম। তবে গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় এই খাতের আয় ২৭ দশমিক ৯২ শতাংশ বেড়েছে। সদ্য সমাপ্ত অর্থবছরের জুলাই মাসে পাটের বস্তা ও ব্যাগ রফতানিতে আয় হয়েছিল ৬১ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার। ইপিবির প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়েছে, চলতি অর্থবছরের জুলাই মাসে পাটের অন্যান্য দ্রব্য রফতানিতে আয় হয়েছে ৩০ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার; যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৫০ দশমিক ৩২ শতাংশ কম। একইসঙ্গে গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় এই খাতের রফতানি আয় ৩৪ দশমিক ১৯ শতাংশ কমেছে।
×