স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ আশঙ্কা ছিল দুটি। এক জিকা ভাইরাস। অন্যটি সন্ত্রাসী হামলা। দ্বিতীয়টিই ঘটে গেল রিও ডি জেনিরোতে। অলিম্পিক ভিলেজের কাছাকাছি একটি যাত্রীবাহী বাসে এই হামলা হয়। বাসে ছিলেন সাংবাদিকরা। জানা গেছে, হামলায় বাসের দুটি জানালা ভেঙ্গে গেছে এবং ভাঙ্গা কাচের টুকরো লেগে আহত হয়েছেন ১২ জন।
রিও অলিম্পিকের সাংগঠনিক কমিটির মুখপাত্র মারিও আন্দ্রাদা বলেন, ‘বাসে আসলে কি দিয়ে আঘাত করা হয়েছিল। গুলিও হতে পারে, আবারও পাথরও হওয়ার সম্ভাবনা।’ আরও জানা গেছে বাসটি দিওদোরো হকি ভেন্যু থেকে মূল প্রেস সেন্টারে যাচ্ছিল। এ প্রসঙ্গে সাবেক ইউএস এয়ারফোর্স ক্যাপ্টেন এবং বর্তমানে মহিলা বাস্কেটবল বিষয়ক রিপোর্টার লি মিচেলসন বলেন, ‘আমি ভালমতোই জানি বন্দুকের আওয়াজ কেমন হতে পারে। আমার সামরিক ক্যারিয়ারের পূর্ব অভিজ্ঞতা অনুযায়ী বাসে হামলার সময় আমি ত্বরিত বাসের মেঝেতে শুয়ে পড়ি। আমার সহযাত্রীরা তখনও ব্যাপারটা ভালমতো বুঝতে পারেনি। তখন আমি চেঁচিয়ে তাদের সাবধান করি এবং মেঝেতে শুয়ে পড়ার পরামর্শ দিই।’
এদিকে এই হামলার পরপরই আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির (আইওসি) নিরাপত্তা সংস্থা বিষয়টি নিয়ে তদন্তে নেমেছে।
বাসে হামলা প্রসঙ্গে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইউকে প্রেস এ্যাসোসিয়েশনের এক ফটোসাংবাদিক বলেন, ‘কান ফাটানো এক শব্দ কানে এলো। দেখলাম বাসের জানালার কাচগুলো ছিদ্র হয়ে ভেঙ্গে পড়ছে। আরও দেখলাম বাসের সবাই আসন ছেড়ে মেঝেতে শুয়ে পড়ছে। আমিও তাদের অনুসরণ করলাম।’ তিনি আরও যোগ করেন, ‘বাসের ড্রাইভার ওই অবস্থায় দ্রুতগতিতে চালিয়ে মূল সড়কে নিয়ে আসে।’ তারপর এক পুলিশের গাড়ি বাসটিকে পাহারা দিয়ে তাদের গন্তব্যস্থলে পৌঁছে দেয়।
এর আগেরদিনই আরেকটি ঘটনা ঘটে। মিডিয়া টেন্টের ছাদে একটি গুলির শব্দ শোনা যায়। টেন্টটি মিলিটারি কম্পাউন্ডের কাছে অবস্থিত। তবে এ ঘটনায় কেউ আহত হয়নি।
যেভাবে রিও সন্ত্রাসী হামলা চলছে, তাতে আয়োজক হিসেবে ব্রাজিলের সুনাম যেমন ক্ষুণœ হচ্ছে, তেমনি ক্রীড়াবিদ, সাংবাদিকসহ সবারই প্রাণনাশের আশঙ্কা বাড়ছে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: