স্টাফ রিপোর্টার ॥ দুর্যোগের সময় পর্যাপ্ত খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করতে আধুনিক খাদ্য সংরক্ষণাগার নির্মাণে দুই হাজার কোটি টাকা দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক। দেশের নির্বাচিত আটটি জায়গায় এসব খাদ্য সংরক্ষণাগার নির্মাণ করা হবে, যেখানে প্রায় পাঁচ লাখ ৩৫ হাজার টন খাদ্যশস্য মজুদ করা যাবে। শনিবার রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে এই প্রকল্প বাস্তবায়নে সরকারের খাদ্য অধিদফতর ও মদীনা পলিমার ইন্ডাস্ট্রির মধ্যে একটি চুক্তি সই হয়। চুক্তি সই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন খাদ্যমন্ত্রী এ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশে ঘন ঘন ঘূর্ণিঝড়, বন্যা ও খরা দেখা দিচ্ছে। ফলে পর্যাপ্ত খাদ্য নিরাপত্তা ও পুষ্টি নিশ্চিতে ক্রমর্বধমান চাপ সৃষ্টি হচ্ছে। তাই উন্নত খাদ্য মজুদকরণের মাধ্যমে দুর্যোগের সময় পর্যাপ্ত জরুরী খাদ্য সহায়তা নিশ্চিত করতে সরকার ‘মডার্ন ফুড স্টোরেজ ফ্যাসিলিটিজ’ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এতে দুই হাজার কোটি টাকা দিচ্ছে দেশের অন্যতম উন্নয়ন সহযোগী বিশ্বব্যাংক। প্রকল্পটির উদ্দেশ্য হচ্ছে- দুর্যোগপরবর্তী জরুরী প্রয়োজন মেটানোর জন্য সরকারী এবং পারিবারিক পর্যায়ে কার্যকর খাদ্যশস্য মজুদ ব্যবস্থা গড়ে তোলা। এজন্য নির্বাচিত আটটি জায়গায় প্রায় পাঁচ লাখ ৩৫ হাজার টন খাদ্যশস্যের মজুদ গড়ে তোলা হবে। এতে দেশের খাদ্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার হবে। এ ছাড়া পারিবারিক পর্যায়ে দুর্যোগপ্রবণ ও উপকূলীয় অঞ্চলে পাঁচ লাখ পারিবারিক সাইলোও (খাদ্য সংরক্ষণের জন্য) বিতরণ করা হবে। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে খাদ্য মন্ত্রণালয়সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মোঃ আব্দুল ওয়াদুদ, ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য হাজী মোঃ সেলিম, খাদ্যসচিব এএম বদরুদ্দোজা, বিশ্বব্যাংক গ্রুপের টাস্ক টিম লিডার ম্যানিয়েভেল সেন ও মদীনা পলিমার ইন্ডাস্ট্রির উর্ধতন কর্মকর্তরা উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা, বাংলাদেশ রোববার ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১
