ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

জঙ্গীরা কাপুরুষ, কোন যুদ্ধে তারা জয়ী হতে পারবে না ॥ আশরাফ

প্রকাশিত: ০৫:৫০, ৩১ জুলাই ২০১৬

জঙ্গীরা কাপুরুষ, কোন যুদ্ধে তারা জয়ী হতে পারবে না ॥ আশরাফ

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন, দু-একটি জঙ্গী হামলা করে আমাদের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা কেউ ধ্বংস করতে পারবে না। সুতরাং ভয় পাওয়ার কিছু নেই। আমরা ভীত না। অতীতে দু-একটি সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। ভবিষ্যতেও এমন দু-চারটি ঘটনা ঘটতে পারে। তবে তা সরকার যথাযথ ও কঠোরভাবে মোকাবেলা করেই গণতান্ত্রিক ধারাকে অব্যাহত রাখবে। শনিবার বিকেলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে যুব-সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সৈয়দ আশরাফ আরও বলেন, বিশ্বব্যাপীই জঙ্গী সন্ত্রাসী হামলা ঘটছে। এটা শুধু বাংলাদেশের সমস্যা না। এ সমস্যার পিছনে যেতে হবে। কারণগুলো চিহ্নিত করতে হবে। তিনি বলেন, সন্ত্রাসী-জঙ্গীগোষ্ঠীর কোন জনশক্তি নেই বা ভিত্তি নেই। যারা গুপ্তহত্যা করে তারা বীরের জাতি না, তারা কাপুরুষ। তারা রাতের আঁধারে মানুষ হত্যা করে। তারা কোন সংগ্রামে, কোন যুদ্ধে জয়ী হতে পারবে না। জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। দেশের জনগণের শক্তির কাছে তারা পরাজিত হবে। ভবিষ্যতে জঙ্গী তো দুরের কথা জঙ্গীর ‘জ’ও থাকবে না। সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে এই যুব সমাবেশের আয়োজন করে ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগ। সংগঠনের সভাপতি মাঈনুল হোসেন খান নিখিলের সভাপতিত্বে যুবলীগের নেতাকর্মীদের শপথ বাক্য পাঠ করান যুবলীগ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরী। উত্তর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেনের পরিচালনায় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা এসএম কামাল হোসেন, কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগম এমপি, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ, যুবনেতা শহীদ সেরনিয়াবাত, আনোয়ার হোসেন, মাহবুবুর রহমান হিরণ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের মোল্লা মোঃ আবু কাওছার, যুব মহিলা লীগের নাজমা আক্তার, অধ্যাপিকা অপু উকিল, যুবলীগ দক্ষিণের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট, মিজানুল ইসলাম মিজু প্রমুখ। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফ আরও বলেন, নিরীহ বিদেশীকে হত্যা করে, দু-একজনকে হত্যা করে বিশ্বে পবিত্র ইসলাম প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়। একজন, দুজন মানুষ হত্যা করে জিহাদ করা যায় না। তিনি বলেন, দেশে দু-একটি ঘটনা ঘটলেই যে শহীদ মিনারে বড় সমাবেশ করার দরকার নেই। আমরা ভীত নই। আমরা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের মানুষ। যে রাষ্ট্রের শাসন কাজ পরিচালনা করছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। তাঁর নেতৃত্বে আমরা অনেক পাহাড় ডিঙ্গিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি। আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে। মধ্যপাচ্যের সন্ত্রাসবাদের প্রসার তুলে ধরে জনপ্রশাসনমন্ত্রী বলেন, লিবিয়ায় গাদ্দাফিকে পতন ঘটিয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা যায়নি। ইরাকেও না। সেখানে আমরা দেখছি বিশৃঙ্খলা, সন্ত্রাসী কর্মকা-। সেসব দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়। তারা কখনও গণতন্ত্র পরিবেশ পায়নি, চর্চাও করেনি। আমাদের দেশে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা দীর্ঘদিনের। আমরা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় আছি। দু-একটি জঙ্গী হামলা করে সরকার পতন ও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে ধ্বংস করা যাবে না। আমরা চাই না, দেশে জঙ্গীবাদ-সন্ত্রাসবাদের সৃষ্টি হোক। আশরাফ বলেন, আমরা কোন ধর্মকে কটাক্ষ করব না। তাহলে তারাও আমাদের পবিত্র ইসলাম ধর্মকে নিয়ে কটাক্ষ করবে। তখন সেটা আমাদের কাছে ভাল লাগবে না। সব ধর্মের প্রতি সম্মান রেখেই আমাদের কথা বলতে হবে। জঙ্গীবাদ-সন্ত্রাস কোন ধর্মের সমস্যা না, কোন দেশের সমস্যা না। এটা বৈশ্বিক সমস্যা। তিনি বলেন, মিথ্যা দিয়ে হাজার হাজার মানুষকে ভুল বোঝানো যায়। কিন্তু লাখ লাখ-কোটি কোটি মানুষকে মিথ্যা দিয়ে ভোলানো যায় না। যুবলীগের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরী বলেন, যুবলীগ নেতাকর্মীদের শপথ হচ্ছে ‘যুব জনতা এক হও, সন্ত্রাসবাদ- জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে রুখে দাড়াও’। রাজধানীর গুলশানে ও শোলাকিয়া সন্ত্রাসীদের হামলা নিহত পুলিশ সদস্যদের নামে এলাকায় নাম ফলক করার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, জঙ্গী হামলা মোকাবিলা করতে গিয়ে যেসব পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন তাদের নামে নামফলক করতে হবে। তিনি প্রশ্ন করেন, এমপি-মন্ত্রী সাহেবরা মুক্তিযুদ্ধের সময় কয়জন অবদান রেখেছেন? আপনার পরিবারের সদস্যরা কোথায় ছিল?
×