মাকসুদ আহমদ, চট্টগ্রাম অফিস ॥ গোয়েন্দা সংস্থা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অগোচরেই জঙ্গীরা আবাসিক এলাকা রেকি করছে। এক্ষেত্রে জঙ্গীরা সরকারী চাকরিজীবী আর প্রবাসী মালিকের বাড়ি পছন্দ করে। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, এই দুই ধরনের বাড়ির মালিক অতিরিক্ত আয়ের উদ্দেশ্যে ভাড়াটে তথ্য যাচাইবাছাই না করে তড়িঘড়ি করে বাসাভাড়া দিয়ে হাঁফ ছাড়েন। ভাড়া ছাড়া বাড়িওয়ালার সঙ্গে কোন যোগাযোগ না থাকার সুযোগে জঙ্গীরা গেড়ে বসে আবাসিক এলাকাতেই। এদিকে আইজিপির হিসাব অনুযায়ী ৬টি জঙ্গী সংগঠন দেশে আত্মগোপনে থাকলেও সক্রিয় রয়েছে দুটি। আনসারুল্লাহ বাংলা টিম বা আনসারুল্লাহ ইসলামী দল ও জেএমবি সক্রিয় থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পরও তেমন অভিযান নেই। তবে আইএস নেই একথা আইজিপি নিশ্চিত করতে পারলেও জঙ্গী নির্মূল হয়েছে তা বলতে পারছেন না। ঢাকার গুলশান ও কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় হামলার মাত্র ২০ দিনের ব্যবধানে ঢাকার কল্যাণপুরে মঙ্গলবার সকালে আবারও জঙ্গী আস্তানায় সোয়াত টিম, কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট, র্যাব ও পুলিশ অভিযান ও গুলিবিনিময়ের ঘটনায় ৯ জঙ্গী নিহত ও এক জঙ্গীকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ঢামেকে ভর্তি করা হয়। তবে আকস্মিকভাবে একটি ঘটনা ঘটার পর আবারও নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। এরপর আবারও দেখা যাবে ঢিলেঢালা অবস্থায় গোয়েন্দা সংস্থার অগোচরেই প্রশিক্ষণ নেবে জঙ্গীরা। জঙ্গীরা প্রশিক্ষণ দিতে চানচুয়ান, দাউসু, গুনসু, জিয়ানসু, জিয়াংসু, নানসুয়ান, নান্দাও, নানগুন, তাইসিসুয়ান, তাইসি জিয়ান ও চানসা নামক বিভিন্ন ভাষারও প্রশিক্ষণ নিচ্ছে বলে ২০১৫ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামের হালিশহরে গ্রেফতার একই পরিবারের তিন জঙ্গীর তথ্যে প্রকাশ পেয়েছিল। গ্রেফতাকৃতরাই তথ্য দিয়েছে জঙ্গীরা এখন স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণীদের টার্গেট করছে। একে-৪৭ রাইফেল প্রশিক্ষণের ভিডিওচিত্র, সিরিয়ায় আইএসআই’র জঙ্গী প্রশিক্ষণ, আল নুসরা ট্রেনিং ভিডিও, আল কায়েদার ট্রেনিং ভিডিও, হামাস ও হিযবুল্লাহ গেরিলার ট্রেনিং ভিডিও, আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের প্রশিক্ষণ ভিডিও এমনকি প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তায় এসএসএফের ট্রেনিং ভিডিওসহ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের ভিডিওচিত্র পাওয়া গেছে তাদের কাছ থেকে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: