ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বন্দী সেনাসদস্যদের এক নজর দেখতে স্বজনদের অধীর অপেক্ষা

প্রকাশিত: ০৭:১৯, ২২ জুলাই ২০১৬

বন্দী সেনাসদস্যদের এক নজর দেখতে স্বজনদের অধীর অপেক্ষা

তুরস্কের ব্যর্থ অভ্যুত্থানে হাজার হাজার সৈন্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ইস্তানবুলের আদালত ভবনের বাইরে আত্মীয়-স্বজনরা তাদের এক নজর দেখার জন্য অধীর আগ্রহে বসে থাকেন। বুধবার এক সংবাদে এ কথা বলা হয়। খবর এএফপির। অভ্যুত্থান চেষ্টায় জড়িত অভিযোগে ১১৮ জন জেনারেল ও এ্যাডমিরালসহ কয়েক জন সিনিয়র সেনাকেও গ্রেফতার করেছে তুরস্ক কর্তৃপক্ষ। কিন্তু তাদের অনেকেই তরুণ। তারা বাধ্যতামূলক সেনা দায়িত্ব পালন করছেন। গ্রেফতারকৃত সেনাদের বাসে করে আনার সময় পরিবারের সদস্যরা তাদের ছেলেদের এক নজর দেখার জন্য প্রাণান্তর চেষ্টা চালান। তাদের হাত পিছনে বাঁধা অবস্থায় আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়। তাদের মুক্তি দেয় হবে না রিমান্ডে নেয়া হবে তা শুনানিতে বলা হবে। আহমেদ যিনি তার নামের শেষাংশ জানাতে অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, তার ছেলে বাধ্যতামূলকভাবে সেনাবাহিনীতে কাজ করতে এসেছিল। তাকে জোর করে এই অভ্যুত্থানে নেয়া হয়। অথচ এ বিষয়ে তার ছেলের কোন ধারণাই ছিল না। তুরস্কের সরকারের মতোই তিনি এ অভ্যুত্থানের জন্য যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ফেতুল্লা গুলেনকে দায়ী করেন। আহমেদ বলেন, গুলেনবাদী সন্ত্রাসীরা এ কা- ঘটিয়েছে। আমাদের দেশে তারা মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়েছে। মেজররা আমাদের সন্তানদের নির্দেশ দিলে তারা অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণে বাধ্য হয়। আমাদের তরুণ ছেলেরা যখন বুঝতে পেরেছে যে, তারা একটি ফাঁদে পড়েছে তখনই তারা পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে। পরে পুলিশ তাদেরকে সেখান থেকে নিয়ে আসে। আশঙ্কা করা হচ্ছে তার ছেলেকে যাবজ্জীবন কারাদ- দেয়া হবে। তিনি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইপ এরদোগান ও ক্ষমতাসীন জাস্টিস এ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টির (একেপি) উদ্দেশে বলেন, আমার প্রিয় প্রেসিডেন্ট, আমরা এই শাস্তির যোগ্য না। আমি একজন একেপি’র সদস্য। আমি এর প্রতিষ্ঠাতাদের মধ্যে একজন। আমি আমার অঞ্চলের প্রধান। এটা যেন এভাবে শেষ না হয়। তিনি বলেন, আমি এটা সহ্য করতে পারছি না, আমি এটা সহ্য করতে পারছি না, আমি একেবারেই এটা সহ্য করতে পারছি না। বিশেষ করে হাতকড়া পরা অবস্থায়। ইজিয়ান সাগরতীরবর্তী ইজমির শহর থেকে কুনিয়েত ও আরেকজনের বাবা বলেন, তার ছেলে মাত্র সেনাবাহিনীর কাজ শুরু করেছিল। আমি আমার ছেলেকে সেনা দায়িত্ব পালনের জন্য পাঠিয়েছি। সে সেনাবাহিনীর কাছে গেছে তিন দিনও হয়নি। আমার ছেলেকে এই অভ্যুত্থানে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
×