ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৫ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১

স্মার্টফোনটি হয়ে উঠেছিল এরদোগানের অস্ত্র

প্রকাশিত: ০৫:৩৮, ১৭ জুলাই ২০১৬

স্মার্টফোনটি হয়ে উঠেছিল এরদোগানের অস্ত্র

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ সেনাবাহিনীর একদল সদস্য যখন অভ্যুত্থান ঘটিয়েছিল, তখন রাজধানী আঙ্কারা থেকে সাড়ে ৬০০ কিলোমিটার দূরে উপকূলীয় মারমারিস শহরে অবকাশ যাপনে ছিলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়িপ এরদোগান। বিবিসি অনলাইন শুক্রবার সন্ধ্যায় বিদ্রোহী সৈন্যরা অভ্যুত্থানের পর ফেসবুকসহ নানা এ্যাপ বন্ধ করে রাজধানী ও দেশটির সবচেয়ে বড় শহর ইস্তাম্বুলের বাসিন্দাদের ইন্টারনেট যোগাযোগ প্রায় বন্ধই করে দিয়েছিল। কিন্তু দূর শহরে থাকা এরদোগান তখন জনসাধারণের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য তার স্মার্টফোনটিকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করেন এবং তা কার্যকরও হয়। নিজের আইফোনে এ্যাপলের ফেস টাইম এ্যাপ ব্যবহার করে একটি ভাষণে এরদোগান তখন অভ্যুত্থান ঠেকাতে জনগণকে রাজপথে, বিমানবন্দরে অবস্থান নেয়ার আহ্বান জানান। ফেস টাইমে দেয়া তার ওই বক্তব্য সিএনএন-তুর্ক টেলিভিশনে দেখানো হয়। এরদোগান বলেন, ‘তুরস্কের জনগণের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি- জড়ো হন রাজপথে, বিমানবন্দরগুলোতে। তাদের কাছে ট্যাঙ্ক-কামান থাকতে পারে, কিন্তু জনগণের চেয়ে বড় কোন শক্তি নেই।’ তারপর পাল্টে যেতে থাকে দৃশ্যপট। যেসব স্থানে সৈন্যরা সন্ধ্যা থেকে অবস্থান নিয়ে ছিল, সরকার সমর্থকরা দলে দলে নেমে সেসব স্থানগুলোতে অবস্থান নেয়। এক পর্যায়ে সৈন্যরা আত্মসমর্পণ করেন পুলিশের কাছে। এরপর মধ্যরাতে মারমারিস থেকে ইস্তাম্বুলে ফিরে এরদোগান সমর্থক পরিবেষ্টিত হয়ে বলেন, রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণ এখনও তার হাতেই রয়েছে, অভ্যুত্থান চেষ্টাকারীদের চরম মূল্য দিতে হবে। বিরোধী মত দলনের নানা অভিযোগের মধ্যে ডানপন্থী এরদোগান তুরস্ক শাসন করছেন প্রায় এক যুগ ধরে। নতুন নতুন আইন করে এরদোগান তার সমালোচনার মুখও বন্ধ করে রেখেছেন।
×