ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১

ফিফার সাহায্য পেলেন ফুটবলার ফাহাদ

প্রকাশিত: ০৬:৩৩, ১৪ জুলাই ২০১৬

ফিফার সাহায্য পেলেন ফুটবলার ফাহাদ

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশ জাতীয় দলের ডিফেন্সভি মিডফিল্ডার আতিকুর রহমান ফাহাদ। ক্লাব পর্যায়ে খেলেন ঢাকা আবাহনী লিমিটেডের হয়ে। এ বছরের ২৪ মার্চ জর্দানের বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে হাঁটুতে আঘাত পান ফাহাদ। পরে ফিফার কাছে আর্থিক সাহায্যের আবেদন জানান তিনি। ফিফা কাগজপত্র যাচাই-বাছাইয়ের পর তাকে এক লাখ সাতাত্তর হাজার ৫৩৪ টাকা দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। বাংলাদেশের ফুটবল ইতিহাসে এমন উদাহরণ এটিই প্রথম। ফিফা ফাহাদের ইনজুরিজনিত মাঠে অনুপস্থিতির নাম দিয়েছে ‘টোটাল টেম্পোরারি ডিসএবলমেন্ট। সর্বোচ্চ ৯০ দিনের ক্ষতিপূরণ দেয়ার নিয়ম রয়েছে এতে। ফাহাদের ইনজুরির সেরে ওঠার সময় ধরা হয়েছে ৬০ দিনের। এজন্য ফিফা বাফুফে থেকে সংগ্রহ করেছে ফাহাদের সঙ্গে তার ক্লাবের চুক্তিপত্রটি। আবাহনীর সঙ্গে ফাহাদের চুক্তি মোতাবেক তার দৈনিক বেতন ও সামাজিক নিরাপত্তা ব্যয় বের করেছে ফিফা। তার দৈনিক বেতন ধরা হয়েছে ১৬৪৩.৮৪ টাকা। সামাজিক নিরাপত্তা ব্যয় ১৩১৫.০৭ টাকা। মোট ২৯৫৮ টাকা ৯১ পয়সা হারে ফাহাদকে ষাট দিনের জন্য এক লাখ সাতাত্তর হাজার ৫৩৪ টাকা ক্ষতিপূরণ দেবে ফিফা। টাকাটা অবশ্য ফাহাদ সরাসরি পাবেন না। এটি আসবে তার ক্লাব আবাহনীর এ্যাকাউন্টে। সেখান থেকে তিনি এ অর্থ পাবেন। ফাহাদে এ অর্থ প্রাপ্তি এ দেশের অন্য খেলোয়াড়দের মনে নিরাপত্তার অভাবজনিত ভীতি দূর করবে। চট্টগ্রামের ছেলে ফাহাদ। গত ২৪ মার্চের ওই ম্যাচের ৭৭ মিনিটে ইনজুরিতে পড়ে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে। জর্দানের এক খেলোয়াড়কে ট্যাকল করতে গিয়ে পায়ে চোট পান। আঘাতের পর সঙ্গে সঙ্গে মাঠ ছাড়েন। ম্যাচের বাকি সময় আর মাঠে নামতে পারেননি তিনি। পরে ঢাকায় এসে বিসিবির ডাক্তার দেবাশীষ চৌধুরীকে দেখান এবং এমআরআই করান। রিপোর্টে ধরা পড়ে যে তার মিনিসকাস (হাঁটুর ইনজুরি) ফেটে গেছে। চিকিৎসকদের পরামর্শে পরে অপারেশন করান। চিকিৎসা করাতে তার ১ লাখ ৬০ হাজারের বেশি টাকা লাগে। সম্পূর্ণ ব্যয়ই বহন করেন ফাহাদ। শৃঙ্খলা প্রশ্নে কঠোর কুম্বলে স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ শৃঙ্খলা প্রশ্নে অত্যন্ত কঠোর ভারতের নতুন কোচ অনিল কুম্বলে। টিম বাসে দেরি করে আসলে গুনতে হবে ৫০ ডলার জরিমানা। যখন তখন মেসিয়ারকে ডেকে শরীর রগড়াতে বলা যাবে না। প্রতি চতুর্থ দিনে একটি টিম মিটিং থাকবে। সবার অংশগ্রহণ সেখানে বাধ্যতামূলক। সাবেক গ্রেট স্পিনার চান, খেলোয়াড়রা শৃঙ্খলার মূল্য বুঝুক। তবে ৪৫ বছরের কোচ সবার জন্য ‘খোলা দরজা’ নীতিতে এগোবেন। যখন যার প্রয়োজন নিঃসঙ্কোচে সরাসরি তার কাছে চলে আসতে পারবেন। খেলোয়াড়দের জুটিও গড়ে দিয়েছেন। কেউ একা থাকবে না। একে অন্যের সহায়তায় আসতে পারবেন নেট ও নেটের বাইরে। এ রকম কিছু নিয়ম কানুনে কুম্বলে সাফল্যের রেটটাকে বাড়িয়ে নিতে চান। এন্টিগায় ২১ জুলাই শুরু উইন্ডিজ-ভারত চার ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্ট।
×