ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১

যশোরে জলাবদ্ধতার শঙ্কায় সাড়ে ৩শ’ গ্রাম

প্রকাশিত: ০৪:১০, ১৪ জুলাই ২০১৬

যশোরে জলাবদ্ধতার শঙ্কায় সাড়ে ৩শ’ গ্রাম

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ মনিরামপুর, কেশবপুর, অভয়নগর ও খুলনা জেলার ফুলতলা এবং ডুমুরিয়া উপজেলার ২৭ বিলের পানি নিষ্কাশনের একমাত্র প্রবাহপথ ভবদহ স্লুইচ গেটের মুখে পলি জমে গেছে। এতে চলতি বর্ষা মৌসুমে বিলপাড়ের সাড়ে তিন শ’ গ্রামে স্থায়ী জলাবদ্ধতার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। টাইডাল রিভার ম্যানেজমেন্ট (টিআরএম) বাস্তবায়ন না হওয়াকে দায়ী করছেন স্থানীয়রা। হাজার হাজার হেক্টর ফসলী জমিসহ মাছের ঘের পানিতে তলিয়ে লাখ লাখ মানুষ আশ্রয়হীন হয়ে পড়বে এমন আশস্কা ওই বিলপাড়ের মানুষের মাঝে। ১৯৬১ সালে ভবদহ অঞ্চলে মনিরামপুর উপজেলার আড়পাতা, বিল কপালিয়া, অভয়নগর উপজেলার দামুখালি, ভবানিপুর, দত্তগাতি, বারান্দি, চুমড়ডাঙ্গা, খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলার কাটেঙ্গা, চেঁচুড়ি, বরুণাসহ ২৭ বিলের পানি নিষ্কাশনে স্লুইচ গেট নির্মাণ করা হয়। বর্ষা মৌসুমে ২৭ বিলের আকাশ বৃষ্টির পানি ভবদহ স্লুইচ গেট দিয়ে নিষ্কাশিত হয়। ১৯৮৬ সালে স্লুইচ গেটে পলি জমায় পানি নিষ্কাশিত না হওয়ায় এ অঞ্চলে স্থায়ী জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। এরপর ১৯৮৮ সালের ভয়াবহ বন্যায় ভবদহ অঞ্চলের বিলপাড়ের কুলটিয়া, মশিয়াহাটি, মহিষদিয়া, পোড়াডাঙ্গা, সুজাতপুর, ডুমুরতলা, হাটগাছা, হাজিরহাট, সুন্দলীসহ বহু গ্রামের মানুষ অবর্ণনীয় দুর্ভোগে পড়ে। সৈয়দপুরে শিশুর মৃত্যু ॥ ডাক্তারের বাড়ি ভাংচুর স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী ॥ ভুল চিকিৎসার অভিযোগে শিশুর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে চিকিৎসকের বাড়িতে মঙ্গলবার রাতে ভাংচুরে ঘটনা ঘটেছে সৈয়দপুর উপজেলায়। এতে করে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। এলাকাবাসী জানায়, শহরের মিস্ত্রিপাড়া মন্দির রোডের বাসিন্দা আমিনুল ইসলামের স্ত্রী রুমা তার ১১ বছরের মেয়ে মাহিকে মঙ্গলবার বেলা ১১টায় স্থানীয় শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. সাজ্জাদ হোসেনের কাছে নিয়ে যান। তিনি রোগী দেখে ব্যবস্থাপত্র দেন। বাজার থেকে ওষুধ কিনে রোগীকে খাওয়ানোর পর আরও অসুস্থ হয়ে পড়ে শিশুটি। স্বজনদের অভিযোগ, সন্ধ্যায় মাহিকে আবারও ডাক্তারের কাছে নেয়া হলে তিনি দরজা খুলতে দেরি করেন। ঘটনার দিন রাত ১০টায় মাহি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। খবরটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে উত্তেজিত জনতা ও রোগীর স্বজনরা ডাক্তারের বাড়ি ভাংচুর করে। এ ঘটনায় ডাঃ সাজ্জাদ হোসেন বলেন, সকালে রোগী ভাল ছিল, রাতে মারা গেলে আমার করার কিছু নেই।
×