ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০৮ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১

অক্টোবরে ক্ষমতা ছাড়বেন

পদত্যাগের ঘোষণা দিলেন প্রধানমন্ত্রী ক্যামেরন

প্রকাশিত: ০৫:৪০, ২৫ জুন ২০১৬

পদত্যাগের ঘোষণা দিলেন প্রধানমন্ত্রী ক্যামেরন

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ গণভোটের ফল আসার পর পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন। শুক্রবার ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটের সামনে তিনি এ ঘোষণা দেন। তিনি জানান, অক্টোবরে তিনি ক্ষমতা ছেড়ে দেবেন। তিনি আরও বলেন, ‘ব্রিটেনকে পরবর্তী লক্ষ্যে পৌঁছতে আমার কা-ারির দায়িত্ব নেয়া ঠিক হবে না।’ পদত্যাগের ঘোষণা দেয়ার সময় তিনি কিছুটা আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। খবর বিবিসির। বৃহস্পতিবারের গণভোটে ইইউবিরোধীরা জয়ী হওয়ার পর ক্যামেরনের ওপর পদত্যাগের চাপ বাড়ছিল। শুক্রবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ১০ ডাউনিং স্ট্রিটের সামনে স্ত্রী সামান্থাকে নিয়ে টেলিভিশন ভাষণে তিনি পদত্যাগের ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, জনগণের মতের প্রতি সম্মান দেখাতেই হবে। ব্রিটেন যাতে ইইউতে থাকে সে লক্ষ্যে তিনি জোর প্রচারাভিযান চালান। তিন মাস পর কনজারভেটিভ পার্টির কনফারেন্সে নতুন নেতা নির্বাচন করা হবে। যুক্তরাজ্যের মতো দেশের প্রধানমন্ত্রিত্বের দায়িত্ব পালনকে গৌরবের মন্তব্য করে আবেগাপ্লুত ক্যামেরন বলেন, ‘জাহাজের এখন একজন নকুন ক্যাপ্টেন’ লাগবে। অক্টোবরে ক্ষমতাসীন দলের কাউন্সিলে নতুন প্রধানমন্ত্রী ঠিক করা হবে বলে তিনি জানান। এরপর তিনি যান রানী এলিজাবেথের সঙ্গে দেখা করতে। ইইউতে যুক্তরাজ্যের থাকা না থাকা নিয়ে অনেক দিন ধরেই বিতর্ক চলে আসছে। বিষয়টি যে যুক্তরাজ্যের জন্য অর্থনৈতিক যন্ত্রণা হয়ে দাঁড়াবে, এ বিষয়ে তিনি আগেই সতর্ক করেছিলেন। কিন্তু তাঁর ওই সতর্কতা উপেক্ষিত হয়েছে। গত বছর নির্বাচনে জিতে তিনি টানা দ্বিতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রীর পদে থাকেন। যুক্তরাজ্য ইউরোপীয় ইউনিয়নে থাকবে কি-না তা নিয়ে গণভোটের ঘোষণা গত বছর দিয়েই দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় বসেছিলেন ৪৯ বছর বয়সী ক্যামেরন। ক্যামেরন গণভোটে ইইউতে থাকার পক্ষে অবস্থান নিলেও দলের অনেক নেতা তার বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন। দলের অনেক এমপি অবশ্য গণভোটে হারলেও ক্যামেরনকে প্রধানমন্ত্রিত্ব না ছাড়ার আহ্বান জানিয়ে চিঠি দিয়েছিলেন। বিরোধী লেবার পার্টির অনেকে ক্যামেরনের পদত্যাগ চাইলেও দলটির প্রধান জেরমি করবিন বলেছিলেন, এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার দায়িত্ব প্রধানমন্ত্রীর। মূলত ইউকে ইন্ডিপেনডেন্স পার্টির (ইউকিপ) চাপের মুখেই ইউরোপের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক জোট ইইউতে থাকা না থাকার প্রশ্নে গণভোটের দিকে যেতে হয় ক্যামেরনকে। যুক্তরাজ্যকে ইইউ থেকে বের করে আনার লক্ষ্যে কিছু ডানপন্থী রাজনীতিবিদের উদ্যোগে ১৯৯১ সালে গঠিত হয় ইউকে ইন্ডিপেনডেন্স পার্টি। ২০১৩ সালে নাইজেল ফারাজের নেতৃত্বে দলটি স্থানীয় কাউন্সিল নির্বাচনে সাফল্য পায় এবং প্রতিনিধিত্বের বিচারে যুক্তরাজ্যের চতুর্থ শক্তিশালী দলে পরিণত হয়। ইউকিপের উত্থান কনজারভেটিভ পার্টির জন্য গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়ায়। কনজারভেটিভ সমর্থকদের অনেকেই ইন্ডিপেনডেন্স পার্টির দিকে ঝুঁকে পড়েন। এমনকি একজন এমপিও একপর্যায়ে দলবদল করে ইন্ডিপেনডেন্স পার্টিতে যোগ দেন।
×