ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১

দেশে ৪৫ জাতের ফল উৎপাদন হলেও বাণিজ্যিকভাবে চাষ হয় ১৮ প্রজাতির ফল

সঠিক পদ্ধতিতে সংরক্ষণ না করায় প্রতিবছর ৩০ শতাংশ ফল নষ্ট হয়

প্রকাশিত: ০৪:০৪, ১৩ জুন ২০১৬

সঠিক পদ্ধতিতে সংরক্ষণ না করায়  প্রতিবছর ৩০ শতাংশ ফল নষ্ট হয়

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ দেশে প্রতিবছর বিভিন্ন প্রকারের ফল উৎপাদন হলেও চাষীরা সঠিক নিয়ম না জানায় সংগ্রহের সময় উৎপাদিত ফলের প্রায় ৩০ শতাংশই নষ্ট হয়ে যায়। এতে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বাগানিরা। কৃষি বিভাগ বলছে, নিয়ম মেনে ফল সংগ্রহ করলে ক্ষতির পরিমাণ অনেকাংশে কমানো সম্ভব। এছাড়া ফল পাকানোর ক্ষেত্রে ব্যক্তি ও ব্যবসায়ীদের স্বাস্থ্যবান্ধব পদ্ধতি অবলম্বনের পরামর্শ দিয়েছেন কৃষিবিদরা। দেশে ৪৫ জাতের ফল উৎপাদন হলেও বাণিজ্যিকভাবে চাষ হয় ১৮ প্রজাতির ফল। ২০১৫-২০১৬ অর্থবছরে বিভিন্ন প্রজাতির ফলের উৎপাদন হয়েছে প্রায় এক কোটি তিন লাখ টন, যার অভ্যন্তরীণ বাজারমূল্য প্রায় ৫১ হাজার কোটি টাকা। আর উৎপাদিত এসব ফলের মধ্যে দশ শতাংশের চাহিদা মেটায় বিভিন্ন জাতের আম। কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৫ সালে বিভিন্ন জাতের আম উৎপাদন হয় প্রায় ১৫ লাখ টন। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা এফএও প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে প্রতিবছর বাড়ছে ফলের উৎপাদনের হার। আর উৎপাদনের হার বাড়লেও সঠিক নিয়ম না জানায় ফল সংগ্রহের সময়ই একটি অংশ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তবে বাগানিদের প্রশিক্ষণের আওতায় নিয়ে আসার কথা জানায় কৃষি বিভাগ। বছরব্যাপী ফল উৎপাদন প্রকল্পের পরিচালক মেহেদী মাসুদ বলেন, ‘কার্বাইড মেশানো জোর করে পাকানো আম আমরা খেতে চাই না। সারাদেশে ৬০টি হর্টিকালচারের মাধ্যমে কৃষকদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছি। স্বামী বলবে আম পেকেছে, আর স্ত্রী বলবে আর দুই দিন যাক। এই এক মত যাতে তারা হতে পারে তার জন্য আমরা স্বামী-স্ত্রী দুজনকেই প্রশিক্ষণে ডাকছি।’ এদিকে অধিক মুনাফার লোভে অপরিপক্ব ফল কার্বাইড দিয়ে পাকানো এবং ফরমালিন না দিয়ে স্বাস্থ্যকর পদ্ধতিতে ফল পাকানোর পরামর্শ দিয়েছেন কৃষিবিদরা। এতে ১৫ দিন পর্যন্ত ফল সংরক্ষণ করা যাবে বলেও জানান তারা। কৃষিবিদ কামরুজ্জামান বলেন, ‘কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট একটা মেশিন বের করেছে। যেখানে ৫৫ থেকে ৬০ ডিগ্রী সেলসিয়াসে ৫ থেকে ১০ মিনিট গরম পানিতে আম চুপিয়ে রাখা যায়। মানুষ যদি তার বাসাবাড়িতে আম ক্রয় করে গরম পানিতে ৫ থেকে ১০ মিনিট আম চুবিয়ে রাখে তাহলে আমকে রোগমুক্ত করা যায়।’ বিশ্বে ফল উৎপাদনে শীর্ষে বাংলাদেশ। আর দেশের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি বিদেশে রফতানি হচ্ছে কয়েক শ’ কোটি টাকার ফল।
×