ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০৮ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১

পুকুরের ইজারা বাতিল

বরিশাল মেডিক্যালে চিকিৎসক-ছাত্র মুখোমুখি

প্রকাশিত: ০৪:৪০, ২৬ মে ২০১৬

বরিশাল মেডিক্যালে চিকিৎসক-ছাত্র মুখোমুখি

স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল ॥ সরকারী পুকুরের ইজারা বাতিল করে ড্যাব ও স্বাচিপ নেতা কতিপয় চিকিৎসক মাছ চাষ করে ভোগবিলাস করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের। শুধু পুকুরই নয়; মেডিক্যাল কলেজের কয়েক শ’ নারিকেল গাছ নামমাত্র মূল্যে ইজারা দেয়া হয়েছে। জানা গেছে, মেডিক্যাল কলেজের নার্সিং হোস্টেল ও ছাত্রাবাসের সামনের দুটি পুকুর ছাত্রসংসদের নামে ইজারা দিয়ে দীর্ঘদিন থেকে সংসদের ফান্ডে সব অর্থ জমা হয়ে আসছিল। এরইমধ্যে শিক্ষক নেতারা সার্জারি বিভাগের বিভাগীয় প্রধানের চাপের মুখে পূর্বের ইজারা বাতিল করে একাডেমিক কাউন্সিলের মাধ্যমে সম্প্রতি পুকুরের দখলদারিত্ব নেয়। এরপর স্থানীয় মৎস্য ব্যবসায়ীদের সহায়তায় সেখানে চুক্তিতে মাছ চাষ করা হয়। এ নিয়ে ছাত্রদের সঙ্গে শিক্ষকদের বিরোধ দেখা দেয়। সূত্র মতে, মঙ্গলবার ভোরে মেডিক্যাল কলেজ ছাত্র সংসদের একটি পুকুরে জাল টানা দিয়ে মাছ ধরেন শিক্ষক নেতারা। এ সময় স্বাচিপ নেতা ও কলেজ অধ্যক্ষ ডাঃ ভাস্কর সাহা, ড্যাব নেতা ও সার্জারি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সারফুজ্জামান রুবেলসহ ড্যাব এবং স্বাচিপপন্থী চিকিৎসকরা উপস্থিত ছিলেন। পরবর্তীতে নেতৃবৃন্দ পুকুরের মাছ ভাগবাটোয়ারা করে নেয়। বিষয়টি গোপন রাখতে ছাত্রনেতাদের ডেকে কিছু মাছ দেয়ার চেষ্টা চালান শিক্ষক নেতারা। এ সময় ছাত্রনেতারা ছাত্রসংসদের পুকুরের ওই মাছ তাদের না দিয়ে ছাত্রদের জন্য হোস্টেলের ডাইনিংয়ে দেয়ার কথা বললেও সেখানে দেয়া হয়নি। এ বিষয়ে কলেজ অধ্যক্ষ ও একাডেমিক কাউন্সিলের প্রধান অধ্যক্ষ ভাস্কর সাহা বলেন, পুকুরের ইজারা বাতিলের সিদ্ধান্ত একাডেমিক কাউন্সিলে নেয়া হয়েছে। আসামিদের জামিন নামঞ্জুর সুন্দ্রাটিকি ট্র্যাজেডি নিজস্ব সংবাদদাতা, হবিগঞ্জ, ২৫ মে ॥ বহুল আলোচিত সুন্দ্রাটিকি গ্রামের চার কোমলমতি ছাত্র হত্যাকা- মামলায় কারাগারে আটক আসামি ছালেহ ও বশিরের জামিন মঞ্জুর করেনি আদালত। একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট মামলাটির পরবর্তী কার্যক্রম ত্বরান্বিত করতে তা চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হয়েছে। বুধবার বেলা ২টায় সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাউছার আলমের আদালতে ওই দু’জনসহ হত্যাকা-ের সঙ্গে জড়িত অন্যতম প্রধান হোতা আব্দুল আলী বাঘাল এবং তার দুই পুত্র জুয়েল ও রুবেল, ভাতিজা সাহেদ আলী, হাবিবুর রহমান আরজুকে হাজির করা হলে তিনি এই আদেশ দেন। এছাড়া হত্যাকা-ে ব্যবহৃত আটক সিএনজি অটোরিক্সাটি মালিক তার জিন্মায় নিতে চাইলে একই আদালত তাও খারিজ করে দেন।
×