ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

আরও ১৫ লাখ স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স দেবে বিআরটিএ

প্রকাশিত: ০৬:০২, ১৯ মে ২০১৬

আরও ১৫ লাখ স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স দেবে বিআরটিএ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ অবৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রতিরোধে দ্বিতীয় দফায় আরও ১৫ লাখ ডিজিটাল স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান করবে বিআরটিএ। বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির দেয়া (বিআরটিএ) এই লাইসেন্সের যথার্থতা সহজে ও দ্রুত যাচাই করা সম্ভব। তবে আগের তুলনায় প্রতিটি লাইসেন্স তৈরিতে ব্যয় বাড়ছে ভ্যাট-আইটিসহ ১৭২ টাকা। বুধবার সচিবালয়ে সরকারী ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোস্তাফিজুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, বৈঠকে ৫টি ক্রয় প্রস্তাব এবং দুটি ভেরিয়েশন প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। তিনি জানান, বিআরটিএ’র জন্য পার্সোনা-লাইজড ডুয়াল ইন্টারফেস পলিকার্বনেট ড্রাইভিং লাইসেন্স (ডিজিটাল স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স) ক্রয়ের একটি প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। পাঁচ বছর মেয়াদে ১৫ লাখ ডিজিটাল স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স সরবরাহ করবে দেশীয় প্রতিষ্ঠান টাইগার আইটি বাংলাদেশ লিমিটেড। এতে মোট ব্যয় হবে ৭৪ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, ইতোপূর্বে একই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ৫ বছর মেয়াদে সাড়ে ১১ লাখ ডিজিটাল স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স ইস্যুর চুক্তি করা হয়েছিল। তখন প্রতিটি লাইসেন্সের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছিল ৩২৮ টাকা ৫০ পয়সা। বর্তমানে দ্বিতীয় দফায় প্রতিটি লাইসেন্সের ব্যয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৯৯ টাকা ৯০ পয়সা। প্রথম চুক্তির আওতায় টাইগার আইটি গত এপ্রিল (২০১৬) পর্যন্ত ১১ লাখ ৩০ হাজার ৪৭৪টি স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান করেছে এবং প্রথম চুক্তির মেয়াদ আগামী ৩ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। পেশাদার চালকদের ক্ষেত্রে ৫ বছর এবং অপেশাদার চালকদের ক্ষেত্রে ১০ বছর মেয়াদে এ লাইসেন্স ইস্যু করা হয়ে থাকে। অতিরিক্ত সচিব জানান, বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের অপারেশনাল সক্ষমতা বাড়াতে ৩টি ইনশোর পেট্রোল ভেসেল (আইপিডি) ক্রয় করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। খুলনা শিপইয়ার্ড এগুলো সরবরাহ করবে। এতে মোট ব্যয় হবে ২৬৬ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। এছাড়া রামপাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুত কেন্দ্রের ব্লক-বি (মংলা-ঘষিয়াখালি চ্যানেল) অংশের ৯১৮ দশমিক ৫ একর ভূমি উন্নয়নের একটি দরপত্র অনুমোদন দেয়া হয়েছে। সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে এ কাজটি পেয়েছে সেনাবাহিনী কর্তৃক পরিচালিত প্রতিষ্ঠান ‘বাংলাদেশ ডিজেল প্ল্যান্ট লিমিটেড’ (বিডিপিএল)। ডে ড্রেজিংকৃত মাটি-বালি দ্বারা এ ভূমি উন্নয়নে ট্যাক্স-ভ্যাটসহ মোট ব্যয় হবে ৩৩৭ কোটি ২৭ লাখ টাকা। অতিরিক্ত সচিব জানান, ঢাকার মিরপুরে পাইকপাড়ায় সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য ৬০৮টি ফ্ল্যাট নির্মাণ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ৩ নম্বর ভবন (১ হাজার বর্গফুট আয়তনের চার ইউনিট বিশিষ্ট একটি ২০ তলা টুইন বিল্ডিং) নির্মাণের একটি প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এতে মোট ফ্ল্যাট থাকবে ১৫২টি। ৮১ কোটি ৯৪ লাখ টাকা ব্যয়ে এটি নির্মাণের কাজটি পেয়েছে ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড। তিনি জানান, কর্ণফুলী ওয়াটার সাপ্লাই ফেজ-২ প্রকল্পের জাইকা অংশের ট্রান্সমিশন ও কনভয়েন্স পাইপ লাইন নির্মাণ (প্যাকেজ নং কেডব্লিউএসপি-২-ডব্লিউ-২) কাজের ঠিকাদার নিয়োগ দেয়া হয়েছে। যৌথভাবে এ কাজটি পেয়েছে জাপানি প্রতিষ্ঠান কোবোটা কনস্ট্রাকশনস লিমিটেড ও কোলন গ্লোবাল কনস্ট্রাকশনস লিমিটেড। এতে ব্যয় হবে ৯৫১ কোটি ৩১ লাখ টাকা। অতিরিক্ত সচিব জানান, এছাড়া ঢাকা ওয়াটার সাপ্লাই এ্যান্ড স্যানিটেশন প্রকল্পের আওতায় বাস্তবায়নাধীন কমলাপুর স্টর্ম ওয়াটার পাম্পিং স্টেশন এবং রামপুরা স্টর্ম ওয়াটার পাম্পিং স্টেশন দুটির নির্মাণ কাজের পৃথক দুটি ভেরিয়েশন প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে কমলাপুর স্টর্ম ওয়াটার পাম্পিং স্টেশনের নির্মাণ ব্যয় ১৩ কোটি ৬০ লাখ টাকা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০৪ কোটি ১২ লাখ টাকা এবং রামপুরা স্টর্ম ওয়াটার পাম্পিং স্টেশনের নির্মাণ ব্যয় ১৭ কোটি ২৭ লাখ টাকা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩৩ কোটি ৭১ লাখ টাকা। এছাড়া অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে ২টি প্রস্তাব নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়েছে। ওই বৈঠকে নদী ড্রেজিং-এর জন্য ড্রেজার ও ড্রেজিং সংশ্লিষ্ট যন্ত্রপাতি ক্রয়ে উন্মুক্ত ক্রয় পদ্ধতির পরিবর্তে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে ক্রয় করার জন্য দুটি প্রস্তাব উপস্থাপন করেছিল পানি উন্নয়ন বোর্ড।
×