ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০৮ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১

বোরকা আর হাত-পায়ে মোজা পরে নারীরা ইয়াবা আনছে

প্রকাশিত: ০৩:৫৫, ৮ মে ২০১৬

বোরকা আর হাত-পায়ে মোজা পরে নারীরা  ইয়াবা আনছে

নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া, ৭ মে ॥ এখন ইয়াবার চালান আসছে নৌ এবং সড়কপথে। এর সঙ্গে এক চিহ্নিত রোহিঙ্গা সরাসরি জড়িত বলে এলাকায় ব্যাপক জনশ্রুতি রয়েছে। আরও রয়েছে মৎস্যবন্দর আলীপুরের কয়েক গডফাদার। মৎস্য ব্যবসার আড়ালে মাদকের ব্যবসায় কোটিপতি বনে গেছে এমন কয়েকজনের নাম স্থানীয়দের মুখে মুখে শোনা যায়। সাধারণ জেলেদের প্রশ্ন- শত শত ট্রলার মালিক কিংবা হাজারো জেলে ট্রলার নিয়ে সাগরে যাচ্ছেন। মাছ শিকার করছেন। কিন্তু তাদের ভাগ্যের শিকে ছেঁড়ে না কখনও। অথচ নির্দিষ্ট কিছু ট্রলার মালিক কিংবা আড়ত মালিক রাতারাতি মিরাকলের মতো কোটিপতি বনে গেছে। একেক সরকারের সময় নির্দিষ্ট চক্র এভাবে কোটিপতি বনে গেছে। এর কারণ এখন বের হতে চলেছে। মৎস্যবন্দর আলীপুরে রয়েছে এক রোহিঙ্গাচক্র। এর মধ্যে এক প্রভাবশালী রোহিঙ্গা রয়েছে যাকে মাদক কারবারের মূল হোতা হিসেবে চিহ্নিত করেছে সেখানকার মানুষ। ইয়াবা থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের মাদক কক্সবাজারসহ বিভিন্ন স্থান থেকে আনা এর মূল কাজ। আলীপুরের গডফাদারদের কাছে পৌঁছে দিয়েই ওই রোহিঙ্গার দায়িত্ব শেষ। তার ব্যাংক লেনদেন খতিয়ে দেখার বিষয়টিও আলোচনায় রয়েছে। এর মধ্যে নারী সদস্যও রয়েছে, যারা বোরকার সঙ্গে হাত-পায়ে মোজা পরে ব্যাগের মধ্যে করে ইয়াবার চালান নিয়ে আসছে। স্বাভাবিকভাবেই পুলিশ প্রশাসনের কেউ সাহস করে না ওই ব্যাগ কিংবা নারীদের সার্চ করার। তারা সড়কপথে ইয়াবার চালান আনা-নেয়া করছে। রোহিঙ্গা এ চক্রের স্থানীয় দালালরা খুবই প্রভাবশালী। সরকারী দলের স্থানীয় হোমরা। রোহিঙ্গা গুরাই মাঝীর ছেলে শীর্ষ সন্ত্রাসী করিম ও ফজল ছিল আলীপুরের আতঙ্ক। এ দুই সন্ত্রাসী বছরখানেক পলাতক রয়েছে। শোনা যায়, করিম মালয়েশিয়ার জেলে আটক রয়েছে। শুধু মাদকের ব্যবসা নয়, ভারতীয় পণ্যসামগ্রী ট্রলারযোগে আনার কাজও করছে এ রোহিঙ্গাচক্র।
×