ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ দৌলতপুরের মানুষ

প্রকাশিত: ০৩:৫৫, ৭ মে ২০১৬

চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ দৌলতপুরের মানুষ

নিজস্ব সংবাদদাতা, দৌলতপুর, কুষ্টিয়া, ৬ মে ॥ দৌলতপুরে পুলিশের বেপরোয়া চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ হয়ে সাধারণ মানুষ। বিনা কারণে ব্যবসায়ীসহ সাধারণ মানুষকে মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন অপরাধে মিথ্যা মামলা দিয়ে চালান দেয়ার ভয় দেখিয়ে মোটা অঙ্কের চাঁদা আদায় অব্যাহত থাকায় সাধারণ মানুষ পুলিশের প্রতি আস্থা হারাতে বসেছে। দৌলতপুর থানার বর্তমান ওসি শহিদুল ইসলাম শাহীন দৌলতপুর থানায় যোগদানের পর দৌলতপুরে পুলিশের চাঁদাবাজি আগের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে বলে ভুক্তভোগী বিভিন্ন মহলের অভিযোগ। জানা গেছে, রবিবার বিকেলে উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের ভাগজোত এলাকা থেকে দুই লাখ টাকার চাঁদিসহ পাচারকারীকে আটক করে দৌলতপুর থানার এএসআই আজাদ। পরে ১ লাখ টাকা উৎকোচ নিয়ে চাঁদিসহ ওই পাচারকারীকে ছেড়ে দেয় এএসআই আজাদ যা ওই এলাকার অনেকে অবগত আছেন। এরপর একই দিন রাতে উপজেলার হোসেনাবাদ হাইস্কুলপাড়া এলাকার ট্রাক ব্যবসায়ী রেজাউল ইসলামের বাড়িতে ঢুকে এএসআই আসাদ, উজ্বল ও ফয়সাল স্থানীয় সোর্স রাজুর মাধ্যমে দুই বোতল ফেনসিডিল ব্যবসায়ীর ঘরে রেখে মাদক বিক্রেতার ভয় দেখিয়ে তার কাছ থেকে ৭০ হাজার টাকা আদায় করা হয়। এর পরদিন হোসেনাবাদ রিপেল আলীর তেলের দোকানে হানা দিয়ে তেলের লাইসেন্স নেই বলে নিরীহ খুচরা ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকা আদায় করে দৌলতপুর থানার এএসআই সাহেব আলী। এছাড়াও একই এলাকার ট্রাক ব্যবসায়ী বাবুর কাছে মাদক ব্যবসার ভয় দেখিয়ে মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি করে এএসআই আসাদ। আসাদের দাবিকৃত টাকা ব্যবসায়ী বাবু দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে দৌলতপুর থানার ওসি বাবুকে থানায় দেখা করতে বলেছে বলে এএসআই আসাদ বাবুকে জানায়। ওসির কথা শুনে বাবু মঙ্গলবার রাতে ওসির সাথে দেখা করতে থানায় গেলে সে সময়ও বাবুর কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করা হয় বলে স্থানীয় বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে। এভাবেই উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রতিনিয়ত দৌলতপুর থানা পুলিশ সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে অথবা কোন সাধারণ ব্যবসায়ী বা মাদক ব্যবসায়ীকে ভয় দেখিয়ে মোটা অঙ্কের অর্থবাণিজ্যে লিপ্ত থাকায় জনমনে তীব্র ক্ষোভের পাশাপাশি উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার সৃষ্টি হয়েছে। তবে দৌলতপুর থানা পুলিশের এসব কর্মকা-ের বিষয়ে তদন্ত করে সংশ্লিষ্ট এএসআইদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেছেন দৌলতপুর থানার ওসি শহীদুল ইসলাম শাহীন। তিনি বলেন, এমন ঘটনা হয়ে থাকলে অবশ্যই দুঃখজনক এবং যারা এমন কর্মকা-ের সাথে জড়িত অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
×