ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

তরুণ শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ, হতাশ

মেয়াদ শেষ হতে চললেও পূর্ণাঙ্গ কমিটি হয়নি ঢাবি ছাত্রলীগের

প্রকাশিত: ০৪:২০, ১০ এপ্রিল ২০১৬

মেয়াদ শেষ হতে চললেও পূর্ণাঙ্গ কমিটি হয়নি ঢাবি ছাত্রলীগের

মুহাম্মদ ইব্রাহীম সুজন ॥ নতুন কমিটির মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হলেও ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটি হয়নি। গত বছরের ১৮ জুন সংগঠনটির ঢাবি শাখার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করে নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছিল। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী আর মাত্র তিন মাস পরই মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে ঢাবি ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটির। পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করতে পদপ্রত্যাশীদের কাছ থেকে জীবনবৃত্তান্ত সংগ্রহ করা হয়েছে ছয় মাস আগে। নতুন এই কমিটির পূর্ণ মেয়াদ শেষ হতে চললেও এখনও পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়নি। এ নিয়ে পদপ্রত্যাশী তরুণ শিক্ষার্থীদের মাঝে হতাশা ও ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির অধীনে জেলা পদমর্যাদার ঢাবি শাখা অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ইউনিট। গঠনতন্ত্র অনুসারে এই কমিটির মেয়াদ এক বছর হলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তা মানা হয় না। এর আগের কমিটি এক বছরের জায়গায় চার বছর মেয়াদ পার করেছিল। ঠিক কি কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠিত হচ্ছে না এমন প্রশ্নের জবাবে নতুন কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন প্রিন্স জনকণ্ঠকে জানান, কমিটির সব কাজ চূড়ান্ত করা হয়েছে। খুব শীঘ্রই এই কমিটি ঘোষণা করা হবে। তবে দিন-তারিখ নির্দিষ্ট করে বলতে পারেননি তিনি। এদিকে কমিটি না হওয়ায় পদ প্রত্যাশীদের মাঝে হতাশা এবং ক্ষোভ বেড়েই চলেছে। এক পদপ্রত্যাশী জানান, হবে হবে করে প্রায় এক বছর হয়ে গেলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিটি হচ্ছে না। এতে করে সব জায়গাতেই আমরা অবহেলিত। কমিটি না হওয়ায় আমি প্রচ- হতাশ। নেতারা কেন্দ্রীয় পদে, হলের কমিটি কার্যত অচল ॥ সংগঠনটির পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল কমিটি এবং বিশ্ববিদ্যালয় কমিটির নেতৃবৃন্দ পদ পেয়ে কেন্দ্রীয় নেতা হয়েছেন। হলগুলোতে নতুন করে কমিটি না হওয়ায় কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দরাই হলের দায়িত্বে রয়েছেন এখনও। একই সঙ্গে কেন্দ্র ও হল শাখার দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে অনেকে নিজেকে হল থেকে গুটিয়ে নিয়েছেন। এতে করে হলগুলো সাংগঠনিকভাবে অকার্যকর হয়ে পড়েছে। গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ছাত্রলীগের ৩০১ সদস্যবিশিষ্ট কেন্দ্রীয় পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়। পূর্ণাঙ্গ এই কমিটিতে বিভিন্ন পদের প্রায় ৯০ শতাংশ নেতৃবৃন্দই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল শাখা, সাবেক কেন্দ্রীয় কমিটি এবং সাবেক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কমিটিতে ছিলেন। নতুন করে এসব কমিটি গঠিত না হওয়ায় তারা একই সঙ্গে দুটি ক্ষেত্রেই দায়িত্ব পালন করছেন। কেন্দ্রে পদ পেয়ে অনেকেই হল ছেড়েছেন। তাদের সেসব পদে নতুন করে কাউকে দায়িত্ব দেয়া হয়নি। মাস্টার দা’ সূর্য সেন হলের সভাপতি এখন কেন্দ্রের সাংগঠনিক সম্পাদক। হলে না আসায় তার ৪২১ নম্বর রুমটি তালাবদ্ধ থাকে। ফলে হলটির সভাপতির পদ কার্যত শূন্য। প্রতিটি হলের এরকম দৃশ্যই কমবেশি এরকম।
×