ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১

১ এপ্রিল থেকে অনলাইনে ভ্যাট প্রদানের নিবন্ধন শুরু হচ্ছে

প্রকাশিত: ০৪:১০, ১৮ মার্চ ২০১৬

১ এপ্রিল থেকে অনলাইনে ভ্যাট প্রদানের নিবন্ধন শুরু হচ্ছে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ অনলাইনে মূল্য সংযোজন কর (মূসক/ভ্যাট) সংক্রান্ত সকল সেবার উদ্দেশ্য নিয়ে ১ এপ্রিল শুরু হতে যাচ্ছে ইলেকট্রনিক বিজনেস আইডেন্টিফিকেশন নম্বর (ই-বিআইএন) নিবন্ধন। চলতি বছরের ১ জুলাই থেকে বিদ্যমান ভ্যাট আইন-১৯৯১-এর স্থলে নতুন ভ্যাট আইন কার্যকর হচ্ছে আর ‘ভ্যাট অনলাইন’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় নতুন আইন বাস্তবায়নে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এই উদ্যোগ নিয়েছে। নতুন ভ্যাট আইনের আওতায় ভ্যাটদাতাকে অনলাইনে ভ্যাট রিটার্ন প্রদান, ভ্যাট প্রদানসহ ভ্যাটসংক্রান্ত সকল সেবা পাওয়া যাবে। নতুন ভ্যাট আইন কার্যকর হওয়ার পর সকল ভ্যাটদাতার আগের ১১ ডিজিটের ভ্যাট নম্বরের পরিবর্তে নতুন ভ্যাট নম্বর হবে ৯ ডিজিটের। নতুন আইন অনুসারে যে সকল ব্যবসায়ীর বার্ষিক টার্নওভার ৮০ লাখ টাকার বেশি তাদের ভ্যাট দিতে ইবিআইএন নিবন্ধন নিতে হবে। আর ই-বিআইএনধারীকে প্রতিমাসে ভ্যাট রিটার্ন জমা দিতে হবে। ভ্যাটদাতারা এনবিআরের ওয়েবসাইডে গিয়ে ই-বিআইএন নিবন্ধন নিতে পারবেন কিংবা সরাসরি নিজ নিজ কর অঞ্চলে গিয়েও কর্মকর্তাদের সহায়তা নিয়ে নিবন্ধন নিতে পারবেন। ই-বিআইএন নিবন্ধিত হলে ভ্যাটদাতা ভ্যাট রিটার্ন, অনলাইনে ভ্যাট প্রদানসহ ভ্যাটসংক্রান্ত সকল সেবা নিতে পারবেন। এনবিআর থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুসারে, প্রাথমিকভাবে যেসব প্রতিষ্ঠান নিয়মিত ভ্যাট রিটার্ন জমা দেয় ও ভ্যাট পরিশোধ করে, তাদেরই ই-বিআইএন নিবন্ধন দেবে এনবিআর। এ জন্য ওই প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের সংশ্লিষ্ট মূসক কার্যালয়ে না এলেও চলবে। ভ্যাট অনলাইন প্রকল্পের কর্মকর্তারাই ব্যবসায়ীদের নিবন্ধন করে দেবেন। পরে নতুন নিবন্ধন নম্বর সংশ্লিষ্ট কার্যালয় থেকে ভ্যাটদাতা সংগ্রহ করতে পারবেন। ভ্যাট নিবন্ধন হওয়ার পর আগামী জুলাই মাস থেকে ঘরে বসে অনলাইনে মূসক বিবরণী জমা ও কর পরিশোধ করতে পারবে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলো। এতে হয়রানি বন্ধ হওয়ার পাশাপাশি রাজস্ব আদায়ও বাড়বে। এনবিআর সূত্রে জানা যায়, দেশে ইতোমধ্যে ৮ লাখ ৪০ হাজার প্রতিষ্ঠান বিআইএন নিয়েছে। তবে বছরে মাত্র ৩২ হাজার প্রতিষ্ঠান মূসক বা ভ্যাট দেয়। এর সিংহভাগই আবার প্যাকেজ ভ্যাটের আওতায় রয়েছে। নতুন ভ্যাট আইনে অনলাইনে ভ্যাট দেয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। তাই সব প্রতিষ্ঠান প্রতিমাসে অনলাইনে ভ্যাট বিবরণী জমা দেয়ার পাশাপাশি অর্থ পরিশোধ করতে পারবে। নতুন ভ্যাট আইন অনুসারে যারা ভ্যাট রিটার্ন জমা দেবে না, শাস্তি হিসেবে তাদের ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা এবং অপরিশোধিত ভ্যাটের সঙ্গে প্রতিমাসে ২ শতাংশ হারে সুদ প্রদান করতে হবে। এ বিষয়ে ভ্যাট অনলাইনের প্রকল্প পরিচালক রেজাউল হাসান বলেন, ব্যবসার খরচ কমাতেই নতুন ভ্যাট আইন ও অনলাইনে ভ্যাট পরিশোধের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ব্যবসায়ীদের সুবিধার জন্য অনলাইনে সর্বক্ষণিক সেবা দিতে থাকবে কল সেন্টার। করদাতা নিজেই অফিস বা বাসায় বসে অনলাইনে ভ্যাট পরিশোধ করতে পারবেন।
×