ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

আর ক’দিন পরেই ॥ আজ ঈশিকার বিয়ে!

প্রকাশিত: ০৬:৪৮, ১৭ মার্চ ২০১৬

আর ক’দিন পরেই ॥ আজ ঈশিকার বিয়ে!

আত্মহত্যা করা ছাড়া নাকি উপায় নেই ঈশিকার! বিয়ে ঠিক হয়েছে বলে? না। কারণটা অন্য। বিয়ের নিমন্ত্রণপত্র দিতে হচ্ছে পরিচিত সবাইকে। ছুটতে হচ্ছে বিভিন্ন জায়গায়। এই যে এত ছোটাছুটি, তবুও নিজেকেই ধরতে হচ্ছে গাড়ির স্টিয়ারিং। ড্রাইভার যে অসুস্থ! কী আর করার। ঘটছে বিভিন্ন বিপত্তি। মামলা খেয়ে চলছেন একের পর এক। কখনও কোন ব্যাংকের সামনে পার্কিংয়ের অপরাধে। কখনও বা অন্য কারণে। ‘ একটা ব্যাংকের সামনে পার্কিংস্পেস না থাকলে আমার কী করার আছে!’ আক্ষেপ মিরপুর ক্রিকেট গ্যালারি জমিয়ে রাখা মেয়েটির। এত তাড়াতাড়ি যে তিনি বেনারসিতে জড়াবেন; এটা অন্তত কেউ ভাবেনি। নাটক-সিনেমায় হলে ভিন্ন কথা ছিল। তাই বলে বাস্তবে! অনেকে তো ভেবেই বসলো, ‘এপ্রিল ফুল’ নয় তো! যেহেতু তারিখটি এপ্রিলের এক, এমন ভাবনা অযৌক্তিক নয়। অনেকেরই আবার আফসোস, এখনই কী দরকার ছিল! ঈশিকা তাদের পক্ষ নিয়ে রসিকতা করেন, ‘সো ট্রু! আমার মাকে বোঝান।’ হঠাৎ করেই যেন মিলে গেল পাজল। ছেলে ভাল। পরিবার ভাল। আর কি চাই! হবু বর কায়সার খান। লল্ডনি। জন্ম মৌলভীবাজার। এখনও ‘আপনি’ করেই সম্বোধন করেন হবু বউকে। সালাম দেন প্রতিটি ফোন কলে। সম্মান করেন অনেক। ‘আমার শ্বশুরবাড়ির প্রত্যেকটা ছেলেমেয়ের মধ্যে এই সংস্কৃতিটা আছে।’ ঈশিকার ভাষ্য এমনই। একটু গর্ব কি কাজ করছে তার ভেতরে! করতেই পারে। জেদটা একটু বেশি হলেও, খুব সংসারী মেয়ে ঈশিকা। শান্ত। শূটিংয়ে কেউ দশটা কথা শুনিয়ে দিলেও চুপ থাকেন। দু’দিন পর হয়তো তাদের সঙ্গে আর দেখা হবে না। আপনজনের ক্ষেত্রে কি আর চুপ থাকা যায়! কেউ অন্যায়ভাবে কথা শোনালে খবর আছে। সহ্য করেন না একদমই। যুক্তি হচ্ছে- ‘আমি বাঙালি মেয়ে। মুর্খ তো নই! আগে বাঙালি মেয়েরা সবকিছু সহ্য করতো মুখ বুজে। তাদের মধ্যে শিক্ষার অভাব ছিল। এখন তো তেমন নেই!’ আপাতত অভিনয়ে এক মাসের বিরতি। বিয়ে উৎসব পেরুলেই আবার নিয়মিত হবেন ঈশিকা। শ্বশুরবাড়ি থেকেও এ ব্যাপারে কোন নিষেধাজ্ঞা নেই। তবে হ্যাঁ, আগের মতো বেশি সিরিয়াল করবেন না আর। এক ঘন্টার নাটকে সময় দেবেন বেশি।
×