উৎপাদনের জায়গা কম, তাই ডাল আমদানিতে সমস্যা নেই ॥ অর্থমন্ত্রী

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, ডাল প্রডাকশনে (উৎপাদন) আমাদের জায়গা কম। তাই ডাল আমদানিতে কোন সমস্যা নেই। মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে এনজিও প্রতিনিধিদের সঙ্গে প্রাক-বাজেট আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন। এ সময় অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এমএ মান্নান, পরিকল্পনা সচিব তরিক-উল-ইসলাম, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি আয়েশা খানম, নারী নেত্রী প্রিয়ভাষিনি, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধি রীনা রায়, আশার প্রতিনিধি আব্দুল আজিজ, গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। ওষুধের কাঁচামাল আমদানি ট্যাক্স কমানোয় অর্থমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ওষুধের কাঁচামাল আমদানির ট্যাক্স ২৫ শতাংশ কমানোয় আপনাকে ধন্যবাদ। এতে করে দেশে ওষুধের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে। অর্থমন্ত্রী উদ্দেশ করে তিনি বলেন, আপনি স্বাস্থ্য খাতে বাজেট কমিয়ে ভাল করেছেন। আমাদের যে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা অকারণে এখানে টাকা ঢেলে লাভ নাই। তবে স্বাস্থ্য খাতে যে বাজেট দেয়া হচ্ছে তা পর্যাপ্ত না হলেও অপব্যবহার করা হচ্ছে। আপনি ডাক্তারদের চাকরি দিচ্ছেন বেতন বাড়াচ্ছেন। কিন্তু তারা কেউ গ্রামে থাকছেন না। তাদের গ্রামে অবস্থানের বিষয়ে উদ্যোগ নিতে হবে। ওষুধের দাম কমানোর আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এখন বাজারে একটা ক্যান্সারের ওষুধের দাম ১৮শ’ টাকা। এই ওষুধের উৎপাদন খরচ ৫০০ টাকার বেশি হওয়ার কথা নয়। এ জন্য সরকারকে ১৯৮২ সালের ওষুধ নীতি অনুসরণ ওষুধের দাম কমানোর দিকে নজর দিতে হবে। স্বাস্থ্য খাতকে উন্নত করতে হলে বিনামূল্যে চিকিৎসা ব্যবস্থার দিকে নজর দেয়ার পরামর্শ দেন তিনি। আয়েশা খানম বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশের বিভিন্ন সেক্টরে নারীদের অংশগ্রহণ বাড়ছে। ফলে কর্মক্ষেত্রে নারীদের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ দরকার। এ জন্য ডে কেয়ার সেন্টার, যাতায়াতের জন্য পরিবহন ব্যবস্থাসহ যাবতীয় সুযোগ রাখা উচিত। অক্সফামের প্রতিনিধি নুরুল ইসলাম বলেন, দেশের মোট জনগোষ্ঠীর মধ্যে ৩১ শতাংশ যুবসমাজ। প্রবৃদ্ধি অর্জনের ক্ষেত্রে এই যুবসমাজকে কাজে লাগাতে হবে। তিনি বলেন, উৎপাদকরা বিশেষ করে কৃষকরা তাদের পণ্যের ন্যায্যমূল্য পাচ্ছে না। এক কেজি ধান উৎপাদন করতে ২৩ টাকা খরচ হচ্ছে অথচ বিক্রি করতে হচ্ছে ১৪ টাকায়। বাংলাদেশ একটি জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশ। তাই জলবায়ু মোকাবেলা বাজেট আলাদা বরাদ্দ রাখার দাবি করেন এই উন্নয়ন কর্মী। নগর গবেষণা কেন্দ্রের প্রতিনিধি ড. নজরুল ইসলাম বলেন, দক্ষিণ কোরিয়ার আজ এত উন্নয়ন তার পেছনে রয়েছে গবেষণা। কোন পদক্ষেপকে কার্যকর করার আগে গবেষণা প্রয়োজন। আমরা কৃষি খাতে সফল গবেষণার জন্য আজ দেশ খাদ্যে স্বয়ং সম্পন্ন হয়েছে। এ সময় তিনি গবেষণা খাতে সরকারকে নজর দেয়ার আহ্বান জানান তিনি।