ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ০২ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১

টুটুল মাহফুজ

প্লাস্টিক খাওয়া মাছ কি খাওয়া যায়

প্রকাশিত: ০৪:২১, ১১ মার্চ ২০১৬

প্লাস্টিক খাওয়া মাছ কি খাওয়া যায়

প্লাস্টিক পরিবেশের ক্ষতি করে জেনেও অনেকেই এখনো নানাভাবে প্লাস্টিক ব্যবহার করেন। অনেকে সমুদ্রেও ফেলেন প্লাস্টিকের সামগ্রী। সেই প্লাস্টিক আবার অনেক মাছের পেটে যায়। এমন মাছ খেলে কি খুব ক্ষতি হবে? এই বিষয়টি নিয়ে বেশ কষ্টসাধ্য এক গবেষণা করেছেন জার্মানির ‘আলফ্রেড ভাগনার ইনস্টিটিউট’-এর ‘হেল্মহল্টজ সেন্টার ফর পোলার এ্যান্ড মেরিন রিসার্চ’-এর জীববিজ্ঞানীরা। তাঁদের কাজ ছিল মূলত যেসব মাছ প্লাস্টিকের কণা খায়, সেগুলোকে খুঁজে বের করে সেই মাছগুলো নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা। প্লাস্টিক মাছের স্বাভাবিক খাবার নয়। তবু অনেক মাছ প্লাস্টিককেই খাবার ভেবে খেয়ে ফেলে। এমনিতে ব্যাগ, স্যান্ডেল, খেলনা বা অন্য কোন প্লাস্টিকের আস্ত জিনিস হলে মাছ স্বাভাবিক অবস্থায় তা খায় না। তবে জিনিসগুলো তো সমুদ্রের স্রোতের আঘাতে ভেঙ্গে বা ছিঁড়ে টুকরো, সেই টুকরোগুলো আরও ছোট ছোট হতে হতে এক সময় কণার মতো হয়ে যায়। সেই কণাগুলো আবার পানির চেয়ে অনেক হাল্কা বলে ওপরেই ভাসে। অনেক মাছ প্লাস্টিকের কণাগুলোই খেয়ে ফেলে। জার্মান বিজ্ঞানীরা দেখেছেন সব মাছ কাছে পেলেও কখনও প্লাস্টিকের কণা খায় না। ২৯০টি মাছের পাকস্থলি ও নাড়িভুঁড়ি পরীক্ষা করে এ বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছে তারা। সেই ২৯০টি মাছের মধ্যে ম্যাকারেল, হেরিং, কড এবং হলুদ পাখার এক ধরনের মাছও ছিল। এ সব মাছ পরীক্ষা করে বিজ্ঞানীদের মনে হয়েছে, মাছ প্লাস্টিক খাবে কিনা তা নির্ভর করে মূলত সেই মাছের ওপর। অর্থাৎ কোন মাছ কতটা বুদ্ধিমান তার ওপরই নির্ভর করে সে প্লাস্টিক খাবে কিনা। সেই কারণেই ‘হেল্মহল্টজ সেন্টার ফর পোলার এ্যান্ড মেরিন রিসার্চ’-এর জীববিজ্ঞানীরা দেখেছেন, হেরিং বা হেরিংয়ের মতো কয়েকটি মাছ পেলেও কখনও প্লাস্টিকের কণা খায় না। কিন্তু ম্যাকারেল পানির ওপরে প্লাস্টিকের কণা দেখলেই খেয়ে ফেলে। শামূকের বাচ্চা ম্যাকারেলের খুব প্রিয় খাবার। সাগরের পানিতে প্লাস্টিকের কণার স্তর ভাসতে দেখে মাকারেল মনে করে শামূকের বাচ্চা ভাসছে। দেরি না করে দ্রুত সেগুলো খেয়েও ফেলে। প্রশ্ন হলো, এই প্লাস্টিকের কণা খাওয়া মাছ খেলে কি মানুষের খুব ক্ষতি হয়? বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, প্লাস্টিক খেয়ে কোন মাছ অসুস্থ হয়েছে এমন প্রমাণ এখনও তাঁরা পাননি। সেই মাছ খেয়ে অসুস্থ হওয়া মানুষের সন্ধানও নাকি তাঁরা এখনও পাননি। সূত্র : বিবিসি, ডয়েচ ভেলে
×