ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

সংস্কৃতি সংবাদ

কাজী সব্যসাচী স্মৃতি পুরস্কার পেলেন সৌমিত্র ও আরিফ

প্রকাশিত: ০৫:১৬, ৩ মার্চ ২০১৬

কাজী সব্যসাচী স্মৃতি পুরস্কার পেলেন সৌমিত্র ও আরিফ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জ্যেষ্ঠপুত্র আবৃত্তিশিল্পী প্রয়াত কাজী সব্যসাচী। বাংলা সংস্কৃতির অন্যতম পথপ্রদর্শক, প্রবাদপ্রতিম এ শিল্পীর ৩৭তম প্রয়াণ বার্ষিকী উপলক্ষে প্রথমবারের মতো ‘কাজী সব্যসাচী স্মৃতি পুরস্কার ২০১৬’ প্রবর্তন করে কাজী সব্যসাচী পরিবার। জাতীয় জাদুঘরের প্রধান মিলনায়তনে বুধবার সন্ধ্যায় এক বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্যদিয়ে এ পুরস্কার প্রদান করা হয় ওপার বাংলার খ্যাতিমান আবৃত্তিশিল্পী সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় ও এপার বাংলার শিল্পী কাজী আরিফকে। পুরো আয়োজন জুড়ে ছিল গান, কবিতা, আলোচনা আর নৃত্যের ছন্দ। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রফেসর ইমেরিটাস ড. আনিসুজ্জামান। সভাপতিত্ব করেন নজরুল ইনস্টিটিউটের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ইমেরিটাস রফিকুল ইসলাম। সম্মানিত অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, ব্যারিস্টার রফিকুল হক, কথা সাহিত্যিক ও নাট্যকার সৈয়দ শামসুল হক, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মোহীত উল আলম, জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক ফয়জুল লতিফ চৌধুরী, নাট্যজন রামেন্দু মজুমদার, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ ও নজরুল ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক একরাম আহমেদ। শুরুতে অতিথিদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন কাজী সব্যসাচী পরিবারের সদস্যরা। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ‘কাজী সব্যসাচী স্মৃতি পুরস্কার ২০১৬’ প্রদান অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক খিলখিল কাজী। পরে পর্দায় সব্যসাচীর জীবনীর উপর একটি সংক্ষিপ্ত ভিডিও প্রদর্শন করা হয়। বক্তারা বলেন, প্রবাদপ্রতিম কাজী সব্যসাচীর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনে এই প্রথমবারের মতো পুরস্কার প্রবর্তন বাংলা সংস্কৃতিকে এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে গেল। দেরিতে হলেও এ পুরস্কার উভয় বাংলাকে আরও সমৃদ্ধ করবে এবং সম্পৃতির বন্ধন আরও সুদৃঢ় হবে। আলোচনার পর কাজী পরিবারের পক্ষ থেকে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় ও কাজী আরিফের হাতে পুরস্কারের সম্মাননা স্মারক, এক লাখ টাকার চেক ও উত্তরীয় পরিয়ে দেয়া হয়। এরপর শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এ পর্বের শুরুতে কাজী সব্যসাচীর সকণ্ঠে নজরুলের কালজয়ী ‘বিদ্রোহী’ কবিতার সঙ্গে সমবেত নৃত্য পরিবেশন করে নৃত্যালোকের শিল্পীরা। পরে সমবেত কণ্ঠে ‘মুক্তির উল্লাসে’ কবিতা আবৃত্তি করে স্রোত আবৃত্তি সংসদ। অনুষ্ঠানে একক গান পরিবেশন করেন শিল্পী খলিদ হোসেন, ফেরদৌস আরা, খিলখিল কাজী, খায়রুল আনাম শাকিল, সালাহউদ্দিন আহমেদ, সুজিত মোস্তফা, ভারতের মিতালী বন্দ্যোপাধ্যায়, ইয়াসমিন মুসতারী, ছন্দা চক্রবর্তী, ইয়াকুব আলী খান, ভারতের মনোময় ভট্টাচার্য ও শম্পা কুন্ডু। একক আবৃত্তি করেন শিল্পী ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায়, ভারতের বিজয়লক্ষ্মী বর্মণ, সীমা ইসলাম, সতীনাথ মুখোপাধ্যায়, মাহিদুল ইসলাম মাহি, ভারতের রবীন মুখোপাধ্যায় প্রমুখ। মুন্সীগঞ্জে সপ্তাহব্যাপী নাট্যোৎসব জমে উঠেছে ॥ স্টাফ রিপোর্টার মুন্সীগঞ্জ থেকে জানান, লৌহজংয়ের পদ্মা তীরে মুক্তিযুদ্ধের সপ্তাহব্যাপী নাট্যোৎসব জমে উঠেছে। প্রথম দিনে ‘সার্কাস সার্কাস’ দেখতে পদ্মাপারে ছিল নাট্যোমোদি মানুষের ঢল। বুধবার ‘সময়ের প্রয়োজনে’ দেখতেও মানুষের কমতি ছিল না। উপজজেলা পর্যায়ে মঞ্চ নাটক দেখতে এত মানুষের ঢল না দেখলে বিশ্বাস করা যাবে না। মঙ্গলবার রাতে এই উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন জাতীয় সংসদের সাবেক হুইপ অধ্যাপিকা সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি এমপি। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা পরিষদ প্রশাসক ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর মোহাম্মদ মহিউদ্দিন। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ ফকির মোহাম্মদ আব্দুল হামিদের সভাপতিত্বে আরও অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান ওসমান গনি তালুকদার, আব্দুর রশিদ শিকদার ও এ্যাডভোকেট সোহানা আক্তার প্রমুখ। কাল বৃহস্পতিবার মঞ্চস্থ হবে ‘বৌ বসন্তী’। এর পর পর্যায়ক্রমে মঞ্চস্থ হবে ‘পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়’, ‘কালরাত্রি’, ‘লাল জমিন’ ও ‘মুজিব মানেই মুক্তি’। মুক্তিযুদ্ধের নাটক নিয়ে ঢাকার নামী দামী সাতটি দল নাটক মঞ্চস্থ করছে। এই নাটককে ঘিরে এখানে বিরাজ করছে উৎসব আমেজ। এ প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানানোর জন্য উপজেলা আওয়ামী লীগ এই উৎসবের আয়োজন করেছে। লৌহজং ঘোরদৌড় পুরনো উপজেলা কমপ্লেক্স মাঠে চলছে উৎসবটি। এই নাটক সকলের জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়েছে।
×