ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

কুড়িগ্রামে আহত ব্যক্তির মৃত্যু ॥ সাত বাড়িতে আগুন

প্রকাশিত: ০৪:৩৭, ৩ মার্চ ২০১৬

কুড়িগ্রামে আহত ব্যক্তির মৃত্যু ॥ সাত বাড়িতে আগুন

স্টাফ রিপোর্টার, কুড়িগ্রাম ॥ রাজারহাটে মসজিদের জায়গা নিয়ে সংঘর্ষে গুরুতর আহত রহমান (৫২) বুধবার রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিক্ষুব্ধ মুসল্লিরা প্রতিপক্ষের ৭টি বাড়ি ভাংচুর ও লুটপাট করে আগুন দিয়ে জ¦ালিয়ে দিয়েছে। জানা গেছে, উপজেলার চাকিরপশার ইউনিয়নের রতিরাম কমলওঝাঁ গ্রামের পাইকপাড়া জামে মসজিদটির স্থান সংকুলান না হওয়ায় মসজিদ পরিচালনা কমিটি ক্রয়কৃত নতুন জায়গায় কার্যক্রম শুরু করে। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি সকালে স্থানান্তরের জায়গা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হলে প্রতিপক্ষ আবেদ আলী ও তার লোকজন দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মসজিদ কমিটির সেক্রেটারি মজিবর রহমানের ওপর আক্রমণ চালায়। এতে সে জখম হয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। পরে এলাকাবাসী মজিবর রহমানকে উদ্ধার করে মুমূর্ষু অবস্থায় কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতাল নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। কিন্তু ক্রমান্বয়ে মজিবরের অবস্থার অবনতি হতে থাকে। সে টানা ১৪ দিন হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে লড়াই করে। অবশেষে মঙ্গলবার রাত ১২টার পর হাসপাতালে মজিবর রহমান চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে ক্ষুব্ধ হয়ে মৃতের লোকজনসহ ওই মসজিদের মুসল্লিরা বুধবার ভোররাতে প্রতিপক্ষ আবেদ আলী, আমজাদ আলী, আকবর আলী, আইয়ুব আলী, ইব্রাহিম আলী, আবু বক্কর সিদ্দিক ও আক্কাস আলীর বাড়ি লুটপাট করে অগ্নিসংযোগ করে। এ সময় প্রতিপক্ষরা প্রাণভয়ে পালিয়ে যায়। আগুনের খবর পেয়ে কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাট ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুনে পুড়ে নগদ ১ লাখ টাকা, ১০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার, একশ’ মণ ধানসহ ২৫টি আধাপাকা টিনের ঘর ভস্মীভূত হয়ে যায়। এতে প্রায় ১ কোটি টাকার মালামাল ভস্মীভূত হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো দাবি করেছে। চুরির অপবাদ সইতে না পেরে ছাত্রীর আত্মহত্যা নিজস্ব সংবাদদাতা, আমতলী (বরগুনা), ২ মার্চ ॥ আমতলী পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের বেলাল মিয়ার কন্যা ৭ম শ্রেণীর ছাত্রী সোনিয়া আক্তার তানহা (১২) মোবাইল চুরির অপবাদ সইতে না পেরে বুধবার সকালে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। আত্মহত্যার পূর্ব মুহূর্তে ঘটনার বর্ণনা দিয়ে সোনিয়া একটি চিরকুট লিখে গেছে। জানা গেছে, আমতলী পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের মাজার রোডের বাসিন্দা আচার ব্যবসায়ী বেলাল মিয়ার কন্যা ও আমতলী এমইউ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণীর ছাত্রী সোনিয়া আক্তার তানহা। মঙ্গলবার দুপুরে সোনিয়া আকতার তানহা চাওড়া লোদা গ্রামের সুজন মিয়ার স্ত্রী লাইজু বেগমের বাসায় যায়। পরে লাইজু একটি মোবাইল ফোন চুরির কথা বলে সোনিয়ার ফুফু মরিয়ম বেগমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বলে। ফুফুর জিজ্ঞাসাবাদে সোনিয়া মোবাইল চুরির ঘটনা অস্বীকার করে। বুধবার সকালে লাইজু সোনিয়াকে চোর সন্দেহে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তার বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায় এবং এক পর্যায় মারধর করে। সোনিয়া লোকলজ্জার ভয়ে নীরবে বাড়ি ফিরে মারধরের ঘটনা মাকে জানান। পরে মোবাইল চুরির ঘটনা বর্ণনা দিয়ে একটি চিরকুট লিখে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে।
×