ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

রবি ও এয়ারটেলের একীভূত হওয়া নিয়ে গণশুনানি

প্রকাশিত: ০৪:১৯, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

রবি ও এয়ারটেলের একীভূত হওয়া নিয়ে গণশুনানি

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ দুই মোবাইল অপারেটর রবি ও এয়ারটেলের একীভূত হওয়া নিয়ে গণশুনানি শেষ হয়েছে। বুধবার বেলা ১১টা থেকে সোয়া একটা পর্যন্ত বিটিআরসি ভবনে এ গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নেন ৯৮ জন। শুরুতে বিটিআরসি চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ বলেন, দুই কোম্পানি এক হলেও চাকরিতে প্রভাব পড়বে না। রবি-এয়ারটেল একীভূত করতে গত ২৮ জানুয়ারি মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে আনুষ্ঠানিক চুক্তির পর রবি আজিয়াটা লিমিটেড জানিয়েছে, একীভূত কোম্পানি রবি নামেই ব্যবসা পরিচালনা করবে। রবি ও এয়ারটেলের একীভূত হওয়ার বিষয়ে গত ০৮ ফেব্রুয়ারি বিটিআরসিতে দেশের অপর চার অপারেটর ইতিবাচক মত দেয়। রবি ও এয়ারটেলের একীভূত হওয়ার প্রভাব বিশ্লেষণে বাজার সমীক্ষারও উদ্যেগ নিয়েছে বিটিআরসি। এক হওয়া নিয়ে রবি-এয়ারটেলের চুক্তি সম্পাদনের ফলে শেয়ার মূলধনের পুনর্বিন্যাস করা হবে। এতে আজিয়াটা ৬৮ দশমিক ৭ শতাংশ ও ভারতী ২৫ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করবে। বাকি ৬ দশমিক ৩ শতাংশ বর্তমানের অপর শেয়ারহোল্ডার জাপানের এনটিটি ডকোমোর কাছে থাকবে। জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে চুক্তির পর চুক্তির কার্যকারিতা বিটিআরসি, সরকার এবং আদালতের অনুমোদন পাওয়ার ওপর নির্ভরশীল বলে উল্লেখ করে এর আগে যৌথ ঘোষণায় দুই অপারেটর জানায়, এ প্রক্রিয়া আগামী দুই মাসের মধ্যে সম্পন্ন হবে। দুই কোম্পানি এক হলে তাদের গ্রাহক সংখ্যা দাঁড়াবে প্রায় চার কোটি, যা বাংলাদেশের মোট মোবাইল ফোন গ্রাহকের এক-চতুর্থাংশ। বর্তমানে পাঁচ কোটির বেশি গ্রাহক নিয়ে গ্রামীণফোন সবার শীর্ষে রয়েছে। বিটিআরসি’র হিসাবে গত বছরের ডিসেম্বর নাগাদ বাংলাদেশে মোট মোবাইল ফোন গ্রাহক সংখ্যা ১৩ কোটি ৩৭ লাখ। এ সময়ে অপারেটর রবির গ্রাহক সংখ্যা দুই কোটি ৮৩ লাখ এবং এয়ারটেলের এক কোটি ৭১ হাজার। বাংলাদেশে ব্যবসায়িক কার্যক্রম একীভূত করার সম্ভাবনার বিষয়ে গত বছরের ০৯ সেপ্টেম্বর আলোচনা শুরুর ঘোষণা দেয় দুই কোম্পানি। বগুড়ায় নির্মিত হচ্ছে দেশের প্রথম আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রক বহুতল খাদ্যগুদাম অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ বগুড়ার সান্তাহারে নির্মিত হচ্ছে দেশের প্রথম আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রক বহুতল খাদ্যগুদাম। ২৫ হাজার মেট্রিক টন ধারণ ক্ষমতার এ গুদামে এখন চলছে পরীক্ষামূলক কার্যক্রম। আগামী জুনে পুরোদমে কার্যক্রম শুরু হলে দীর্ঘদিন মান নিয়ন্ত্রণে রেখে খাদ্যশস্য সংরক্ষণ ও বিদেশে রফতানি করা যাবে। মাল্টিস্টোরেজ ওয়ার হাউজ নামের অত্যাধুনিক খাদ্যগুদামটির নির্মাণ শুরু হয় ২০১৩ সালের প্রথমদিকে। ইতোমধ্যে মূল কাজের ৮০ ভাগ সমাপ্ত হয়েছে। গুদাম থেকে রেললাইনের কাজ এবং বিকল্প বিদ্যুত ব্যবস্থা সোলার সিস্টেমের কাজ শেষ হলেই উদ্বোধন করা হবে গুদামটি। অবশ্য এখন পরীক্ষামূলকভাবে চাল সংরক্ষণ করা হচ্ছে গুদামে। সান্তাহার বহুতল গুদাম নির্মাণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক গোলাম মোস্তফা, ‘প্রকল্প চালু করার জন্য যে সুবিধাসমূহ দরকার সেগুলোর সবই নির্মিত হবে।’ মজুদ ব্যবস্থা ভাল না থাকার কারণে কৃষক ও ব্যবসায়ী উভয়কেই লোকসান গুনতে হয়। তাদের আশা, এই গুদাম চালু হলে তারা উপকৃত হবেন। নওগাঁ চালকল মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেন শিকদার বলেন, ‘এখানে চাল সংগ্রহ কার্যক্রম শুরু হলে আমরা ব্যবসায়ীরা অধিক পরিমাণ চাল সরকারকে সরবরাহ করতে পারব।’
×