ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১

বাবা-মায়ের কবরের পাশে চিরনিদ্রায় আলতাফ মাহমুদ

প্রকাশিত: ০৪:০১, ২৬ জানুয়ারি ২০১৬

বাবা-মায়ের কবরের পাশে চিরনিদ্রায় আলতাফ মাহমুদ

স্টাফ রিপোর্টার, গলাচিপা ॥ স্ত্রী, সন্তান, পরিজনসহ পরিচিত-অপরিচিত সবাইকে কাঁদিয়ে বাবা-মায়ের কবরের পাশে চির নিদ্রায় শায়িত হলেন সাংবাদিক নেতা, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আলতাফ মাহমুদ। যে মাটিতে তিনি জন্ম নিয়েছিলেন ৬৬ বছর পরে আবার ফিরে এলেন সেই মাটিতেই। সোমবার সকাল দশটায় পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলা শহরের জৈনপুরী খানকা মাঠে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপরে তাঁর মরদেহ নেয়া হয় ডাকুয়া গ্রামের বাড়িতে। সেখানে আরেক দফা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। উভয় জানাজায় স্থানীয় এমপি আখম জাহাঙ্গীর হোসাইন, উপজেলা চেয়ারম্যান সামসুজ্জামান লিকন, পৌর মেয়র ওহাব খলিফা, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের যুগ্ম সম্পাদক আবু জাফর সূর্য এবং স্থানীয় প্রশাসন ও সংবাদকর্মীসহ সর্বস্তরের কয়েক হাজার মানুষ অংশগ্রহণ করেন। বেলা সাড়ে এগারোটার দিকে সকলের চোখের পানিতে বিদায় নিলেন আলতাফ মাহমুদ। তাঁর মরদেহ শুইয়ে দেয়া হয় বাবা-মায়ের কবরের পাশে। বাবা সুন্দর আলী খানের চতুর্থ সন্তান আলতাফ মাহমুদের লাশ রবিবার বিকেল সাড়ে চারটায় বিশেষ হেলিকপ্টারে ঢাকা থেকে গলাচিপা নিয়ে আসা হয়। প্রথমে তার লাশ উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ও পরে গলাচিপা পৌর শহরের বাড়িতে নেয়া হয়। বিকেল থেকে রাতভর তাঁর প্রতি শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এলাকার হাজারো মানুষ। পৈত্রিক জমির দাবিতে বিলুপ্ত ছিটমহলবাসীর বিক্ষোভ নিজস্ব সংবাদদাতা, লালমনিরহাট, ২৫ জানুয়ারি ॥ জেলার পাটগ্রাম উপজেলার ২০নং লোথামারী সদ্য বিলুপ্ত ছিটমহল হতে বিতাড়িত কয়েকটি পরিবার ভারতের কুচবিহার ভূমি অফিসের রেকর্ড সূত্রে পাওয়া পৈত্রিক জমির মালিকানার দাবিতে সোমবার দুপুরে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে। বিএনপি, জামায়াত ও শিবিরের মদদপুষ্ট কুখ্যাত রাজাকার মৃত মহির উদ্দিন মহিরের পেশীশক্তি ও প্রভাব খাটিয়ে পরিবারগুলোকে তৎকালীন ছিটমহল হতে বিতাড়িত করে দিয়েছে। পরিবারগুলোর বসতভিটা ও প্রায় চারশ’ বিঘা জমি অবৈধ দখল করে নিয়েছে মহির রাজাকার। বর্তমানে এ রাজাকারের ৭ সন্তান দখলকৃত জমিগুলো কলমি নক্সায় নিজ নামে রেকর্ডভুক্ত করেছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে জমির মালিকানা বঞ্চিত বিক্ষুব্ধ পরিবারগুলো বিক্ষোভ মিছিল করেছে। বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাম্মেল হক (৬৫) জানান, মহির রাজাকার ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে থাকা ভারতীয় ২০নং লোথামারী ছিটমহলের বাসিন্দা জফর আলীকে নির্মমভাবে হত্যা করে। তার স্ত্রী মৃত এজিমার ওপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার করে ছিটমহল হতে বের করে দেয়। তার আগে ৬৪ সালে জফর আলীর বড় ভাই আব্দুল নিখোঁজ হয়। তাকে হত্যা করে লাশ গুম করা হয়েছে বলে ছিটমহলে প্রচার আছে। ভারতীয় ছিটমহলটি বাংলাদেশের ভেতরে হওয়ায় পরিবারগুলো কোন আইনী সহায়তা নিতে পারেনি।
×