ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তাণ্ডব ক্ষয়ক্ষতি দেখতে আজ রেলমন্ত্রী যাচ্ছেন

প্রকাশিত: ০৫:১০, ১৬ জানুয়ারি ২০১৬

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তাণ্ডব ক্ষয়ক্ষতি দেখতে আজ রেলমন্ত্রী  যাচ্ছেন

স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ॥ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মঙ্গলবার মৌলবাদী তা-বে দায়েরকৃত মামলার তদন্ত চলছে। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের শনাক্তকরণ কাজ চলছে। এরপরই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ ঘটনায় এ পর্যন্ত সদর থানায় ১০টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। অন্যদিকে আখাউড়া জিআরপি থানায় একটি মামলা দায়ের হয়। এসব মামলায় ৪৪ জনের নামসহ ৭ সহস্রাধিক অজ্ঞাত লোক রয়েছে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়। ঘটনার ক্ষয়ক্ষতি স্বচক্ষে দেখতে রেলমন্ত্রী শনিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আসছেন। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে বিকেল ৩টায় তিনি রেলের ক্ষয়ক্ষতি দেখতে এবং এ জন্য প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেবেন। সূত্র জানায়, ধ্বংসযজ্ঞের পর ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশন প্রথম শ্রেণী থেকে নামিয়ে ডি ক্যাটাগরি হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। সিগন্যাল বোর্ড ভেঙ্গে ফেলায় সরাসরি ট্রেন থামানোর সংকেত দেয়া যাচ্ছে না। বিকল্পভাবে পার্শ্ববর্তী রেলস্টেশন থেকে সিগন্যাল দিয়ে ট্রেন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশনে পতাকা উড়িয়ে ট্রেন থামানো হচ্ছে। আর যাত্রীদের হাতে লেখা টিকেট প্রদান করা হচ্ছে। এদিকে শহরের বিভিন্ন ধ্বংসযজ্ঞ স্থান সরেজমিনে পরিদর্শন করেছে স্থানীয় সংসদ সদস্য র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। তিনি ধ্বংসযজ্ঞ দেখে বিস্মিত হন। এদিকে শুক্রবার জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদ্রাসার ছাত্র হাফেজ মাসুদুর রহমান হত্যার তীব্র নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে দোষী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় এনে যথাযথ বিচার নিশ্চিত করার জন্য সরকারের নিকট জোর দাবি জানানো হয়েছে। শুক্রবার বেলা ১১টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদ্রাসায় সাংবাদিক সম্মেলনে মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মুফতি মোবারকউল্লাহ এই দাবি জানান। সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, পুলিশ ও সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা মসজিদ ও মাদ্রাসায় হামলা করে এবং তাদের নির্যাতনে মাদ্রাসা ছাত্র হাফেজ মাসুদুর রহমানের মৃত্যু হয়েছে। তিনি মাদ্রাসার ছাত্র হত্যা ও মসজিদ মাদ্রাসা ভাংচুরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে শহরের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে হামলা ও ভাংচুরের তীব্র নিন্দা জানান এবং দুঃখ প্রকাশ করেন। তিনি জানান, এ ঘটনার সঙ্গে মাদ্রাসার ছাত্রদের কোন সম্পর্ক নেই। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান। মাওলানা মনিরুজ্জামান সিরাজীকে ঘটনার উস্কানিদাতা হিসেবে জেলা আওয়ামী লীগের দেয়া বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবি জানানে হয়। সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মাওলানা আশেক এলাহী, শিক্ষা সচিব মুফতি মাওলানা শামসুুল হক, মাওলানা আবদুর রহীম কাশেমী, খতিব মাওলানা বেলায়েত উল্লাহ, হাফেজ মাওলানা ইদ্রিস, মুফতি এনামুল হক প্রমুখ।
×