অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ চলতি বছরের শুরুতেই বিশ্বজুড়ে পুঁজিবাজার বড় ধরনের হোঁচট খেয়েছে। বড় ধরনের পতনের কারণে গত সপ্তাহে দু’দিন মাঝপথেই লেনদেন বন্ধ হয়ে গেছে চীনের পুঁজিবাজারের। চীনের পতনের সে ধাক্কা লেগেছে অন্যান্য দেশের পুঁজিবাজারেও।
চীনের অর্থনীতির মন্দা খবর এবং আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দরপতনে টালমাটাল হয়ে উঠেছে বিশ্ব পুঁজিবাজার। চলতি বছরের শুরুর সপ্তাহে বিশ্বব্যাপী পুঁজিবাজারে ৬.২ শতাংশ পতন হয়েছে। পুঁজিবাজারের এমন পতনে বিশ্বের শীর্ষ ৪০০ ধনকুবের সম্পদের পরিমাণ কমেছে ১৯৪ বিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশী মুদ্রার হিসাবে এর পরিমাণ দেড় লাখ কোটি টাকারও বেশি। ২০১১ সালের পর গত সপ্তাহের সবচেয়ে খারাপ কেটেছে আমেরিকার পুঁজিবাজারে। এতে ৪৭ জন ধনকুবের এক বিলিয়ন বা তার চেয়ে বেশি পরিমাণের সম্পদ হাওয়া হয়ে গেছে। তাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সম্পদ হারিয়েছেন আমাজন ডটকমের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেযোশ। চলতি বছরের শুরুর সপ্তাহে তিনি সম্পদ খুইয়েছেন ৫.৯ বিলিয়ন ডলার। বিশ্বের বৃহত্তম অনলাইন খুচরা বিক্রেতা এ কোম্পানির শেয়ারের দর চলতি বছরের প্রথম সপ্তাহে ১০ শতাংশেরও বেশি পতন হয়েছে। বেযোশ বর্তমানে বিশ্বের চতুর্থ ধনী ব্যক্তি এবং তার মোট সম্পদের পরিমাণ ৫৩.৭ বিলিয়ন ডলার।
বিশ্বের শীর্ষ ধনী ব্যক্তি বিল গেটসের লোকসান হয়েছে ৪.৫ বিলিয়ন ডলার। এর ফলে তার সম্পদ কমে গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৭৯.২ বিলিয়নে। বিশ্বের দ্বিতীয় ধনী ব্যক্তি আমনকিও ওর্তেগার সম্পদ ৩.৪ বিলিয়ন কমে ৬৯.৫ বিলিয়নে দাঁড়িয়েছে। তবে ৪০০ শীর্ষ ধনকুবেরের মধ্যে ১১ জনের সম্পদ গত সপ্তাহে বেড়েছে। তাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সম্পদ বেড়েছে ওয়াল মার্টের প্রতিষ্ঠাতা সাম ওয়ালটনের পুত্র জিম ওয়ালটনের। তার সম্পদ বেড়েছে ৭৫৯ মিলিয়ন ডলার। বিশ্বের ৪০০ ধনী ব্যক্তির মোট সম্পদের পরিমাণ ৩.৭ ট্রিলিয়ন ডলার, যা জার্মানির মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিডি) সমান।