শাহজালালে ঘন কুয়াশায় ফ্লাইট ওঠানামা ব্যাহত

স্টাফ রিপোর্টার॥ প্রতিবারের ন্যায় এবারও ঘন কুয়াশার কারণে শনিবার সকালে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফ্লাইট ওঠানামা বিঘিœত হয়। চলতি শীত মৌসুমে শনিবারই প্রথম ঘন কুয়াশার শিকার হয় ফ্লাইট ওঠানামা। এদিন কুয়াশায় রানওয়ে ছেয়ে থাকায় টার্কিশ এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইট দুই দফা অবতরণের চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়। শেষ পর্যন্ত সেটা আড়াই ঘণ্টার পথ পেরিয়ে হায়দরাবাদের একটি বিমানবন্দরে অবতরণ করে। শনিবার সকাল দশটায় বিমানবন্দর এলাকার চারপাশে একাধিক ফ্লাইটকে ঢাকার আকাশে বার বার চক্কর দিয়ে অবতরণে ব্যর্থ হতে দেখা গেছে। সিভিল এ্যাভিয়েশান সূত্র জানায়- টার্কিশ এয়ারওয়েজের টিকে-৭১২ ফ্লাইটটি সকাল ছয়টায় ঢাকায় অবতরণ করার সিডিউল থাকলেও ঘণ্টা খানেকের বেশি সময় আকাশে চক্কর দিতে থাকে। দুই দফা সেটি রানওয়ের কাছাকাছি নেমে আসে। কিন্তু কুয়াশার কারণে ফের আকাশে উড়ে যায়। স্যাটেলাইট থেকে পাওয়া তথ্যে দেখা যায় ফ্লাইটটি পরে কলকাতার দিকে অগ্রসর হয়। কিন্তু সেখানেও ঘনা কুয়াশা থাকায় চলে যায় হায়দরাবাদের পথে। অবশেষে ঢাকার সময় সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে রাজিব গান্ধী ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে অবতরণ করে। এদিকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অপেক্ষমাণদের উদ্বেগ বাড়তে থাকে। নির্ধারিত ফ্লাইটগুলোতে যাদের ঢাকায় পৌঁছানোর কথা তাদের অভ্যর্থনা জানাতে যারা বিমানবন্দরে পৌঁছান, তারাও উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। এমন দর্শকের ঠাসা ভিড়ে সকালে শাহজালালে যানচলাচলেও বিঘœ ঘটে। সকাল পৌনে দশটায় বিমানবন্দরে অপেক্ষমাণ এমনই উদ্বিগ্ন দর্শক জানান, সকাল ছয়টায় একটি ফ্লাইট ঢাকায় পৌঁছার কথা থাকলেও তা পৌঁছেনি। একই ঘটনা ঘটেছে কাতার এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটের ক্ষেত্রেও। সেটাও কয়েক ঘণ্টা বিলম্বের ফাঁদে পড়ে। এ সম্পর্কে জানতে চাইলে বিমানের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, শাহজালালে কুয়াশার কথা বিবেচনায় রেখে সকালের দিকে ফ্লাইট শিডিউল তৈরি করা হয়েছে। সকাল ৯টার আগে কোন ফ্লাইট ঢাকার বন্দর ছাড়ার কথা নয়। তবে দুই একটি ফ্লাইট খুব ভোরে অবতরণের কথা থাকলেও তা অবতরণ করতে পারেনি। অভ্যন্তরীণ রুটের ফ্লাইটগুলোও সকালে তাদের নির্ধারিত যাত্রায় ব্যর্থ হয়। পরে সকাল ৮টার দিকে কট্রোল রুম থেকে সেগুলো সাড়ে আটটার পর ছেড়ে যাওয়ার অনুমতি দেয়া হয়। সকাল দশটায় সরেজমিনে পরিদর্শনে দেখা যায় ওই সময় ঘন কুয়াশার কারণে ঢাকার আকাশে এসে জমা হয় আরও কয়েকটি আন্তর্জাতিক ফ্লাইট। যেগুলো বিভিন্ন আল্টিটিউডে অবস্থান নিয়ে আকাশে চক্কর দিতে থাকে। বেলা পৌনে ১০টার দিকে কুয়াশা সরে গেলে সেগুলোকে অবতরণের অনুমতি দেয়া হয়। ঘন কুয়াশার কারণে আরও কোন ফ্লাইট বিলম্বের শিকার না হলেও শীতের প্রকোপ বাড়লে এ সমস্যা আরও প্রকট আকার ধারণ করবে বলে জানান সিভিল এ্যাভিয়েশনের একাধিক কর্মকর্তা।