ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

কেরানীগঞ্জে প্রেমঘটিত বিরোধে যুবক খুন, আটক ২

প্রকাশিত: ০৫:০৪, ৯ জানুয়ারি ২০১৬

কেরানীগঞ্জে প্রেমঘটিত  বিরোধে  যুবক খুন, আটক ২

নিজস্ব সংবাদদাতা, কেরানীগঞ্জ ৮ জানুয়ারি ॥ দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের আব্দুল্লাহপুর নাসিরপাড়া এলাকার একটি পরিত্যক্ত পুকুর থেকে নিখোঁজের ২ দিন পর কামরুল ইসলাম মিস্টার নামের এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। প্রেমঘটিত কারণে এ হত্যাকা- ঘটতে পারে বলে অভিযোগ করেছে নিহতের পরিবার। এ ঘটনায় আনিস ও প্রেমিকা শান্তা ইসলামকে আটক করেছে থানা পুলিশ। নিহতের বড় বোন লাকি আক্তার জানান, এ ঘটনায় মডেল থানায় অভিযোগ করলেও পুলিশ রহস্যজনক কারণে আটক আনিসকে ছেড়ে দিয়েছে। দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সিদ্দিকুর রহমান জানান, এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে আনিসকে ফের আটক করা হয়েছে। তবে কারা কি কারণে এ হত্যাকা- ঘটিয়েছে তা পরিষ্কার নয়। নিহতের পারিবারিক সূত্র জানায়, গত ৬ জানুয়ারি দুপুর ২টায় নিহতের মোবাইল ফোনে একটি কল আসলে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায় কামরুল। বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করেও তার কোন সন্ধান না পেয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। শুক্রবার সকাল ১০টায় স্থানীয় একটি স্কুল সংলগ্ন পরিত্যক্ত পুকুর থেকে ভাসমান অবস্থায় কামরুলের লাশ দেখতে পায় স্থানীয় লোকজন। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মিটফোর্ড হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। নিহতের বোন জামাই রুবেল বলেন ,কামরুলের সঙ্গে শান্তা নামের এক মেয়ের প্রেম ছিল। আনিস নামের অপর এক যুবক বিভিন্ন সময় কামরুলকে ফোনে শান্তার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে হুমকি দেয়। বুধবার কে বা কারা কামরুলকে ফোনে ডেকে নেয়ার পর থেকে সে নিখোঁজ হয়। মডেল থানায় অভিযোগের প্রেক্ষিতে রাতেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে শান্তা ও আনিসকে আটক করে। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে রাতেই আনিসকে ছেড়ে দেয়। শুক্রবার সকালে কামরুলের লাশ পুকুরে পা বাঁধা অবস্থায় ভাসতে দেখা যায়। নিহতের পরিবারের অভিযোগ শান্তার সঙ্গে প্রেম অব্যাহত রাখার কারণেই কামরুলকে হত্যা করেছে আনিস। মডেল থানার তদন্ত কর্মকর্তা শফিকুল আলমের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, হাসমত আলী নামের একজনের অভিযোগের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার রাতে শান্তা ও আনিসকে আটক করা হয়। পরে স্থানীয় চেয়ারম্যানের জিম্মায় আনিসকে ছেড়ে দেয়া হয়। তবে কাউকে আটক ও ছেড়ে দেয়ার বিষটি অস্বীকার করেন মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফেরদৌস হাসান।
×