ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১

নিজামীর রায় ঘিরে কঠোর নিরাপত্তা

চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির শান্তিপূর্ণ সমাবেশ

প্রকাশিত: ০৫:২৫, ৬ জানুয়ারি ২০১৬

চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির শান্তিপূর্ণ সমাবেশ

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ ৫ জানুয়ারিকে ঘিরে উৎকণ্ঠা থাকলেও কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই চট্টগ্রামে শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়েছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সমাবেশ। মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় নগরীর কাজির দেউরির সড়কে বিএনপি এবং বিকেল ৪টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আওয়ামী লীগের সমাবেশ শুরু হয়। বিকেল ৫টার মধ্যে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের বেঁধে দেয়া সময়সীমা আগেই সমাবেশ শেষ করে উভয় সংগঠন। সমাবেশকে ঘিরে নগরীতে ছিল বাড়তি নিরাপত্তা। উভয় সংগঠনের সমাবেশকে ঘিরে বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে নগরীতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েনের পাশাপাশি ১৮ প্লাটুন বিজিবি ও ৮ প্লাটুন র‌্যাব মোতায়েন করা হয়। এদিকে, মানবতাবিরোধী অপরাধী মতিউর রহমান নিজামির রায় ঘিরে নাশকতা ঠেকাতে র‌্যাব ও বিজিবি সদস্যরা আজ বুধবারও মাঠে থাকবে। র‌্যাব-৭ এর কোম্পানি কমান্ডার এএসপি মিমতানুর রহমান বলেন, যুদ্ধাপরাধী জামায়াত নেতার রায় ও আওয়ামী লীগ ও বিএনপির কর্মসূচীকে ঘিরে নগরীতে ৮ প্লাটুন ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে। তারা নগরীর বিভিন্ন এলাকায় স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে। বিজিবি দক্ষিণ-পূর্ব জোনের পরিচালক (অপারেশন) লে. কর্নেল এম আর নাছির উদ্দিন জানান, নগরী ও আট পৌরসভায় ১৮ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। গণতন্ত্র হত্যা দিবসের নামে কেউ যাতে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি না পারে এবং যুদ্ধাপরাধী নিজামীর রায়কে কেন্দ্র করে জামায়াত-শিবিরের নাশকতা ঠেকাতে বাড়তি ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে। তারা বুধ ও বৃহস্পতিবার মাঠে অবস্থান করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সহযোগিতা করবে। এদিকে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী মঙ্গলবার বিকেলে নগরীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমাবেশের আয়োজন করে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ। বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মীর অংশগ্রহণে বিকেল ৪টায় সমাবেশ শুরু হয়। সমাবেশে মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি সাবেক মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী, সহ-সভাপতি মাহাতাব উদ্দিন চৌধুরী, বদিউল আলম, সাধারণ সম্পাদক বর্তমান মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন, কেন্দ্রীয় শ্রমিক লীগ নেতা সফর আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক চন্দন ধর, আইন বিষয়ক সম্পাদক ইফতেখার সাইমুল ইসলাম, প্রচার, প্রকাশনা সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুকসহ থানা ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। সমাবেশে বক্তারা বলেন, ৫ জানুয়ারির নির্বাচন না হলে দেশে সাংবিধানিক শূন্যতার সৃষ্টি হতো। দেশে সাংবিধানিক কোন সরকার থাকত না। এই নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা রক্ষা করা হয়েছে। বক্তারা আরও বলেন, নির্বাচন না হলে এ দেশ রাজাকারের দেশে পরিণত হতো। যারা উন্নয়নে বাধা দিতে চায় তাদের লক্ষ্য এদেশকে জঙ্গী রাষ্ট্রে পরিণত করা। এর আগে বিকেল ৩টায় নগরীর কাজির দেউরির দলীয় কার্যালয়ের সামনে সড়কে সমাবেশের আয়োজন করে নগর বিএনপি। বিকেল ৩টায় বিএনপির সমাবেশ শুরু হয়। সমাবেশে মহানগর বিএনপির সভাপতি আমীর খসরু মাহমুদ, কেন্দ্রীয় তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক সৈয়দ ওয়াহিদুল আলম, মহানগর সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ান, সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেন, যুবদল ও ছাত্রদল সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ মহানগর নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। বিএনপির সমাবেশে নেতারা বলেন, গণতন্ত্র বাংলাদেশ থেকে নির্বাসিত। দেশে আইনের শাসন নেই। ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ নেই। আছে দুর্নীতি, স্বৈরাচারী শাসন, গুপ্ত হত্যা আর হামলা-মামলা। বক্তারা আরও বলেন, আজকের এই সমাবেশ বলে দিচ্ছে দেশ শেখ হাসিনার কথায় চলে না। দেশ চলে খালেদা জিয়া ও তারেক জিয়ার কথায়।
×