অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ গ্রীন বিজনেস করতে ব্যবসায়ীদের সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গবর্নর ড. আতিউর রহমান। এ জন্য ব্যবসায়ীদের এগিয়ে আসতে হবে বলেও মত দেন তিনি। মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে অগ্রণী ব্যাংকের গ্রীন ব্যাংকিং ও ছাদ বাগান কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন গবর্নর। আতিউর রহমান বলেন, শহরের তাপমাত্রা গ্রামের তুলনায় ৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস বেশি। তবে ছাদে বাগান করা হলে তাপমাত্রা ২-৩ ডিগ্রী কমিয়ে আনা সম্ভব। ব্যবসায়ীরা এগিয়ে এলে গ্রীন বিজনেসের উন্নয়ন করা সম্ভব। এ জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও সরকার সর্বোচ্চ সহায়তা করতে সম্মত। বিদ্যুতের পরিবর্তে সৌরবিদ্যুত ব্যবহারকারীদেরও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সহায়তা দেয়া হবে জানান গবর্নর।
এ সময় গবর্নর নারায়ণগঞ্জের কয়েক ছাদ বাগান মালিকের হাতে বিভিন্ন ফল গাছের চারা তুলে দেন। এ জন্য অগ্রণী ব্যাংকের মতো অন্য ব্যাংকগুলোকেও এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি। এর আগে রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে সূর্যের আলো প্রবেশ করে না, এমন দোকানে বৈদ্যুতিক বাতি ব্যবহার না করতে নাভানার সঙ্গে চুক্তি সই করে অগ্রণী ব্যাংক। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের উদ্যোগে প্রকাশিত ‘গ্রীন ব্যাংকিং ও পরিবেশ রক্ষায় ছাদে বাগান’ শীর্ষক একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন গবর্নর। অগ্রণী ব্যাংকের চেয়ারম্যান ড. জায়েদ বখতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, ডেপুটি গবর্নর এসকে সুর চৌধুরী, ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সৈয়দ আবদুল হামিদ, কৃষি বিজ্ঞানী আব্দুর রহিম প্রমুখ।
ঈদ উপলক্ষে বাজারে মার্সেলের নতুন তিন পণ্য
অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ ঈদকে সামনে রেখে দেশের সর্বত্র মার্সেল শোরুমগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় বাড়ছে। বিশেষ করে মার্সেলের ফ্রিজ ও টিভি বিক্রি বেড়েছে। ঈদ উপলক্ষে মার্সেল বাজারে নিয়ে এসেছে আকর্ষণীয় তিনটি মডেলের নতুন ফ্রিজ। এগুলো হচ্ছে ২৫৪ লিটার; ২৯৫ লিটার এবং ৩১৭ লিটার ধারণ ক্ষমতার ফ্রিজ। এছাড়াও, মার্সেল রমজান মাসে বাজারে এনেছে নতুন মডেলের ২৪ ইঞ্চি ও ৩২ ইঞ্চির এলইডি টেলিভিশন; ২.৮ লিটার এবং ৩.২ লিটারের নতুন মডেলের দুটি রাইস কুকার। এছাড়া পাওয়া যাচ্ছে মার্সেলের সিআরটি টিভি, এসি, জেনারেটর, মোটরসাইকেল, হোম ও কিচেন এ্যাপ্লায়েন্স ইত্যাদি। এ প্রসঙ্গে মার্সেলের প্রধান বিপণন কর্মকর্তা (দক্ষিণ) মতিউর রহমান বলেন, ইলেকট্রনিক্স ও ইলেকট্রিক্যাল পণ্যে মার্সেল এখন জনপ্রিয় নাম। ক্রেতারা মার্সেল ব্র্যান্ডের পণ্য ব্যবহার করে মূল্যের চেয়েও বেশি উপযোগ পেয়েছেন। যে কারণে সারাদেশে মার্সেল পণ্যের ব্যাপক চাহিদা তৈরি হয়েছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, খুব শীঘ্রই মার্সেল শীর্ষস্থানে চলে যাবে। তিনি আরও বলেন, বিদেশী পণ্যের চেয়ে এখন দেশী পণ্য অনেক বেশি উন্নতমানের। আর সেজন্য ক্রেতাদের আস্থা এখন দেশী পণ্যের প্রতিই। মার্সেলের প্রধান বিপণন কর্মকর্তা (উত্তর) মোশারফ হোসেন রাজীব বলেন, সকল শ্রেণীর ক্রেতাদের আয় সক্ষমতা, চাহিদা এবং রুচির ভিন্নতা অনুযায়ী সাশ্রয়ী দামে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে বিশ্বমানের আকর্ষণীয় ডিজাইনের নতুন মডেলের ফ্রিজ, টেলিভিশন এবং রাইস কুকার গ্রাহকদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: