ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

বিদ্যুত পরিস্থিতি ৮৮ ভাগ মানুষ খুশি

প্রকাশিত: ০৫:৪৫, ৯ জুন ২০১৫

বিদ্যুত পরিস্থিতি ৮৮ ভাগ মানুষ খুশি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ দেশের ৮৮ ভাগ মানুষ বিদ্যুত পরিস্থিতিতে সন্তুষ্ট। আর ৭৪ ভাগ মানুষ মনে করেন সরকারের পদক্ষেপে বিদ্যুত পরিস্থিতির উন্নতি হবে। শীতল আবহাওয়ার সময় গত ২২ থেকে ২৮ জানুয়ারি দেশের ৭৮৫ জন মানুষের ওপর মোবাইলে জরিপ চালিয়ে এই তথ্য বের করেছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো। সোমবার বিকেলে বিদ্যুত ভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসব তথ্য তুলে ধরে জানানো হয় এখনও ১১ ভাগ মানুষ বিদ্যুত পরিস্থিতিতে একেবারেই সন্তুষ্ট নয়। তাদের সন্তুষ্টি অর্জনে কাজ করে যাবে বিদ্যুত বিভাগ। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো ২০১৪ সালের বিদ্যুত পরিস্থিতিতে জনসন্তুষ্টির চিত্র তুলে ধরতে এই জরিপ করে। জরিপে দেখানো হয়, শহর গ্রাম মিলিয়ে ২৫ ভাগ মানুষ দেশের বিদ্যুত পরিস্থিতি নিয়ে পূর্বের তুলনায় খুব সন্তুষ্ট, সন্তষ্টের তালিকায় রয়েছেন ৩৬ ভাগ মানুষ, মোটামুটি সন্তুষ্টের তালিকায় রয়েছে ২৭ দশমিক ৫২ ভাগ মানুষ। একেবারে সন্তুষ্ট নয় ১১ দশমিক ২১ ভাগ মানুষ। মোবাইল জরিপের মাধ্যমে পাঁচটি বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়। এসব প্রশ্নের উত্তরে বিদ্যুত পরিস্থিতির বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়। প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানিবিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক ই ইলাহী চৌধুরী বীরবিক্রম এ সময় বলেন, দেশে এখন ৭৫ ভাগ মানুষ বিদ্যুত সুবিধা পাচ্ছে। এটি সরকারের একটি বড় অর্জন। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো এই প্রথম মোবাইলের মাধ্যমে জরিপ করল। এ ধরনের জরিপ আরও করা হবে বলে জানান তিনি। দেশের যে ১১ ভাগ মানুষ বিদ্যুত পরিস্থিতি নিয়ে সন্তুষ্ট নয় তাদের সন্তুষ্ট করাই আমাদের প্রধান কাজ হবে বলে জানান তিনি। এ ধরনের কার্যক্রম গ্রীষ্মেও চলবে কিনা জানতে চাইলে বিদ্যুত বিভাগের সচিব মনোয়ার ইসলাম বলেন, এখন আমাদের বিদ্যুতের পরিস্থিতি বেশ ভাল। আগে দেশে ১৬ থেকে ১৮ ঘণ্টা লোডশেডিং হলেও এখন এ ধরনের কোন অভিযোগ আমরা পাচ্ছি না। কোন কোন এলাকায় লোডশেডিং হচ্ছে বিদ্যুত বিতরণ এবং সঞ্চালন ব্যবস্থার জন্য। এতদিন বিদ্যুত উৎপাদনে নজর দেয়া হলেও এখন বিতরণ এবং সঞ্চালনে নজর দেয়া হচ্ছে। এ জন্য ২৭টি নতুন প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে পরিস্থিতি আরও উন্নত হবে। অনুষ্ঠানে পরিসংখ্যান ব্যুরোর উপপরিচালক দিপঙ্কর রায় অনুষ্ঠানে পরিসংখ্যান ব্যুরোর জরিপ তুলে ধরেন। এ সময় পরিসংখ্যান ব্যুরোর সচিব এবং মহাপরিচালক বক্তব্য রাখেন।
×