ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

তুরস্কে সাধারণ নির্বাচন

কোন দলই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি, সরকার গঠনে অনিশ্চয়তা

প্রকাশিত: ০৫:৪৫, ৯ জুন ২০১৫

কোন দলই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি,  সরকার গঠনে  অনিশ্চয়তা

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ তুরস্কে রবিবার অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনের ফলাফলে কোনও দলই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। ফলে সরকার গঠনে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। সোমবার ৯১ শতাংশ ভোট গণনা শেষে দেখা যায়, দেশটিতে দীর্ঘ ১৩ বছর ক্ষমতায় থাকা প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়িপ এরদোগান নেতৃত্বাধীন ইসলামপন্থী জাস্টিস এ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি (একেপি) মাত্র ৪১ শতাংশ ভোট পেয়েছে। নির্বাচনের এই ফলাফলে দেশটির শেয়ার বাজারে ধস নেমেছে। খবর বিবিসি ও এএফপির মোট ৫৫০ আসনের তুর্কি পার্লামেন্টে কোনও দলকে এককভাবে সরকার গঠন করতে ২৭৬ আসন দরকার হয়। নির্বাচনের ফলাফলে মনে করা হচ্ছে, একেপি ২৫৮ আসন পেতে পারে। এ ক্ষেত্রে সরকার গঠনে এরদোগানের দলের আরও ১৮ আসনের দরকার। এখন এরদোগানকে সরকার গঠনে অন্য দলের সমর্থন নিতে হবে। অবশ্য শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এরদোগানকে অন্য কোনও দলের সমর্থনের কথা জানা যায়নি। এ বিষয়ে নির্বাচনে তৃতীয় অবস্থানে থাকা ন্যাশনালিস্ট মুভমেন্ট পার্টি (এমএইচপি)’র নেতা দেভলুত বাশেলি বলেছেন, আমরা এরদোগান সরকারে যোগ দেব না। এ বিষয়ে পরবর্তী নির্বাচনের ইঙ্গিত দেন এই নেতা। আবার অন্য কোনও দল এরদোগানকে সমর্থন করতে পারে এমন সম্ভাবনাও দেখছেন না দেভলুত বাশেলি। অন্য কোনও দল এরদোগানকে সমর্থন দিলে বিরোধী দল হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে তার দল সম্মত বলে জানান তিনি। ফলাফলের পর রিসেপ তায়িপ এরদোগানও বলেছেন, নির্বাচনের ফলাফল দেখে মনে হচ্ছে কোনও দলই এককভাবে সরকার গঠন করতে পারবে না। কোনও দলই সরকার গঠনে ব্যর্থ হলে আগামী ৪৫ দিনের মধ্যে এরদোগানকে ফের দফা নির্বাচন দিতে হবে। এ বিষয়ে একেপি পার্টির এক সিনিয়র নেতা সোমবার বলেছেন, প্রথমে আমরা জোট সরকার গঠনের চেষ্টা করব। তবে দ্বিতীয় দফা নির্বাচনের কথাও একেবারে উড়িয়ে দেননি তিনি। আগের বারের মতোই এবারও পার্লামেন্টে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আসন পেতে যাচ্ছে রিপাবলিকান পিপলস পার্টি (সিএইচপি)। সিএইচপি পেয়েছে ২৫ শতাংশ ভোট। অপরদিকে সবাইকে বিস্মিত করে কুর্দি প্রভাবিত পিপলস ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (এইচডিপি) ১০ শতাংশেরও বেশি ভোট পেয়ে প্রথমবারের মতো পার্লামেন্টে উল্লেখযোগ্য আসন পেতে যাচ্ছে। এই নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের মধ্য দিয়ে তুরস্কের সংবিধান পরিবর্তন করে যুক্তরাষ্ট্রের মতো শক্তিশালী প্রেসিডেন্ট পদ্ধতির শাসন প্রবর্তন করতে চেয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট এরদোগান। কিন্তু নির্বাচনের অপ্রত্যাশিত ফলাফলে তার পরিকল্পনা বড় ধরনের একটি ধাক্কা খেল। ২০০৩ সালে ক্ষমতায় আসা এরদোগান ১৩ বছরের ক্ষমতাকালে এ রকম পরিস্থিতিতে আর পড়েননি। নির্বাচনের এই ফলাফলে একে পার্টির সমর্থকদের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে। তবে দলের প্রধানমন্ত্রী আহমেদ দাভুতোগলু এই ফলাফল মেনে নিয়েছেন। (আরও খবর ৫-এর পাতায়)
×