স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ রাজশাহীতে গৃহবধূ ওয়াহিদা সিফাত হত্যা মামলার তদন্তে গড়িমসির অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার মাস পেরিয়ে গেলেও তদন্তে কোন অগ্রগতি না থাকায় পরিবারের সদস্যরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশের অনীহা নিয়েও হতাশা প্রকাশ করেছে সিফাতের পরিবার।
মানিকগঞ্জে হত্যা মামলায় দুজনের যাবজ্জীবন
নিজস্ব সংবাদদাতা মানিকগঞ্জ, ৩০ এপ্রিল ॥ মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার দক্ষিণ জামশা গ্রামের শিশু জুয়েল হত্যা মামলায় দুজনের যাবজ্জীবন কারাদ- দিয়েছে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত। বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিচারক আল মাহমুদ ফায়জুল কবীরের জনাকীর্ণ আদালত এ রায় প্রদান করেন।
মামলার বিবরণে বলা হয়, আসামি রুবেল ও আতোয়ার ২০০৩ সালের ৬ ডিসেম্বর বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে দক্ষিণ জামশা গ্রামে সালাম পীরের বাড়ি থেকে সাত বছর বয়সী জুয়েলকে আসামিরা ঘুঘুর বাচ্চা দেয়ার কথা বলে কালীগঙ্গা নদীর পাড়ে একটি বাঁশঝাড়ে নিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে। এরপর জুয়েলের গলার সোনার চেইন ও হাতের আংটি নিয়ে পালিয়ে যায়। যাবার আগে জুয়েলের মৃত্যু নিশ্চিত করতে গালে ও যৌনাঙ্গের অগ্রভাগে সিগারেটের আগুন দিয়ে ছ্যাঁকা দেয়।
বাদীপক্ষের অভিযোগ, মামলার অন্যতম আসামি সিফাতের শশুর রাজশাহীর আইনজীবী মোহাম্মদ হোসেন রমজান ও শাশুড়ি নাজমুন নাহার নাজলীর অবস্থান জেনেও পুলিশ তাদের গ্রেফতার করছে না। বাদী মিজানুর রহমান খন্দকার জানান, সর্বশেষ গত ২০ এপ্রিল উচ্চ আদালতে জামিন না পাওয়ায় তারা পুলিশের কাছে পলাতক আসামি হয়েও রাজশাহীতে অবস্থান করছেন। মহিষবাথানের নিজ বাড়িতেও মাঝে মাঝে অবস্থান করছেন। অথচ তাদের গ্রেফতারে গড়িমসি করছে পুলিশ। তাদের অবস্থানের কথা একাধিকবার জানানো হলেও পুলিশ কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না।
মামলার বাদী আরও বলেন, সিফাতকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। এজন্য আসামিরা বিভিন্ন প্রভাবশালী ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ ও পরিকল্পনা করছেন। হত্যার ঘটনাকে ধামাচাপা দিতেই চিকিৎসককে প্রভাবিত করে নিজেদের মতো করে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট তৈরি করিয়ে নেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
তবে নগরীর রাজপাড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জানান, সিফাত হত্যা মামলায় গ্রেফতার আসামি পিসলীকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে অধিকতর তদন্তের জন্য আদালতের মাধ্যমে কারাগারে রাখা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের তথ্যের ভিত্তিতে মামলার তদন্ত চলছে। মামলার অন্য দুই আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে দাবি করেন তিনি।
সড়ক দুর্ঘটনায় লরিশ্রমিকসহ নিহত ৬
জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ কুষ্টিয়ায় যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে চার জন নিহত হয়েছে। এছাড়া, নওগাঁয় এক যুবক ও ভালুকায় লরি চাপায় এক শ্রমিক নিহত হয়েছে। খবর: নিজস্ব সংবাদদাতাদের পাঠানো।
কুষ্টিয়া ॥ কুষ্টিয়ায় এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই চারজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন নারী-শিশুসহ অন্তত ৩০ জন। বৃহস্পতিবার রাত তিনটার দিকে মিরপুর উপজেলার কুষ্টিয়া-পাবনা মহাসড়কের নয়মাইল নামকস্থানে একটি যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রন হারিয়ে রাস্তার পাশে খাদে পড়ে গেলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। আহতদের কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিহতরা হলেন, জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুর থানার জাকের পার্টির সভাপতি আলম ম-ল (৫৫), আক্কেলপুর থানার কেশরপুর গ্রামের নূরে আলম সিদ্দিক (৫৪), একই গ্রামের জাহিদুল ইসলাম (৪০) ও বাসের চালক পারভেজ (৩৪)।
নওগাঁ ॥ বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে নওগাঁর রানীনগরে ভটভটি উল্টে রুহুল (২১) নামে এক যুবক নিহত হয়েছে। গুরুতর আহত হয়েছে ভটভটির চালক ফেরদৌস (৩২)।
ভালুকা ॥ বুধবার রাতে লরিচাপায় মিল শ্রমিক নিহতের ঘটনায় শ্রমিক ও এলাকাবাসী দেড়ঘণ্টা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে।
কিশোরগঞ্জে বিদ্যুতস্পৃষ্টে শ্রমিক নিহত
নিজস্ব সংবাদদাতা, কিশোরগঞ্জ, ৩০ এপ্রিল ॥ জেলার পাকুন্দিয়ায় ধান উড়াতে গিয়ে বিদ্যুতষ্পৃষ্ট হয়ে মানিক মিয়া (৩২) নামে এক শ্রমিক নিহত হয়েছে। তিনি উপজেলার সুখিয়া গ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে। জানা যায়, বৃহস্পতিবার বেলা দেড়টার দিকে মানিক বাড়ির পাশের খলায় টেবিল ফ্যান দিয়ে ধান উড়াতে থাকে। এ সময় বৈদ্যুতিক সুইচ লাগাতে গিয়ে বিদ্যুতষ্পৃষ্ট হয়ে গুরুতর আহত হয়।