ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

শরণখোলায় ১টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ঝুঁকিপূর্ণ

জরাজীর্ণ ভবনে ক্লাস করছে দুই হাজার শিক্ষার্থী

প্রকাশিত: ০৩:৪৩, ২৫ এপ্রিল ২০১৫

জরাজীর্ণ ভবনে ক্লাস করছে  দুই হাজার শিক্ষার্থী

স্টাফ রিপোর্টার, বাগেরহাট ॥ সিডর ও আইলা বিধ্বস্ত বাগেরহাটের শরণখোলায় ১০ জরাজীর্ণ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ক্লাস করছে দু’হাজারের বেশি শিক্ষার্থী। উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে বিদ্যালয়গুলোর জরাজীর্ণ ভবন ছাড়াও ক্লাস রুম, বিশুদ্ধ পানি ও টয়লেটসহ নানা সঙ্কটের চিত্র দেখা গেছে। আসন্ন বর্ষা মৌসুমে ওই সকল বিদ্যালয়ের অনেকটাতেই পাঠদান (ক্লাস) করানো অসম্ভব হয়ে পড়বে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। জরাজীর্ণ ভবনের কিছু অংশ ভেঙ্গে পড়ে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা হতাহতের আশঙ্কায় কোন কোন বিদ্যালয়ে পাঠদান (ক্লাস) চলছে ভাড়া করা ঘর, ঝুঁপড়ি ঘর বা খোলা আকাশের নিচে। শরণখোলা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস জানায়, পশ্চিম বানিয়াখালী, ধানসাগর, রাজাপুর নেছারিয়া, পশ্চিম ধানসাগর, উত্তর মালিয়া রাজাপুর, উত্তর কদমতলা, ছোট রাজাপুর, খোন্তাকাটা, পূর্ব খোন্তাকাটা ও মধ্য বানিয়াখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ দশটি বিদ্যালয়ের জরাজীর্ণ ও পরিত্যক্ত ভবনে দু’হাজারের অধিক শিক্ষার্থী জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ক্লাস করছে। এ বিষয়ে উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার অবহিত করেও প্রতিকার পায়নি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস। পশ্চিম বানিয়াখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা জানায়, বিদ্যালয়টির (ভবনে) বড় বড় ফাটল দেখা দেয়ায় বিদ্যালয়ের মধ্যে কেউ প্রবেশ করে না। বাধ্য হয়ে ঝুঁপড়ি ঘরে ক্লাস করতে হয় তাদের। ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ গোলাম সরোয়ার বলেন, বিদ্যালয়ের ভবনটি ২-৩ বছর পূর্বে পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মুহাম্মদ মুশতাক আহম্মদ বিদ্যালয়গুলোর দূরাবস্থার কথা স্বীকার করে জানালেন, জরাজীর্ণ বিদ্যালয়গুলোর তালিকা তৈরি করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উর্ধতন কর্র্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হলেও বছরের পর বছর ধরে কোন প্রতিকার পাওয়া যাচ্ছে না।
×