ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

সিআইএকে সমর্থনের মূলে ওবামা-ব্রেনান ঘনিষ্ঠতা

প্রকাশিত: ০৬:১৪, ১৬ ডিসেম্বর ২০১৪

সিআইএকে সমর্থনের মূলে ওবামা-ব্রেনান ঘনিষ্ঠতা

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সঙ্গে দেশটির কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার পরিচালক জন ও ব্রেনানের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএর নির্যাতন রিপোর্ট নিয়ে দৃঢ় প্রত্যয়ের সঙ্গে তার প্রতিক্রিয়া প্রকাশে তাকে সহায়তা করেছে। গত সপ্তাহে সিনেট ইন্টেলিজেন্স কমিটির এই রিপোর্ট নিয়ে প্রকাশ্যে তার প্রতিক্রিয়া জানানোর কয়েক ঘণ্টা আগে হোয়াইট হাউস থেকে প্রেসিডেন্ট ওবামার সঙ্গে তার সাক্ষাৎ বন্ধ করে দেয়া হয়। ইন্টারন্যাশনাল নিউইয়র্ক টাইমস। আপাতদৃষ্টিতে ব্রেনান সেখানে গোয়েন্দা ব্রিফিংয়ের জন্য গিয়েছিলেন। তবে ওই দিন পরে হোয়াইট হাউস ও ব্রেনানের পক্ষ থেকে যে বার্তা দেয়া হয় তা প্রায় একই রকমের ছিল। ছয় বছরের অংশীদারিত্বের পর বর্তমানে এই গোয়েন্দা প্রধানের পাশে দাঁড়িয়েছেন প্রেসিডেন্ট ওবামা। এমনকি তার নিজ দলীয় ডেমোক্র্যাটরা ব্রেনারের পদত্যাগের দাবি জানানোর পরও ওবামা তার প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন। ৬৭ বছর আগে সিআইএ প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর থেকেই খুব কম সংখ্যক প্রেসিডেন্টেরই গোয়েন্দা প্রধানদের সঙ্গে ভাল সম্পর্ক ছিল। আর ব্রেনানের সঙ্গে ওবামার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। এটি এমন সম্পর্ক যা সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে দেশের লড়াই বিষয়ক নীতিনির্ধারণ করেছে। এটি একই সঙ্গে পাশাপাশি সংস্থাটির নিরাপত্তা ও স্বাধীনতার মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করছে। এর ফলে প্রেসিডেন্ট সিআইএর নির্যাতনের নিন্দা করলেও সংস্থাটিকে অভিযুক্ত করতে জনগণকে উৎসাহিত করা হয়নি। জর্জটাউন ইউনিভার্সিটির আইনের প্রফেসর ও জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক স্কলার ডেভিড কোল বলেছেন, ব্রেনান যে সংকটের সম্মুখীন হয়েছেন, ওবামাও একই সংকটের সম্মুখীন। যা ঘটেছে উভয়ই ব্যক্তিগতভাবে এর বিরোধিতা করেছেন এবং তা নিয়ে সংকটের মধ্যে আছেন। উভয়েই সম্মত হয়েছে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি করা যাবে না। তবে উভয়ই শেষ পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় নিরাপত্তা সেবার জন্য সিআইএর ওপরই নির্ভরশীল। সিআইএকে অভিযুক্ত করে নির্যতন প্রতিবেদন নিয়ে নিজে ভাষণ দেয়ার পরিবর্তে ওবামা তার প্রশাসনের প্রতিনিধি করেন ব্রেনানকে। ওবামার প্রথম মেয়াদের প্রতিরক্ষা দফতরের সন্ত্রাসদমন বিষয়ক শীর্ষ কর্মকর্তা ড্যানিয়েল বেঞ্জামিন বলেছেন, এটা মোটামুটি লক্ষণীয় ছিল যে, সিআইএর পরিচালকই মূল প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করবেন এবং তার প্রতিক্রিয়ায় নির্যাতনে বুশ প্রশাসনের সম্পৃক্ততার বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার প্রশাসনের মূল সিদ্ধান্তের প্রতিফলন ঘটবে। ওয়াটারবোর্ডিং, নগ্নতা ও না ঘুমাতে দেয়ার মতো জিজ্ঞাসাবাদ কৌশলগুলো নিষিদ্ধ করতে ওবামার সিদ্ধান্ত তিনি আবারও গ্রহণ করেন। তবে তিনি মাত্র কয়েকজন সিআইএ কর্মকর্তার সমালোচনা করেছেন। কারণ তারা বিচার দফতরের জিজ্ঞাসাবাদ নিয়ম অতিক্রম করেছিলেন।
×