ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২২ মে ২০২৪, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

​​​​​​​জনপ্রশাসন মন্ত্রীর ভাইয়ের ঘোষণা

অন্য মার্কায় সিল মারতে দেওয়া হবে না

​​​​​​​নিজস্ব সংবাদদাতা, মেহেরপুর

প্রকাশিত: ২০:২৮, ৩ মে ২০২৪

অন্য মার্কায় সিল মারতে দেওয়া হবে না

বাদশা ও রাজিব আহমেদের সমর্থকদের গণসংযোগ

মের নির্বাচনে শুধু আনারুল ইসলামের (মোটরসাইকেল প্রতীক) ছাড়া অন্য কোনো এজেন্ট থাকতে পারবে না। এই আশরাফপুর গ্রামে কোনো এজেন্ট থাকবে না। শুধু আনারুল ভাইয়ের মার্কায় সিল মারা হবে। আর কোনো মার্কায় সিল মারতে দেওয়া হবে না। সদর উপজেলা নির্বাচনে জনপ্রশাসন মন্ত্রীর বড় ভাই শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি ইকবাল হোসেন বুলবুল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সদর উপজেলার আমদহ ইউনিয়নের আশরাফপুর গ্রামের নং ওয়ার্ড স্কুল পাড়া ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের আয়োজনে মতবিনিময় সভায় তার মিনিট ৩৯ সেকেন্ড বক্তব্যে এমন কথা বলেন। এমন একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

মতবিনিময় সভায় ইকবাল হোসেন বলেন, আনারুল ভাইসহ আরও চার প্রার্থী আছে। আনারুল ভাই যদি নির্বাচনে না দাঁড়াত তাহলে আমি ভোট করতে আসতাম না। আনারুল ভাই একজন যোগ্য প্রার্থী। উপজেলা চেয়ারম্যান এমন একজনকে করতে হবে যে টোটাল উপজেলা আওয়ামী লীগকে টিকিয়ে রাখতে পারে। যে ব্যক্তি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীসহ জনগণের সুখে-দুঃখে পাশে থাকতে পারবে। যে নিজের জমি বেচে আওয়ামী লীগকে টিকাতে পারবে সেই ধরনের লোক আমরা উপজেলাতে চাই। আনারুল ভাই ছাড়া ধরনের কোনো লোক নেই। আর কোনো প্রার্থী নেই। একচেটিয়া ভোট হবে শুধু মোটরসাইকেলে। প্রত্যেকটি সেন্টারে মোটরসাইকেল জিতবে। আমরা শহরের লোকজন বুঝিয়েছি যোগ্য প্রার্থীকে ভোট দিতে হবে। আনারুল ভাইকে আমরা প্রতিটি সেন্টারে ব্যাপক ভোটে বিজয়ী করব। এই আশরাফপুর গ্রামে কোনো এজেন্ট থাকবে না। শুধু আনারুল ভাইয়ের মার্কা মোটরসাইকেল মার্কা সিল মারতে হবে। অন্য কোনো মার্কায় সিল মারতে দেওয়া হবে না। আপনারা সেইভাবে ইলেকশন করবেন।

ব্যাপারে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম শাহীন বলেন, এভাবে প্রকাশ্যে জনপ্রশাসন মন্ত্রীর ভাই শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি যদি এমন বক্তব্য দেয় তাতে উপজেলা নির্বাচন জনগণের কাছে কতটুকু গ্রহণযোগ্য হবে তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।

বিষয়ে জানতে চাইলে ইকবাল হোসেন বলেন, আমদহ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আনারুল ইসলাম ওই এলাকায় জনপ্রিয় নেতা। আমি এই কারণে অন্য কোনো প্রার্থীর এজেন্ট পাওয়া যাবে না বলে কথা বলতে গিয়ে এমন কথা বেরিয়ে গেছে। বিষয়টি ওইভাবে মনে করার কিছু নেই।

বন্দরে ভোটযুদ্ধে পিতা-পুত্র

স্টাফ রিপোর্টার নারায়ণগঞ্জ থেকে জানান, নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলা নির্বাচনের আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। চেয়ারম্যান ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থীদের প্রচার  এখন তুঙ্গে। আগামী মে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তাই নির্বাচনী প্রচার শেষ দিকে চলে এসেছে। যতই নির্বাচনের দিন ঘনিয়ে আসছে, ততই নির্বাচনী মাঠ সরগরম হয়ে উঠছে। ভোটারদের মন আকৃষ্ট করতে প্রার্থীরা দিচ্ছেন নানা ধরনের উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি। শুক্রবারও প্রার্থীরা বিভিন্ন মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করে মুসল্লিদের কাছে ভোট প্রার্থনা করেছেন। শুক্রবারও দিনভর প্রার্থীরা ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে ভোট চেয়েছেন। ইতোমধ্যে ভোটাররাও ভোটের হিসাব-নিকাশ করতে শুরু করেছেন। উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে চার প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এদের মধ্যে প্রার্থী হয়েছেন পিতা পুত্র। বন্দর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএ রশিদ (দোয়াত কলম), নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সাবেক উপজেলার চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মুকুল (চিংড়ি মাছ), জেলা জাতীয় পার্টির নেতা মাকসুদ হোসেন (আনারস) তার ছেলে মাহমুদুল হাসান (হেলিকপ্টার) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আনারস প্রতীকে ভোট চাইছেন পিতা মাকসুদ হোসেন। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, মাকসুদ হোসেনের ছেলে মাহমুদুল হাসানের নির্বাচনী প্রতীক হেলিকপ্টার হলেও তিনি ভোট চাইছেন পিতা মাকসুদ হোসেন আনারস প্রতীকের জন্য। এভাবেই চেয়ারম্যান পদে চার প্রার্থী নির্বাচনী মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে চার প্রার্থী দিনরাত ব্যস্ত সময় পার করছেন। শুক্রবারও ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীরা বিভিন্ন মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করে মুসল্লিদের কাছে ভোট প্রার্থনা করেছেন। এরা হলেনÑ মোশাঈদ রহমান (তালা), সানাউল্লাহ সানু (উড়োজাহাজ), আলমগীর (মাইক) শাহিদুল ইসলাম জুয়েল (টিউবওয়েল) অপরদিকে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মাহমুদা আক্তার (কলস) ছালিমা হোসেন (ফুটবল) ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে ভোট প্রার্থনা করছেন।

মাদারীপুরে ভোটের মাঠে চাচা-ভাতিজা

নিজস্ব সংবাদদাতা মাদারীপুর থেকে জানান, সদর উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন চাচা-ভাতিজা। প্রতীক বরাদ্দের পরই জমে উঠেছে সদর উপজেলা নির্বাচনের প্রচার। উন্নয়নের নানা প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোটারদের দ্বারে-দ্বারে ঘুরছেন তিনটি পদের প্রার্থীরা। আর ভোটাররা সৎ যোগ্য প্রার্থীকে বেছে নেওয়ার কথা জানান। এদিকে নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করতে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে প্রশাসন। দিন যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই বাড়ছে নির্বাচনী উৎসবের আমেজ। পাড়া-মহল্লা থেকে শুরু করে, শহর গ্রামগঞ্জের অলিগলি সেজেছে বর্ণিল সাজে। নির্বাচনী ব্যানার, পোস্টার আর ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে রাস্তাঘাট।

সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে আনারস প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন সংসদ সদস্য শাজাহান খানের বড় ছেলে, কেন্দ্রীয় যুবলীগের কার্যকরী সদস্য আসিবুর রহমান খান। তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী আসিব খানের চাচা, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পাভেলুর রহমান শফিক খান। তিনি লড়ছেন মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে। নির্বাচনে ছেলের পক্ষে প্রচার চালানোর অভিযোগ পাভেলুর রহমান শফিক খানের। আর সেসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ভাতিজা আসিবুর রহমান খান। তারা দুজনই উপজেলা নির্বাচনকে ঘিরে উন্নয়নের নানা প্রতিশ্রুতি নিয়ে ভোটারদের দ্বারে-দ্বারে ঘুরছেন। চষে বেড়াচ্ছেন পাড়া-মহল্লা।

ব্যাপারে চেয়ারম্যান প্রার্থী আসিবুর রহমান খান বলেন, ‘আমাদের পরিবার মাদারীপুরে ১০২ বছর ধরে রাজনীতি করে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় এবার আমার পিতা আটবারের এমপি শাজাহান খান আমাকে মানুষের জন্যে উৎসর্গ করেছেন। আমি তার কথার সম্মানে উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছি। আশা রাখি উপজেলাবাসী আমাকে নিরাশ করবে না। আমি শতভাগ জয়ী হব।

অন্যদিকে চেয়ারম্যান প্রার্থী পাভেলুর রহমান শফিক খান বলেন, ‘আমি দুবার সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলাম। এবারও আমি প্রার্থী হয়েছি। জনগণ আমাকে বিফল করবে না। তবে সংসদ সদস্য শাজাহান খান তার ছেলের পক্ষে কৌশলে প্রচার চালাচ্ছে। আমি তার বিরুদ্ধে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে ১৫টি লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছ থেকে তার কোনোই ফল পাচ্ছি না।আর অভিযোগের বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি শাজাহান খান এমপি। তিনি অন্য সময়ের মতোই বাড়িতে বসেই মানুষের সঙ্গে সৌজন্যতা বজায় রাখার কথা বলছেন। নির্বাচন উৎসবমুখর করতে সবধরনের প্রস্তুতির কথা জানান জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মারুফুর রশীদ খান। তিনি বলেন, ‘নির্বাচনী আচরণবিধি মানার জন্যে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে। যদি কোনো প্রার্থী আচরণবিধি অমান্য করে, আর সেটা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত দেয়, তার প্রয়োগ করতে জেলা প্রশাসন প্রস্তুত আছে।

বাকেরগঞ্জে দুই এমপির দুই প্যানেলে ভোটযুদ্ধ

নিজস্ব সংবাদদাতা বাকেরগঞ্জ, বরিশাল থেকে জানান, প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রচার অনেকটাই জমে উঠছে। মে অনুষ্ঠিত হবে প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। জনসংযোগ পোস্টার টানানোর পাশাপাশি চলছে সভা-মিছিল। বিএনপি জাপার প্রার্থী না থাকলেও আওয়ামী লীগের মধ্যেই চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে জমজমাট প্রচার চলছে। এখন উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নে প্রচার তুঙ্গে। তীব্র গরম উপেক্ষা করে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছেন প্রার্থীরা। ভোটারদের মন জয় করতে প্রার্থীরা দিচ্ছেন নানান প্রতিশ্রুতিও। বাকেরগঞ্জে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিশ্বাস মতিউর রহমান বাদশা আনারস মার্কা নিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সম্পাদক রাজিব তালুকদার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন কাপ পিরিচ মার্কা নিয়ে। কামরুল ইসলাম খানের মার্কা  মোটরসাইকেল ফিরোজ আলম খানের প্রতীক দোয়াত কলম। তবে ভোটের মাঠে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আনারস মার্কার প্রার্থী মুতিউর রহমান বাদশা কাপ পিরিচ মার্কার রাজিব তালুকদার।

পুরুষ ভাইস-চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন  উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুল রহমান ডাকুয়া তালা মার্কা। আব্দুস সালাম মল্লিক উড়োজাহাজ মার্কা নিয়ে মো. শাহবাজ মিয়া বই মার্কা। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি তাহমিনা বেগমর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন হাঁস মার্কা নিয়ে জাহানারা বেগম কলস মার্কা। এখানে নির্বাচনে বর্তমান এমপি সাবেক এমপি দুই জনে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে প্রত্যক্ষ পরোক্ষভাবে ভাবে সমর্থন দিচ্ছেন। দুই এমপির দুই প্যানেলে নির্বাচনী মাঠে চলছে ভোটযুদ্ধ। নির্বাচনে বর্তমান এমপি আব্দুল হাফিজ মল্লিকের প্যানেলের প্রার্থীরা হলেন- তার আপন ছোট ভাই আব্দুল সালাম মল্লিক ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী। বিশ্বাস মতিউর রহমান বাদশা চেয়ারম্যান প্রার্থী মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জাহানারা বেগম।

অপরদিকে সাবেক সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য পারভিন তালুকদারের সমর্থিত প্রার্থীরা হলেন- তার ছেলে চেয়ারম্যান প্রার্থী রাজিব তালুকদার, ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী সাইফুল রহমান ডাকুয়া নারী ভাইস চেয়ারম্যান তাহমিনা বেগম। এই দুই প্যানেলের ভোট যুদ্ধে নির্বাচনী মাঠ জমজমাট হয়ে উঠেছে।

আদিতমারী কালীগঞ্জে জমজমাট লড়াই

নিজস্ব সংবাদদাতা, লালমনিরহাট থেকে জানান, আগামী ২১ মে ২য় ধাপে জেলার ২টি (কালীগঞ্জ, আদিতমারী) উপজেলায় ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচনে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। মে প্রতীক পেয়ে আদাজল খেয়ে প্রচারে ব্যস্ত সময় পার করছেন আদিতমারী কালীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদের প্রার্থীরা। জেলার ২টি (কালীগঞ্জ, আদিতমারী) উপজেলায় ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচনে চেয়ারম্যান, ১১ ভাইস চেয়ারম্যান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদের প্রার্থীর পোস্টারে চারদিক ছেয়ে গেছে। কালীগঞ্জ উপজেলায় সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রীর ভাই পুত্র চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন। ভাই মাহবুবুজ্জামান আহমেদ (ঘোড়া), পুত্র রাকিবুজ্জামান আহমেদ (আনারস) প্রতীক নিয়ে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। তারিকুল ইসলাম তুষার (হেলিকপ্টার) প্রতীকের প্রার্থী থাকলেও হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে চাচা-ভাতিজায়।

পটিয়ায় চ্যালেঞ্জে চার নেতা

নিজস্ব সংবাদদাতা, পটিয়া থেকে জানান, পটিয়ায় আওয়ামী লীগের চার নেতা আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছেন। তারা কেউ কাউকে ছাড় দিতে রাজি না হওয়ায় বেকায়দায় পড়েছে তৃণমূল আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হওয়া হেভিওয়েট চার নেতা হলেন-দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ দাশ, পটিয়া পৌরসভার সাবেক মেয়র উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক হারুনুর রশিদ, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম বদি চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দিদারুল আলম দিদার। চারজন নেতা ছাড়াও উপজেলা কৃষক লীগের আহ্বায়ক সৈয়দ নুরুল আবছারও মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন। তবে উপজেলায় এখনো স্থানীয় সংসদ সদস্য দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী কোনো প্রার্থীর পক্ষে মুখ খোলেননি। তৃতীয় ধাপে আগামী ২৯ মে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন।

পটিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পৌরসভার সাবেক মেয়র অধ্যাপক হারুনুর রশিদ বলেন, তিনি দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতির পাশাপাশি জনপ্রতিনিধিরও দায়িত্ব পালন করেছেন। দায়িত্বে থাকাকালে তিনি কোনো ধরনের অনিয়ম, দুর্নীতি করেননি। নির্বাচনে দলের সকলে তার পক্ষে কাজ করবেন বলে আশা করেন। চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী দিদারুল আলম দিদার বলেন, তার পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএ খালেক ছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ লোক। মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে তিনি কোনোদিন অপরাধ কর্মকা- জড়িত ছিলেন না এবং এর সুবিধাও নেননি। দীর্ঘদিন তিনি রাজনীতির পাশাপাশি এমএ খালেক ফাউন্ডেশনের (চাচা খালেক) অর্থায়নে পটিয়াতে মানবিক কাজ করে চলেছেন। আমি (দিদার) আমৃত্যু পটিয়ার মানুষের সেবা করে যেতে চাই।

কচুয়ায় দিনরাত প্রচার

স্টাফ রিপোর্টার বাগেরহাট থেকে জানান, কচুয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচন জমে উঠেছে। চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোট প্রার্থী সমানে দিনরাত প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। পোস্টার, বিলবোর্ডে ছেয়ে গেছে উপজেলা সদর থেকে প্রত্যন্ত গ্রাম। হাট-বাজার, চায়ের দোকান ঘরোয়া আড্ডায় শুধুই নির্বাচনী কড়চা চলছে। একইসঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় চলছে নির্বাচনী প্রচার। কখনো সৃষ্টি হচ্ছে উত্তেজনা। বিভিন্ন ধরনের আক্রমণাত্মক মন্তব্য করছেন কোনো কোনো সমর্থক। আবার কেউ তার উত্তর দিচ্ছেন। মোদ্দাকথা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন এখন জমজমাট। কচুয়া উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীরা গণসংযোগের পাশাপাশি এলাকার উন্নয়নে দিচ্ছেন নানান প্রতিশ্রুতি। তবে জাতীয় পার্টি, বিএনপিসহ অন্য দলের নেতারা উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী না থাকায়ক্ষমতাসীন দলীয়প্রার্থীদের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হলেও অন্যান্য দলের নেতাকর্মীরা নানা সমীকরণ মেলাতে ব্যস্ত। আগামী মে প্রথম ধাপে কচুয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

মোরেলগঞ্জে ভোটের লড়াইয়ে তিন নারী

নিজস্ব সংবাদদাতা, মোরেলগঞ্জ, বাগেরহাট থেকে জানান, মোরেলগঞ্জে ২৯ মে ৩য় ধাপে উপজেলা পরিষদের নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচনী মাঠে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ভোটের লড়াইয়ে নারী প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মাঠ দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। বৃহস্পতিবার মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষদিনে উপজেলা নির্বাচন অফিস সহকারী রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এরা হলেন, প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান এইচ.এম ছাবুল আকতারের সহধর্মিণী বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান ফাহিমা খানম, সাবেক দুইবারের নির্বাচিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমিন নাহার।

ধামইরহাটে চেয়ারম্যান প্র্রার্থীদের গণজোয়ার

নিজস্ব সংবাদদাতা, নওগাঁ থেকে জানান, ধামইরহাটে জমে উঠেছে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন পৌর এলাকায় চেয়ারম্যান প্রার্থী সফল উপজেলা চেয়ারম্যান আজাহার আলীর প্রচারণা সর্বত্র। চেয়ারম্যান পদে আনারস প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী আজাহার আলীর গ্রহণযোগ্যতা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। এদিকে ভাইস চেয়ারম্যান পদে সফল উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান, সাবেক জেলা ছাত্রলীগ নেতা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক, বর্তমান উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, তরুণ যুব সমাজের আইকন খ্যাত সোহেল রানা ভোটের মাঠ কাপাচ্ছেন, উড়োজাহাজ প্রতীক নিয়ে ভোটের মাঠে বিজয়ের স্লোগান নিয়ে উড়ছেন তিনি। অপরদিকে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে আনজুয়ারা বেগমের নাম এখন নারীদের মুখে মুখে।

 

 

 

×