ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

ডিএনসিসির অফিস সরল প্রথম

কাওরানবাজার স্থানান্তর প্রক্রিয়া শুরু

স্টাফ রিপোর্টার

প্রকাশিত: ২৩:৫৮, ২৮ মার্চ ২০২৪

কাওরানবাজার স্থানান্তর প্রক্রিয়া শুরু

রাজধানীর কাওরান বাজারের ঝুঁকিপূর্ণ ভবন থেকে ডিএনসিসির আঞ্চলিক কার্যালয়ের জিনিসপত্র সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে

কাওরান বাজারের ঝুঁকিপূর্ণ ভবন থেকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) আঞ্চলিক কার্যালয় স্থানান্তরের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এই অফিসটি সরিয়ে মোহাম্মদপুর শিয়া মসজিদ সংলগ্ন মোহাম্মদপুর কমিউনিটি সেন্টারে নেওয়া হচ্ছে। মোহাম্মদপুর কমিউনিটি সেন্টারে হবে ডিএনসিসির অঞ্চল-০৫ এর অস্থায়ী আঞ্চলিক কার্যালয়।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে আঞ্চলিক কার্যালয়ের মালামাল স্থানান্তরের কার্যক্রম পুরোদমে শুরু হয়।

বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর কাওরান বাজারে ডিএনসিসির আঞ্চল-৫-এর কার্যালয়ের সামনে আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মোতাকাব্বির আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘ডিএনসিসির কার্যালয় স্থানান্তরের মাধ্যমে কাওরান বাজারের স্থানান্তর প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। ঈদের আগে অফিসের সবকিছু সরিয়ে নেওয়া হবে এবং ঈদের পরে ভবনটি ভাঙা হবে। ঈদের পরে ঝুঁকিপূর্ণ এই ভবনে থাকা ১৭৬টি দোকান গাবতলীতে সরিয়ে নেওয়া হবে। এ ছাড়াও ঈদের পরে অস্থায়ী আরও ১৮০টি দোকানও গাবতলীতে স্থানান্তর করা হবে।’
মোতাকাব্বির আহমেদ বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ ভবন বলেই আঞ্চলিক কার্যালয় স্থানান্তর করা হচ্ছে। কাওরান বাজারকে কাঁচাবাজার ও আড়তমুক্ত করার লক্ষ্যে ভবনটি ভেঙে ফেলা হবে। সে কারণে অফিসটি আমরা স্থানান্তর করছি।  
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে অফিসটি পূর্ণাঙ্গভাবে স্থানান্তরিত করব।  প্রাথমিকভাবে এখানকার স্থায়ী বরাদ্দকৃত (আড়ত ভবন-১) ১৭৬টি আড়ত, দোকান সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। অস্থায়ী দুই স্থান থেকে (দক্ষিণ পাশের ১১৮টি ও উত্তর পাশের ৬২টি) ১৮০টি দোকান গাবতলীর আমিনবাজারে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া অন্যান্য দোকানগুলো পুনর্বাসনের কার্যক্রম চলমান থাকবে বলেও জানান তিনি।  
আরেক প্রশ্নের জবাবে মোতাকাব্বির বলেন, কাওরান বাজারের কোনো দোকানই থাকছে না। শহরকে যানজটমুক্ত করার লক্ষ্যে ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী শহরকে সুন্দর রাখতে এই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ২০১০ সালে বুয়েট থেকে একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, রেকটো ফিটিং করার জন্য। পরবর্তীতে দেখা যায় রেকটো ফিটিং করতে যে পরিমাণ খরচ, এর থেকে না করাই শ্রেয়।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে ৩৫০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প নেওয়া ছিল যাত্রাবাড়ী ও আমিনবাজারে। যাত্রাবাড়ী ও আমিনবাজারে ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসন করার কথা রয়েছে। ২০১০ সালের প্রকল্পটি পূর্ণাঙ্গ রূপ পেয়েছে। ওই প্রকল্পের শতভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।  
উল্লেখ্য, কাওরান বাজার স্থানান্তরের বিষয়ে গত ১৮ মার্চ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করে ডিএনসিসি। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। 
সভায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, ঈদের পরে কাওরান বাজারে ডিএনসিসির পরিত্যক্ত ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ভেঙে ফেলা হবে। কাওরান বাজারের এই কাঁচাবাজারের ভবনটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। যে কোনো সময় এটি ধসে পড়তে পারে। ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের কারণে বহু মানুষের জীবন হুমকিতে রয়েছে। কাওরান বাজারস্থ পাইকারি কাঁচাবাজারের এই ব্যবসায়ীদের গাবতলীতে ডিএনসিসির পাইকারি কাঁচাবাজারে স্থানান্তর করা হবে।

×